Ajker Patrika

সরকারি চাকরিতে কোটা, কার ভাগে কত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪, ১২: ১৬
সরকারি চাকরিতে কোটা, কার ভাগে কত

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা আবারও কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন। 

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল চেয়ে ২০১৮ সালেও দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ওই বিক্ষোভের মুখে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্র জারি করে। সেই পরিপত্র গত ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর আজ বুধবার (১০ জুলাই) চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। 

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অবশ্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কোটা বহাল ছিল এবং এখনো আছে। 

সরকারি তথ্য বলছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২০ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো। বাকি ৮০ শতাংশ পদে কোটায় নিয়োগ হতো। ১৯৭৬ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ৪০ শতাংশে বাড়ানো হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করা হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়। 

এই অগ্রাধিকার কোটার মধ্যে রয়েছে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা ও ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা। পরে ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের নিয়ম চালু করে মোট কোটা দাঁড়ায় ৫৬ শতাংশ। শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল। পরে এ কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তারপর নাতি-নাতনি যুক্ত করা হয়। 

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোটার বিপুল পদ শূন্য থাকত। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়, কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ ৭জন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। 

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন চেম্বার আদালত হয়ে ৪ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন আপিল বিভাগ নট টুডে (৪ জুলাই নয়) বলে আদেশ দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। এ অবস্থায় কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী গতকাল মঙ্গলবার আবেদন করেন। 

কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষে করা আবেদন শুনানির জন্য বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সময় নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ। পরে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দেন আপিল বিভাগ। 

ওই রায়ের পর আইনজীবীদের ভাষ্য, সব কোটা, নাকি শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরছে, তা হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে বলা যাবে।

১৯৭২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর {(ইডি/আরআই/আর-৭৩/৭২-১০৯(৫০০)} তৎকালীন সংস্থাপন বিভাগের সচিব এম এম জামানের স্বাক্ষরে স্বাধীনতার পর দেশের সব অঞ্চলের জনগণকে সরকারি চাকরিতে অনুপ্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি এবং সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে চাকরিতে নিয়োগের আদেশ জারি করা হয়। 

আদেশের শুরুতেই বলা হয়, সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে জেলাভিত্তিক এই কোটা নির্ধারণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই আদেশেই মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের অবদান ও ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করে তাদের জনজীবনে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৩০ শতাংশ কোটা দিয়ে চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।

তেমনিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত নারীদের জন্যও ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে চাকরিতে নিয়োগের বিধান রাখা হয়। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে এই কোটা পদ্ধতি নিয়ে চার দশক ধরেই আপত্তি উঠে আসছে। 

জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন পে ও সার্ভিস কমিশনের একজন সদস্য বাদে সবাই সরকারি নিয়োগে কোটা পদ্ধতির বিরোধিতা করেন। কোটার পক্ষে অবস্থান নেওয়া এম এম জামান প্রচলিত কোটাগুলো প্রথম ১০ বছর বহাল রেখে ১৯৮৭ সাল থেকে পরবর্তী ১০ বছরে ধীরে ধীরে কমিয়ে দশম বছরে তা বিলুপ্ত করার পক্ষে মত দেন। 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা প্রয়াত ড. আকবর আলি খান ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের এক গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে ২৫৭ ধরনের কোটা আছে, যা ঐতিহাসিক এবং বিশ্বে বিরল ঘটনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৭

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আনোয়ারায় দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আনোয়ারায় দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পরৈকোড়া ইউনিয়নের কালীগঞ্জ ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্ব এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহানুর রহমান সোহাগ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পরৈকোড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. সাকিব প্রকাশ শাকিল (২১), পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ইদ্রিস চেয়ারম্যানের বাড়ির মোহাম্মদ নেছার (২২), একই এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), পরৈকোড়ার বাতুয়াপাড়ার শাহাদাত হোসেন (২২), পটিয়ার গৌরনখাইন রফিক ম্যানেজারের বাড়ির মো. আরিফুল ইসলাম প্রকাশ বাবু (২৫), শান্তির হাট জমিদার বাড়ির মো. হাবিব (২৩) এবং দক্ষিণ আশিয়াইশ চৌধুরীর বাড়ির মো. রাজীব চৌধুরী (২১)। পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে একটি এলজি, তাজা কার্তুজ, স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো লোহার তৈরি পাইপগান সদৃশ অস্ত্র, লোহার তৈরি বাহারি দেশীয় অস্ত্র, দুটি জম্বি বেসবল ব্যাট, একটি বেসবল ব্যাট, একটি তলোয়ার, পাঁচটি বড় রামদা, একটি কুড়াল উদ্ধার করে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্ব এলাকায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘আটককৃতরা পেশাদার সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে তারা দেশীয় অস্ত্রসহ উল্লিখিত স্থানে একত্রিত হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চলাইট জ্বালিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: 
টর্চলাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
টর্চলাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহাসড়কের ওপর টর্চলাইট জ্বালিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার উত্তর সুহিলপুরে আজিজের গোষ্ঠী ও উকিলের গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক তিন ঘণ্টা আটকে সংঘর্ষ চালায়।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ আর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় ওই মহাসড়কে যান চলাচল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত চার-পাঁচ দিন আগে বিতর্কের জেরে উকিলের গোষ্ঠীর সাদ্দাম আজিজের গোষ্ঠীর আক্তারকে থাপ্পড় মারেন। এ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। গতকাল বিকেলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিস বসে। কিন্তু তাতে সমাধান না হওয়ায় রাতে দুই গোষ্ঠীর লোকজন মহাসড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজিজের গোষ্ঠী ও উকিল গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে দুই গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁ সীমান্ত থেকে যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নওগাঁর পোরশা সীমান্ত থেকে আইয়ুব আলী (৩৫) নামের এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার নিতপুর সীমান্তের ২৩১ নম্বর পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আইয়ুব আলী উপজেলার নিতপুর গোপালগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আইয়ুব আলী বুধবার ভোরে ২৩১ নম্বর পিলার সীমান্তের কাছে মাঠে কাজ করতে যান। এ সময় ভারতের ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। আইয়ুব আলীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

নওগাঁ-১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি বিএসএফ সদস্যরা আইয়ুব আলীকে আটক করে ভারতের হরিপুর থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁকে ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে চালু হলো বিশেষায়িত ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রামেকে সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড চালু। ছবি: আজকের পত্রিকা
রামেকে সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড চালু। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত একটি ওয়ার্ড চালু করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল। এটি দেশের কোনো হাসপাতালে সাপা কাটা রোগীদের জন্য প্রথম বিশেষায়িত ওয়ার্ড। এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সীমিত পরিসরে স্নেকবাইট ক্লিনিক চালু করা হয়েছিল। মৃত্যুহার কমাতে রামেক হাসপাতাল ওয়ার্ডটি চালু করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ ওয়ার্ডটির উদ্বোধন করেন। হাসপাতালের পুরোনো ক্যানটিনের জায়গায় ১২ শয্যার হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) মানের এই ওয়ার্ড করা হয়েছে। সাপে কাটা রোগীদের শ্বাসকষ্ট হয়, হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি থাকে। এসব সমস্যারও চিকিৎসা হবে এ ওয়ার্ডে।

জানা গেছে, হাসপাতালে আসা সাপে কাটা সব রোগীই চিকিৎসা পাবে। তবে শয্যা পাবে আটজন পুরুষ ও চারজন নারী। ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বর্তমানে রাসেলস ভাইপার সাপের বিষের ওপর পিএইচডি করছেন, যা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রামেকে ১ হাজার ২০৫ জন সাপে কাটা রোগী এসেছে। এর মধ্যে ২৬০ জন বিষধর সাপের কামড় নিয়ে এসেছিল। অন্যরা নির্বিষ সাপের কামড় নিয়ে আসে। হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে ৩০ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে। অন্যরা কালাচ বা কেউটে ও গোখরা সাপের কামড়ে মারা গেছে। মৃত্যুহার কমিয়ে আনার জন্য ডেঙ্গু, করোনা ও নিপাহভাইরাসের মতো সাপে কাটা রোগীদের জন্যও বিশেষায়িত ওয়ার্ড করার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ। এ জন্য আগে চিকিৎসক ও নার্স বাছাই করা হয়। তাঁদের স্নেকবাইট ন্যাশনাল গাইডলাইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়।

ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মৃত্যুহার ছিল ২৭ শতাংশ। চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতির ফলে এই হার এখন অনেক কমে এসেছে। নতুন বিশেষায়িত ওয়ার্ডে সমন্বিত চিকিৎসা (ইন্টিগ্রেটেড ট্রিটমেন্ট) দেওয়া যাবে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধান থাকবে এবং পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনমের মজুত রাখা হবে। ফলে মৃত্যুহার আরও কমবে।

আবু শাহীন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, সাপে কাটা রোগীদের অ্যান্টিভেনমের প্রতিটি ডোজের মূল্য প্রায় ১৩ হাজার টাকা। একটি ডোজে ১০ ভায়াল অ্যান্টিভেনম লাগে। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে একাধিক ডোজ প্রয়োজন হয়। রোগীরা হাসপাতাল থেকেই পুরোপুরি বিনা মূল্যে এই ওষুধ পাবে। রোগী ওয়ার্ডে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার চিকিৎসা শুরু হবে। এক মিনিটও বিলম্ব হবে না।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ‘সাপে কাটা রোগীরা এমনিতেই দেরি করে হাসপাতালে আসে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাসপাতালেও চিকিৎসা শুরু হতে একটু দেরি হতো। দেখা যেত, বড় একটা ওয়ার্ডের এক কোণায় রোগীরা থাকত। এখন ভালো হলো। এটা একেবারেই মেডিকেল ইমার্জেন্সি ইউনিট, এইচডিইউ সুবিধাও থাকছে। এখানে ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসক থাকবেন। নার্সরা তো থাকবেনই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত