Ajker Patrika

সাংবাদিককে ‘বাপ ডাকিয়ে দেবেন’ বিএনপি নেতা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিরুদ্ধে লিখলে সাংবাদিককে ‘বাপ ডাকিয়ে দিব’ এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা প্রেসক্লাবকে ‘সোজা হয়ে যাও’ মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাংবাদিকেরা। সমাবেশ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। তাতে বক্তব্য দেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও শেয়ার বিজের প্রতিনিধি আবদুর রহিম বলেন, ‘জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ৫ আগস্টের পর থেকে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছেন। গত শনিবার ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আমরা তাঁর বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি এবং বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন, তা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিব।’

ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও নয়াদিগন্তের উপজেলা প্রতিনিধি নিয়াজ মাসুম বলেন, ‘সাংবাদিকেরা কারও গোলাম নন, তিনি চোখ রাঙাবেন আর সাংবাদিকেরা ভয় পেয়ে যাবেন, তা হবে না। আমরা তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় আরও বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সবুজ, যুগান্তরের প্রতিনিধি আলামিন প্রধান, দৈনিক খবরপত্রের প্রতিনিধি মনির হোসেন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রফিকুল্লাহ রিপন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মায় দেখা মিলল বিলুপ্তপ্রায় কুমিরের, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর পদ্মায় বিলুপ্তপ্রায় কুমিরের দেখা মিলল। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীর পদ্মায় বিলুপ্তপ্রায় কুমিরের দেখা মিলল। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর পদ্মায় ছোট-বড় একাধিক কুমিরের দেখা মিলেছে। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক একটি কুমিরের ছবি তুলেছেন এক দম্পতি। আর ছোট এক বা একাধিক কুমির দেখেছেন নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা। তাঁরা অবশ্য ছবি তুলতে পারেননি। এই অবস্থায় নদীতে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে এলাকায় মাইকিং করেছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মার চরে পাখির ছবি তুলতে যান ইমরুল কায়েস ও উম্মে খাদিজা ইভা দম্পতি। তাঁরা পাখির বদলে কুমিরের ছবি নিয়ে বাড়ি ফেরেন। ষাটবিঘা চরের রাজু আহাম্মেদ গরু চরাতে গিয়ে প্রথম কুমিরটি দেখতে পান। ওই দম্পতি যে কুমিরের ছবি তোলেন, সেটি প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএন বাংলাদেশে বিলুপ্ত শ্রেণির হিসেবে ঘোষণা করেছে। নতুন করে এ কুমিরের দেখা পাওয়া গেছে।

ইমরুল কায়েস-উম্মে খাদিজা দুজনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পেশায় তাঁরা আলোকচিত্রী। তাঁরা সেদিন পদ্মার চরে লাল মুনিয়া পাখির ছবি তুলতে যান। সেখানে যাওয়ার পর রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির মোবাইল ফোনে কল করেন ইমরুল কায়েসকে। তিনি জানান, চরে গরু চরাতে গিয়ে একটি ছেলে কুমির দেখতে পেয়েছেন। তারপরই শুরু হয় নদীতে কুমির খোঁজার অভিযান। একপর্যায়ে দেখা মেলে।

খাদিজার ভাষায়, ‘যদি কুমিরটা পানিতে থাকে, তাহলে ড্রোন দিয়ে দেখা যেতে পারে। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর কায়েস ড্রোন ওড়ান। কায়েস প্রথমে ড্রোনটা আমাদের ডান দিকে পাঠালেন। কিন্তু কুমিরের দেখা নেই। একটু পর কায়েস হুট করে উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলেন, ‘‘পাগলি কুমির!’’ আমি খুশিতে এক লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।

‘কায়েসকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন দিকে কুমির? কায়েস বললেন, ডান দিকে সামনে। আমি আর কায়েস ড্রোন চালু রাখা অবস্থায় দুজন কুমিরের দিকে হাঁটা ধরলাম। কিছু দূর হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে জীবনে প্রথম সামনাসামনি ওয়াইল্ডে কুমিরের দেখা পেলাম। কায়েস ড্রোন দিয়ে কিছু ভিডিও ও ছবি নিলেন, আমি ক্যামেরায় কিছু ভিডিও করলাম। আমরা খুশিতে আত্মহারা।’

আইইউসিএনের মুখ্য গবেষক এ বি এম সারোয়ার আলম (সীমান্ত দীপু) জানান, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে মিঠাপানির কুমিরকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর পাবনা জেলায় একটি কুমিরের সন্ধান মেলে, পরে দেশের আরও দুটি স্থানে দেখা যায় একই প্রজাতির কুমির। বর্তমানে এ দুটি কুমিরকে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

সারোয়ার আলম মনে করেন, এগুলো বাংলাদেশের প্রকৃতিতে জন্ম নেওয়া কুমির নয়। এরা বয়স্ক এবং সম্ভবত ভারতের চাম্বুল নদ এলাকা থেকে এসেছে।

এদিকে পদ্মায় প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরটিকে বিরক্ত না করতে আজ মঙ্গলবার রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পক্ষ থেকে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় জেলেদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় জেলেরা জানান, কয়েক দিনের মধ্যে তাঁরাও ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া চরমাজারদিয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে কুমির দেখেছেন। তবে তাঁদের দেখা কুমির ছবিতে আসা কুমিরটির মতো বড় নয়, সেটি ছোট।

জানতে চাইলে রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘জেলেরা ছোট কুমির দেখেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। তবে ইমরুল কায়েস ও উম্মে খাদিজা দম্পতি প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের ছবি তুলেছেন। এখন স্থানীয়রা নাকি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন কুমিরটি ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ জন্য ফোন এসেছিল। এই অবস্থায় স্থানীয়দের সচেতন করতে আমরা আজ লিফলেট বিতরণ করেছি।’

জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরটির সঙ্গী থাকতে পারে। আবার জেলেরা ছোট কুমির দেখার দাবি করছেন। তাহলে বোঝা যায় যে, কুমির আছে। এখন আমাদেরই সচেতন থাকতে হবে। জলজ প্রাণী জলেই থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তাদের বিরক্ত করা যাবে না।’

তবে কুমিরের ছবি তোলা আলোকচিত্রী ইমরুল কায়েস আশঙ্কা করছেন, কুমিরটি খুঁজে ধরে নিয়ে যেতে পারে আইইউসিএন। কিন্তু তিনি চান, কুমিরটি উন্মুক্তভাবেই নদীতে থাকুক। তাহলে এর প্রজনন হবে।

ইমরুল কায়েস বলেন, ‘এর আগে আমরা দেখেছি, কোথাও কুমির পেলে আইইউসিএন সেটাকে ধরে নিয়ে গেছে। প্রজননের জন্য সেটিকে সুন্দরবনে ব্রিডিং সেন্টারে রেখেছে। সেটা তো খাঁচার মতো। আমরা চাই, এই কুমিরকে যেন সেখানে না নেওয়া হয়। তা না হলে আমাদেরই অপরাধী মনে হবে যে, আমরা ছবিটা তুলেছি বলে কুমিরটাকে খাঁচায় বন্দী হতে হলো।’

পদ্মা নদীতে গোসল না করতে প্রচারপত্র বিতরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা নদীতে গোসল না করতে প্রচারপত্র বিতরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লিফলেট

এতে বলা হয়েছে, কুমির হলো জলচর সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। এরা হিংস্র স্বভাবের। কুমিরের মাথা সরু ও দীর্ঘ আকারের হয়। কুমিরের মুখটি ইংরেজি ‘ভি’ আকৃতিবিশিষ্ট হয়। সব কুমিরই অর্ধ-জলচর প্রাণী। এরা মূলত নদী, হ্রদ ও জলাভূমির মিষ্টি জলেই বাস করে। কোনো কোনো প্রজাতির কুমির অর্ধ-লবণাক্ত বা লবণাক্ত জলে বাস করে। রোদ পোহানোর জন্য এরা ডাঙ্গায় চলে আসে। এরা মাংসাশী প্রাণী। প্রধানত মাছ, জলাশয়ে বসবাসকারী পাখি ও অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

কুমিরের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য কুমিরের দেখা পেলে অতি উৎসাহী হয়ে বিরক্ত না করা, বাচ্চাদের নদীর কিনারায় যেতে না দেওয়া, দিনে ও রাতের বেলায় মাছ আহরণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা, নদীতে গোসল করা থেকে বিরত থাকা, ছোট ছোট নৌযান চলাচলে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, কুমিরের রোদ পোহানোর সময় ঢিল না ছোড়া এবং তাড়ানোর চেষ্টা না করা, রাতের বেলায় নদী ও নদীপাড়ের সব কাজ থেকে সাময়িকভাবে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে।

জলজ পরিবেশে কুমিরের গুরুত্বও তুলে ধরা হয় এ লিফলেটে। বলা হয়, কুমির জলজ খাদ্যশৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কুমির মরা, পচা মাছ ও অন্যান্য জলজ মৃত প্রাণী ভক্ষণ করে জলজ পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখে। সর্বোপরি কুমির জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এ ছাড়া আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী, কুমিরকে বিরক্ত করা, রোদ পোহানোর সময় ঢিল ছোড়া, তাড়ানোর চেষ্টা করা, ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয়, পাচার করা, পরিবহন করা, হত্যা ইত্যাদি শাস্তিযোগ্য অপরাধ; যার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে দুই ট্রাক সাদাপাথর জব্দ, দেড় লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকে করে পাথর নেওয়ার সময় দুই চালককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁরা হলেন বগুড়ার নরুইল গ্রামের রেজওয়ান (২৭) ও কালিবালা গ্রামের আরিফুল (৩৫)। মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই ট্রাকচালককে জরিমানা করা হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ট্রাক দুটি আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে ওই ট্রাক দুটি ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাদের তল্লাশিচৌকিতে আটক করা হয়। পরে পাথরবিষয়ক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি চালকেরা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে পাথর পরিবহন করা ট্রাক দুটিসহ দুজনকে আটক করা হয়।

আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাছনাত। তিনি বলেন, আটক দুজনকে সতর্ক করা হয়েছে। জব্দ করা পাথর উপজেলা প্রশাসনের জিম্মায় রয়েছে। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইয়াবাসহ শ্রমিক দলের সভাপতি গ্রেপ্তার

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি গোলাম রব্বানী। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি গোলাম রব্বানী। ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১০টি ইয়াবাসহ ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি গোলাম রব্বানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হুদা। গ্রেপ্তার গোলাম রব্বানী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি এবং লালপুর দীঘলবস্তি গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় মাদক বিক্রির খবর পেয়ে দুওসুও ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এর লালপুর দীঘলবস্তি কবরস্থানের সামনে থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ১০টি ইয়াবা উদ্ধার পুলিশ।

এ বিষয়ে উপজেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাদক কারবারি তো দূরের কথা, মাদক সেবন করে এমন লোকদেরও দলে ঠাঁই নেই। তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর অপকর্মের দায় দল নেবে না।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হুদা বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ: টেন্ডার বক্স ভাঙচুর, কার্যক্রম স্থগিত

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের আবেদনপত্রের বক্স ভাঙচুর করে আবেদনপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের আবেদনপত্রের বক্স ভাঙচুর করে আবেদনপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের আবেদনপত্র আহ্বানের শেষ দিনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত আবেদন বক্স ভাঙচুর ও আবেদনপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদল দুর্বৃত্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত দুটি আবেদন বক্সের একটি ভেঙে ফেলে এবং এর ভেতরে থাকা আবেদনপত্র ছিঁড়ে তছনছ করে দেয়। এ সময় খাদ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল আজ বেলা ৩টা। উপজেলা প্রশাসন এ দিনই বেলা ৩টায় লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে তার আগেই ঘটে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের আবেদনপত্রের বক্স ভাঙচুর করে আবেদনপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের আবেদনপত্রের বক্স ভাঙচুর করে আবেদনপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে আবেদন বক্স ভাঙচুর ও আবেদনপত্র নষ্টের ঘটনায় সময়মতো আবেদনপত্র জমা দিতে না পারায় অনেক আবেদনকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় যোগ্য আবেদনকারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার বলেন, ঘটনার সময় উপস্থিত দুর্বৃত্তদের তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খাদ্য কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও নিরাপত্তা বিবেচনায় আপাতত ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত