Ajker Patrika

শাকিব খানের মামলায় প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে সমন জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৫: ৩১
Thumbnail image

চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে নায়ক শাকিব খানের করা মামলায় সমন জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব বাদী শাকিব খানের জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামি রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২৬ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে ওই দিন রহমত উল্লাহকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আজ চাঁদাবাজি ও হত্যার ভয় দেখানোর অভিযোগে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন তিনি। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও শাকিব খানের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামুন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আর্জিতে শাকিব খান বর্ণনা করেছেন, তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নায়ক। অন্যদিকে রহমত উল্লাহ একজন প্রতারক, বাটপার ও ভুয়া প্রযোজক। ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলা ছায়াছবি ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এ অভিনয় করতে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ভারটেক্স মিডিয়া’র স্বত্বাধিকারী জানে আলমের সঙ্গে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন। এই ছবিতে শিবা আলী খানকে নায়িকা হিসেবে মনোনীত করা হয়। ছবির শুটিংয়ের জন্য শাকিব খান ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ায় যান। শিবা আলী খান সেখানে যেতে না পারায় তাঁর স্থলে অ্যানি রেনেসাঁ সাবরিন নামের বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিককে মনোনীত করা হয়।

শাকিব খান মামলায় অভিযোগ করেন, রহমত উল্লাহ তাঁকে ফাঁদে ফেলার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করেন। অস্ট্রেলিয়ায় একটি নামীদামি ক্লাবে রহমত উল্লাহর সঙ্গে শাকিব খান যান। সেখানে রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে পানিও পান করেন শাকিব খান। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় অ্যানি রেনেসাঁ সাবরিন তাঁকে হোটেলরুমে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। শাকিব যেহেতু অসুস্থ ছিলেন এবং একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন, সে কারণে অ্যানি রেনেসাঁ সাবরিন নায়ক শাকিবকে নিয়ে হোটেলের কক্ষে যান।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই ঘটনার পরদিন রহমত উল্লাহ ফোনে শাকিবকে বলেন, ‘হোটেলে তুমি কী করেছ সব ভিডিও ক্লিপ আমার কাছে আছে। তুমি আমাকে এক লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার চাঁদা না দিলে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হবে। এতে তোমার ক্যারিয়ার ধ্বংস হবে এবং তুমি অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে বাংলাদেশে যেতে পারবে না।’

পারিবারিক সমস্যা ও নিজের ক্যারিয়ারের কথা বিবেচনা করে শাকিব খান সাড়ে ৫ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার রহমত উল্লাহকে দেন। পরে বিভিন্ন সভায় বাংলাদেশের ৪০ লাখ টাকার মতো রহমত উল্লাহকে দেন শাকিব খান। তা সত্ত্বেও রহমত উল্লাহ অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

শাকিব খান মামলায় আরও বলেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় গেলে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে। তারা তখন বলেন, শাকিব খান একটি ষড়যন্ত্রের শিকার। এরপর রহমত উল্লাহকে চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেন শাকিব খান।

এর আগে এই প্রযোজকের নামে মানহানির মামলা করতে গত শনিবার রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব। তবে পুলিশ মামলাটি না নিয়ে তাঁকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর শাকিব ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে যান অভিযোগ জানাতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত