Ajker Patrika

পদ্মায় দেখা মিলল বিলুপ্তপ্রায় কুমিরের, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর পদ্মায় বিলুপ্তপ্রায় কুমিরের দেখা মিলল। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীর পদ্মায় বিলুপ্তপ্রায় কুমিরের দেখা মিলল। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর পদ্মায় ছোট-বড় একাধিক কুমিরের দেখা মিলেছে। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক একটি কুমিরের ছবি তুলেছেন এক দম্পতি। আর ছোট এক বা একাধিক কুমির দেখেছেন নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা। তাঁরা অবশ্য ছবি তুলতে পারেননি। এই অবস্থায় নদীতে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে এলাকায় মাইকিং করেছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মার চরে পাখির ছবি তুলতে যান ইমরুল কায়েস ও উম্মে খাদিজা ইভা দম্পতি। তাঁরা পাখির বদলে কুমিরের ছবি নিয়ে বাড়ি ফেরেন। ষাটবিঘা চরের রাজু আহাম্মেদ গরু চরাতে গিয়ে প্রথম কুমিরটি দেখতে পান। ওই দম্পতি যে কুমিরের ছবি তোলেন, সেটি প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএন বাংলাদেশে বিলুপ্ত শ্রেণির হিসেবে ঘোষণা করেছে। নতুন করে এ কুমিরের দেখা পাওয়া গেছে।

ইমরুল কায়েস-উম্মে খাদিজা দুজনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পেশায় তাঁরা আলোকচিত্রী। তাঁরা সেদিন পদ্মার চরে লাল মুনিয়া পাখির ছবি তুলতে যান। সেখানে যাওয়ার পর রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির মোবাইল ফোনে কল করেন ইমরুল কায়েসকে। তিনি জানান, চরে গরু চরাতে গিয়ে একটি ছেলে কুমির দেখতে পেয়েছেন। তারপরই শুরু হয় নদীতে কুমির খোঁজার অভিযান। একপর্যায়ে দেখা মেলে।

খাদিজার ভাষায়, ‘যদি কুমিরটা পানিতে থাকে, তাহলে ড্রোন দিয়ে দেখা যেতে পারে। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর কায়েস ড্রোন ওড়ান। কায়েস প্রথমে ড্রোনটা আমাদের ডান দিকে পাঠালেন। কিন্তু কুমিরের দেখা নেই। একটু পর কায়েস হুট করে উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলেন, ‘‘পাগলি কুমির!’’ আমি খুশিতে এক লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।

‘কায়েসকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন দিকে কুমির? কায়েস বললেন, ডান দিকে সামনে। আমি আর কায়েস ড্রোন চালু রাখা অবস্থায় দুজন কুমিরের দিকে হাঁটা ধরলাম। কিছু দূর হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে জীবনে প্রথম সামনাসামনি ওয়াইল্ডে কুমিরের দেখা পেলাম। কায়েস ড্রোন দিয়ে কিছু ভিডিও ও ছবি নিলেন, আমি ক্যামেরায় কিছু ভিডিও করলাম। আমরা খুশিতে আত্মহারা।’

আইইউসিএনের মুখ্য গবেষক এ বি এম সারোয়ার আলম (সীমান্ত দীপু) জানান, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে মিঠাপানির কুমিরকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর পাবনা জেলায় একটি কুমিরের সন্ধান মেলে, পরে দেশের আরও দুটি স্থানে দেখা যায় একই প্রজাতির কুমির। বর্তমানে এ দুটি কুমিরকে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

সারোয়ার আলম মনে করেন, এগুলো বাংলাদেশের প্রকৃতিতে জন্ম নেওয়া কুমির নয়। এরা বয়স্ক এবং সম্ভবত ভারতের চাম্বুল নদ এলাকা থেকে এসেছে।

এদিকে পদ্মায় প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরটিকে বিরক্ত না করতে আজ মঙ্গলবার রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পক্ষ থেকে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় জেলেদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় জেলেরা জানান, কয়েক দিনের মধ্যে তাঁরাও ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া চরমাজারদিয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে কুমির দেখেছেন। তবে তাঁদের দেখা কুমির ছবিতে আসা কুমিরটির মতো বড় নয়, সেটি ছোট।

জানতে চাইলে রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘জেলেরা ছোট কুমির দেখেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। তবে ইমরুল কায়েস ও উম্মে খাদিজা দম্পতি প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের ছবি তুলেছেন। এখন স্থানীয়রা নাকি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন কুমিরটি ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ জন্য ফোন এসেছিল। এই অবস্থায় স্থানীয়দের সচেতন করতে আমরা আজ লিফলেট বিতরণ করেছি।’

জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরটির সঙ্গী থাকতে পারে। আবার জেলেরা ছোট কুমির দেখার দাবি করছেন। তাহলে বোঝা যায় যে, কুমির আছে। এখন আমাদেরই সচেতন থাকতে হবে। জলজ প্রাণী জলেই থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তাদের বিরক্ত করা যাবে না।’

তবে কুমিরের ছবি তোলা আলোকচিত্রী ইমরুল কায়েস আশঙ্কা করছেন, কুমিরটি খুঁজে ধরে নিয়ে যেতে পারে আইইউসিএন। কিন্তু তিনি চান, কুমিরটি উন্মুক্তভাবেই নদীতে থাকুক। তাহলে এর প্রজনন হবে।

ইমরুল কায়েস বলেন, ‘এর আগে আমরা দেখেছি, কোথাও কুমির পেলে আইইউসিএন সেটাকে ধরে নিয়ে গেছে। প্রজননের জন্য সেটিকে সুন্দরবনে ব্রিডিং সেন্টারে রেখেছে। সেটা তো খাঁচার মতো। আমরা চাই, এই কুমিরকে যেন সেখানে না নেওয়া হয়। তা না হলে আমাদেরই অপরাধী মনে হবে যে, আমরা ছবিটা তুলেছি বলে কুমিরটাকে খাঁচায় বন্দী হতে হলো।’

পদ্মা নদীতে গোসল না করতে প্রচারপত্র বিতরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা নদীতে গোসল না করতে প্রচারপত্র বিতরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লিফলেট

এতে বলা হয়েছে, কুমির হলো জলচর সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। এরা হিংস্র স্বভাবের। কুমিরের মাথা সরু ও দীর্ঘ আকারের হয়। কুমিরের মুখটি ইংরেজি ‘ভি’ আকৃতিবিশিষ্ট হয়। সব কুমিরই অর্ধ-জলচর প্রাণী। এরা মূলত নদী, হ্রদ ও জলাভূমির মিষ্টি জলেই বাস করে। কোনো কোনো প্রজাতির কুমির অর্ধ-লবণাক্ত বা লবণাক্ত জলে বাস করে। রোদ পোহানোর জন্য এরা ডাঙ্গায় চলে আসে। এরা মাংসাশী প্রাণী। প্রধানত মাছ, জলাশয়ে বসবাসকারী পাখি ও অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

কুমিরের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য কুমিরের দেখা পেলে অতি উৎসাহী হয়ে বিরক্ত না করা, বাচ্চাদের নদীর কিনারায় যেতে না দেওয়া, দিনে ও রাতের বেলায় মাছ আহরণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা, নদীতে গোসল করা থেকে বিরত থাকা, ছোট ছোট নৌযান চলাচলে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, কুমিরের রোদ পোহানোর সময় ঢিল না ছোড়া এবং তাড়ানোর চেষ্টা না করা, রাতের বেলায় নদী ও নদীপাড়ের সব কাজ থেকে সাময়িকভাবে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে।

জলজ পরিবেশে কুমিরের গুরুত্বও তুলে ধরা হয় এ লিফলেটে। বলা হয়, কুমির জলজ খাদ্যশৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কুমির মরা, পচা মাছ ও অন্যান্য জলজ মৃত প্রাণী ভক্ষণ করে জলজ পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখে। সর্বোপরি কুমির জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এ ছাড়া আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী, কুমিরকে বিরক্ত করা, রোদ পোহানোর সময় ঢিল ছোড়া, তাড়ানোর চেষ্টা করা, ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয়, পাচার করা, পরিবহন করা, হত্যা ইত্যাদি শাস্তিযোগ্য অপরাধ; যার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির সাবেক এমপি এনসিপি থেকে পেলেন মনোনয়ন

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি  
মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। ছবি: সংগৃহীত
মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে এনসিপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপে এনসিপির ঘোষিত ১২৫ প্রার্থীর মধ্যে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে এনসিপি। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।

এনসিপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে এনসিপি থেকে শাপলা কলি প্রতীকে এবার নির্বাচন করব। আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারি, বেলকুচি চৌহালীকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় কাজ করব। তা ছাড়া এই এলাকার মানুষ তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাঁতশিল্পের উন্নয়নেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। এনায়েতপুর একটি বৃহৎ হাট। হাটের উন্নয়নেও কাজ করব। এর বাইরেও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব।’

আপনি কি বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে এনসিপি থেকে মনোনয়ন নিলেন—এই প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘আমি বিএনপি থেকে এবার মনোনয়ন চাইনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিআইডির ট্রেনিং সেন্টার থেকে এসআইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

‎রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।

আজ বুধবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পল্টন থানা পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খান। ‎

‎ওসি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে সিআইডি পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে একজন পুলিশের উপপরিদর্শকের মৃত্যুর খবর পাই। পরে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি মোস্তফা আরও জানান, ‎প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর আরামবাগে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় একটি বাসায় চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করতে না পারলেও পুলিশ বলছে, তাঁর বয়স আনুমানিক ৫০ বছর।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আরমান হোসেন।

কাজী আরমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে আরামবাগ করিম ভিলা, ৯৮/১ নম্বর বাড়ির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার মাঝের সিঁড়ি থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর দুই হাত, পা, পিঠসহ গোটা দেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

কাজী আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তি চুরি করার জন্য বাড়িটিতে ঢুকেছিলেন। ষষ্ঠ তলায় একটি বাসা থেকে মোবাইল ফোন চুরি করার সময় তাঁকে ধরে পেটানো হয়। এতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’

নিহত ব্যক্তির মরদেহ আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ২৬ টন পলিথিন জব্দ, তিনজনের জেল-জরিমানা

বগুড়া প্রতিনিধি
পলিথিনের গোডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনজনকে জেল-জরিমানা করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পলিথিনের গোডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনজনকে জেল-জরিমানা করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে ২৬ টন পলিথিন জব্দ করেছেন র‍্যাব-১২-এর সদস্যরা। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে শহরের কালিতলা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পলিথিনের গোডাউনের ম্যানেজারকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ মোট তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার আটাপাড়া এলাকার হেলালুজ্জামান (৪৫), নাটাইপাড়া এলাকার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং গোকুল এলাকার জাকারিয়া (২২)।

র‍্যাব-১২ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের একটি দল সকাল ৯টার দিকে কালিতলা এলাকায় ঝরনা হোমিও হলের পূর্ব পাশে ভান্ডারি পাইপ ফ্যাক্টরি-সংলগ্ন ওই গোডাউনে অভিযান চালায়। অভিযানকালে গোডাউন এবং একটি ট্রাকে বিপুল পরিমাণ এই নিষিদ্ধ পলিথিন পাওয়া যায়, যার পরিমাণ ২৬ টন বা ২৬ হাজার কেজি। গোডাউনের ম্যানেজার হেলালুজ্জামানসহ আটক তিনজনই জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধভাবে পলিথিন মজুত ও বিক্রির দায়ে গোডাউনের ম্যানেজার হেলালুজ্জামানকে (৪৫) ২ লাখ টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁর সহযোগী রফিকুল ইসলামকে (৪০) এক মাস এবং জাকারিয়াকে (২২) ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম জানান, এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানে ডিবি এর আগেও অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২ টন পলিথিন জব্দ করেছিল। আমরা এসে জানতে পারলাম, আমিনুর ইসলাম শিবু নামের একজন দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছেন। মূল মালিককে এখানে পাওয়া যায়নি। এ কারণে ম্যানেজার হেলালুজ্জামানকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তাঁর দুই সহযোগীকেও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, জব্দ করা ২৬ টন পলিথিন পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয় এবং বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকর পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত