নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীর একটি বহুতল বাড়িতে আসমা বেগম (৪২) নামে এক গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা দুইটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চারজন পুলিশ ও তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
বাড়ির মালিকের দাবি, ওই গৃহকর্মী ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের দাবি, গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আজ রোববার সকালে রামপুরার বনশ্রীর–ডি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বাড়িটির মালিক দেলোয়ার হোসেন নামে সাবেক একজন কর কমিশনার। নিহত আসমা বেগম বাড়ির মালিক দেলোয়ারের মেয়ে কানিজ ফাতিমার মিরপুরের মধ্যমনিপুরের বাসায় কাজ করতেন। দুদিন আগে কানিজ ফাতিমা গৃহকর্মী আসমা বেগমকে নিয়ে ওই বাড়িতে বেড়াতে আসেন। নিহত আসমা বেগমের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার কোকরাই এলাকায়।
সরেজমিনে বাড়িটির নিচে দেখা যায়, ছয় তলা বাসাটির সামনে কাচের টুকরা পড়ে আছে। বাসার নিচতলায় তিনটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা। দুটি গাড়ি, একটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে। নিচতলার একটি কক্ষের জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়তলা ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলা অনেকটাই পুড়ে গেছে। আগুনের শিখায় কালো দাগ তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। সিঁড়িতেও আগুনের শিখার কালো দাগ দেখা গেছে। সন্ধ্যা নাগাদ বাসাটির সামনের সড়ক বন্ধ রাখে পুলিশ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বাড়ির মালিকের ছেলে মেহেদী হাসান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই বাড়ির সামনে যায়। সেখানে গিয়ে এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। কিছু লোকও ওই মরদেহ ঘিরে ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে যখন ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের দল আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তখন বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইটপাটকেলের আঘাতে আমিসহ ৭-৮ জন আহত হয়েছি।’
আসমা বেগমকে দুই মাস আগে কানিজ ফাতিমার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ পাইয়ে দেন তারই এলাকার আরেক গৃহকর্মী রেশমা বেগম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসমা আমার এলাকার মেয়ে। আমাদের দুজনের বাড়িই বাজিতপুর। আসমার স্বামী মারা গেছে। এক ছেলে আজিজুর রহমান বাড়িতে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে থাকে। আসমা ঢাকাতে বিভিন্ন বাসা বাড়িতেই কাজ করত। দুই মাস আগে মধ্যমনিপুরে কানিজ ফাতিমার বাড়িতে দশ হাজার টাকা বেতনে কাজে দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকালে কানিজ ফাতিমা আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, বনশ্রীতে একটা ঝামেলা হয়েছে, দ্রুত আসেন। আমি এসে দেখি রাস্তায় আসমার রক্তাক্ত মরদেহ পরে আছে। মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। অনেক মানুষ মরদেহ ঘিরে আছে। পরে আমাকে বাড়ির চারতলায় বাড়িওয়ালার বাসায় নিয়ে যায়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তারা সবাই আমাকে বলেন, আসমা ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে গিয়ে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করেছেন। আমার বিশ্বাস হলো না। ছাদ থেকে কেন লাফ দেবে। এরপর আমাকে আর নিচে নামতে দেয়নি। পরে বাড়িতে লোকজন আগুন ধরিয়ে দেয়। এটা আত্মহত্যা বলে আমরা বিশ্বাস হয় না।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাড়িওয়ালা মো. দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাজীপুরে একটি রিসোর্টে বেড়াতে গিয়েছিলাম পরিবারের সবাই মিলে। রাতে ফিরে আসি। আমাদের বাসার ছাদে কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সকালে কাজের মেয়ে আসমা কাপড় ধোয়ার কথা বলে ছাদে যায়। তার কিছুক্ষণ পরই শুনি নিচে লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেই। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকজন ভাঙচুর শুরু করে।’
তিনি দাবি করেন, আসমা তার ছেলেকে নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক চাপে ছিলেন। নিজে যেই টাকা আয় করতেন তা ছেলেকে পাঠাতেন।
ঘটনাস্থলের সামনের একটি বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মো. বারেক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠেই শুনি বাইরে লাশ পড়ে আছে। বের হয়ে দেখি, সামনের ভবনের গেটের পিলারের কাছেই সালোয়ার কামিজ পরা একটা নারীর লাশ পড়ে আছে। মাথায় আঘাত ও রক্ত ছড়িয়ে আছে। প্রথমে অল্প কিছু লোক ছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই শত শত লোক জড়ো হয়ে যায়।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বনশ্রী-ই ব্লকের ফুটপাতে চা বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বনশ্রী এলাকায় খবর ছড়িয়ে পরে ডি–ব্লকে গৃহকর্মীকে হত্যা করে সড়কে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর দ্রুত ওই বাড়ির সামনে বিভিন্ন ব্লকের গৃহকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ মরদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখন শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশাচালকেরা বাড়িতে হামলা চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ির প্রধান ফটক দিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পর বাড়িটির নিচতলায় আগুন দেখা যায়। ধোয়া বের হয়। পুলিশ লাঠিপেটা করেও প্রথমে কাউকে সরাতে পারেনি। পরে পুলিশ বাড়ানো হলে কয়েক দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
সংঘর্ষের পর ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বনশ্রী সোসাইটির নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে গুজব ছিল। এমন খবর পেয়ে তিনি নিজেই সকালে বাড়িটিতে যান। গিয়ে তিনি শুনতে পান বাড়ির মালিক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ের বাসার গৃহকর্মী বেড়াতে এসে ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয়েছেন। সেই ঘটনা নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে।
নিহত আসমা বেগমের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তওফিকা ইয়াসমিন। সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হয়েছে আত্মহত্যা। তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, বাড়ির মালিকের মেয়ে কানিজ ফাতিমার ভাষ্যমতে ষষ্ঠতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে আসমা বেগম আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করি।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম বলেন, ‘শত শত লোক জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা পুলিশকে লাশ উদ্ধারে বাধা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে তারা বাড়িটির নিচ তলায় রাখা দুটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীর একটি বহুতল বাড়িতে আসমা বেগম (৪২) নামে এক গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা দুইটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চারজন পুলিশ ও তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
বাড়ির মালিকের দাবি, ওই গৃহকর্মী ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের দাবি, গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আজ রোববার সকালে রামপুরার বনশ্রীর–ডি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বাড়িটির মালিক দেলোয়ার হোসেন নামে সাবেক একজন কর কমিশনার। নিহত আসমা বেগম বাড়ির মালিক দেলোয়ারের মেয়ে কানিজ ফাতিমার মিরপুরের মধ্যমনিপুরের বাসায় কাজ করতেন। দুদিন আগে কানিজ ফাতিমা গৃহকর্মী আসমা বেগমকে নিয়ে ওই বাড়িতে বেড়াতে আসেন। নিহত আসমা বেগমের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার কোকরাই এলাকায়।
সরেজমিনে বাড়িটির নিচে দেখা যায়, ছয় তলা বাসাটির সামনে কাচের টুকরা পড়ে আছে। বাসার নিচতলায় তিনটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা। দুটি গাড়ি, একটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে। নিচতলার একটি কক্ষের জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়তলা ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলা অনেকটাই পুড়ে গেছে। আগুনের শিখায় কালো দাগ তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। সিঁড়িতেও আগুনের শিখার কালো দাগ দেখা গেছে। সন্ধ্যা নাগাদ বাসাটির সামনের সড়ক বন্ধ রাখে পুলিশ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বাড়ির মালিকের ছেলে মেহেদী হাসান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই বাড়ির সামনে যায়। সেখানে গিয়ে এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। কিছু লোকও ওই মরদেহ ঘিরে ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে যখন ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের দল আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তখন বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইটপাটকেলের আঘাতে আমিসহ ৭-৮ জন আহত হয়েছি।’
আসমা বেগমকে দুই মাস আগে কানিজ ফাতিমার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ পাইয়ে দেন তারই এলাকার আরেক গৃহকর্মী রেশমা বেগম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসমা আমার এলাকার মেয়ে। আমাদের দুজনের বাড়িই বাজিতপুর। আসমার স্বামী মারা গেছে। এক ছেলে আজিজুর রহমান বাড়িতে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে থাকে। আসমা ঢাকাতে বিভিন্ন বাসা বাড়িতেই কাজ করত। দুই মাস আগে মধ্যমনিপুরে কানিজ ফাতিমার বাড়িতে দশ হাজার টাকা বেতনে কাজে দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকালে কানিজ ফাতিমা আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, বনশ্রীতে একটা ঝামেলা হয়েছে, দ্রুত আসেন। আমি এসে দেখি রাস্তায় আসমার রক্তাক্ত মরদেহ পরে আছে। মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। অনেক মানুষ মরদেহ ঘিরে আছে। পরে আমাকে বাড়ির চারতলায় বাড়িওয়ালার বাসায় নিয়ে যায়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তারা সবাই আমাকে বলেন, আসমা ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে গিয়ে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করেছেন। আমার বিশ্বাস হলো না। ছাদ থেকে কেন লাফ দেবে। এরপর আমাকে আর নিচে নামতে দেয়নি। পরে বাড়িতে লোকজন আগুন ধরিয়ে দেয়। এটা আত্মহত্যা বলে আমরা বিশ্বাস হয় না।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাড়িওয়ালা মো. দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাজীপুরে একটি রিসোর্টে বেড়াতে গিয়েছিলাম পরিবারের সবাই মিলে। রাতে ফিরে আসি। আমাদের বাসার ছাদে কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সকালে কাজের মেয়ে আসমা কাপড় ধোয়ার কথা বলে ছাদে যায়। তার কিছুক্ষণ পরই শুনি নিচে লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেই। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকজন ভাঙচুর শুরু করে।’
তিনি দাবি করেন, আসমা তার ছেলেকে নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক চাপে ছিলেন। নিজে যেই টাকা আয় করতেন তা ছেলেকে পাঠাতেন।
ঘটনাস্থলের সামনের একটি বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মো. বারেক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠেই শুনি বাইরে লাশ পড়ে আছে। বের হয়ে দেখি, সামনের ভবনের গেটের পিলারের কাছেই সালোয়ার কামিজ পরা একটা নারীর লাশ পড়ে আছে। মাথায় আঘাত ও রক্ত ছড়িয়ে আছে। প্রথমে অল্প কিছু লোক ছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই শত শত লোক জড়ো হয়ে যায়।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বনশ্রী-ই ব্লকের ফুটপাতে চা বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বনশ্রী এলাকায় খবর ছড়িয়ে পরে ডি–ব্লকে গৃহকর্মীকে হত্যা করে সড়কে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর দ্রুত ওই বাড়ির সামনে বিভিন্ন ব্লকের গৃহকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ মরদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখন শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশাচালকেরা বাড়িতে হামলা চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ির প্রধান ফটক দিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পর বাড়িটির নিচতলায় আগুন দেখা যায়। ধোয়া বের হয়। পুলিশ লাঠিপেটা করেও প্রথমে কাউকে সরাতে পারেনি। পরে পুলিশ বাড়ানো হলে কয়েক দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
সংঘর্ষের পর ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বনশ্রী সোসাইটির নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে গুজব ছিল। এমন খবর পেয়ে তিনি নিজেই সকালে বাড়িটিতে যান। গিয়ে তিনি শুনতে পান বাড়ির মালিক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ের বাসার গৃহকর্মী বেড়াতে এসে ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয়েছেন। সেই ঘটনা নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে।
নিহত আসমা বেগমের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তওফিকা ইয়াসমিন। সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হয়েছে আত্মহত্যা। তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, বাড়ির মালিকের মেয়ে কানিজ ফাতিমার ভাষ্যমতে ষষ্ঠতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে আসমা বেগম আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করি।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম বলেন, ‘শত শত লোক জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা পুলিশকে লাশ উদ্ধারে বাধা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে তারা বাড়িটির নিচ তলায় রাখা দুটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
৩৪ মিনিট আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
৩৭ মিনিট আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে