নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর জামিন মঞ্জুর করেন।
শামসের পক্ষে অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার কর্মকার সকালে জামিনের আবেদন করেন। বেলা ২টায় ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত বলেন নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেওয়া হবে। কিছুক্ষণ পরে জামিন দেন আদালত। প্রশান্ত কুমার কর্মকার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৩০ মার্চ শামসকে আদালতে হাজির করলে তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। ওই দিন রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ২৯ মার্চ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয় দিয়ে মামলার কথা বলে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সাভার প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বুধবার ভোর ৫টার দিকে আশুলিয়ায় আমবাগানের ওই বাসায় সিআইডির অভিযানের সময় সঙ্গে ছিলেন আশুলিয়া থানার (উপপরিদর্শক) এসআই রাজু মণ্ডল।
শামসকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসার পর দুপুরে জানা গেল তাঁর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন মো. গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি। এজাহারকারী ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের নেতা। মামলায় শামসুজ্জামান শামস ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
পরে রাত ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকেও শামসের সঙ্গে আসামি করা হয়। মতিউর রহমানকে গতকাল রোববার হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন।
এই মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হয়। একই সঙ্গে ওই সংবাদটি দৈনিক প্রথম আলো তাদের ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করে। মামলার বাদী তাঁর নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রতিবেদনটি সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির সামনে অবস্থানকালে রাত ৯টার সময় দেখতে পান। তিনি দেখতে পান প্রথম আলো জাকির হোসেন নামে এক দিনমজুরের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি, সেই শিশুর নাম জাকির হোসেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম? বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায়; যা দেশ-বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাঁদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। পরে ৭১ টিভি চ্যানেলসহ তাদের অনলাইন পোর্টালেও প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, প্রথম আলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, যে শিশুর কথা প্রথম আলোর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তার সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। নাম-পরিচয় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পত্রিকায় বলা হয়, শিশুটির নাম জাকির হোসেন, কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই শিশুর নাম সবুজ আহমেদ। তার বাড়ি সাভার থানার কুরগাঁও পাড়ায়। শিশুটির বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি, মা মুন্নী বেগমের তিন সন্তানের মধ্যে মেজ সন্তান সবুজ।
প্রথম আলোর তথ্যে বলা হয়েছে, সে দিনমজুর। কিন্তু সাত বছরের শিশু সবুজ আহমেদ প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে এবং স্কুল শেষে মাঝে মাঝে ফুল বিক্রি করে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ৭১ টিভির প্রতিবেদনে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন তিনি। বাদীর মনে পড়ে কুড়িগ্রামের বাসন্তী নামে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মহিলাকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই আতঙ্কে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। ঠিক সেই উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথম আলো অনলাইন ভার্সনে পরিকল্পিতভাবে এমন আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। অভিযোগ করেন এ ধরনের প্রতিবেদন স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশ করা ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানিকে অপমান করা।
এ দিকে পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মাহুতিকে অপমান করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত ও হেয় করা হয়েছে শামসের প্রতিবেদনে।
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর জামিন মঞ্জুর করেন।
শামসের পক্ষে অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার কর্মকার সকালে জামিনের আবেদন করেন। বেলা ২টায় ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত বলেন নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেওয়া হবে। কিছুক্ষণ পরে জামিন দেন আদালত। প্রশান্ত কুমার কর্মকার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৩০ মার্চ শামসকে আদালতে হাজির করলে তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। ওই দিন রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ২৯ মার্চ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয় দিয়ে মামলার কথা বলে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সাভার প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বুধবার ভোর ৫টার দিকে আশুলিয়ায় আমবাগানের ওই বাসায় সিআইডির অভিযানের সময় সঙ্গে ছিলেন আশুলিয়া থানার (উপপরিদর্শক) এসআই রাজু মণ্ডল।
শামসকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসার পর দুপুরে জানা গেল তাঁর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন মো. গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি। এজাহারকারী ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের নেতা। মামলায় শামসুজ্জামান শামস ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
পরে রাত ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকেও শামসের সঙ্গে আসামি করা হয়। মতিউর রহমানকে গতকাল রোববার হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন।
এই মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হয়। একই সঙ্গে ওই সংবাদটি দৈনিক প্রথম আলো তাদের ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করে। মামলার বাদী তাঁর নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রতিবেদনটি সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির সামনে অবস্থানকালে রাত ৯টার সময় দেখতে পান। তিনি দেখতে পান প্রথম আলো জাকির হোসেন নামে এক দিনমজুরের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি, সেই শিশুর নাম জাকির হোসেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম? বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায়; যা দেশ-বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাঁদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। পরে ৭১ টিভি চ্যানেলসহ তাদের অনলাইন পোর্টালেও প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, প্রথম আলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, যে শিশুর কথা প্রথম আলোর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তার সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। নাম-পরিচয় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পত্রিকায় বলা হয়, শিশুটির নাম জাকির হোসেন, কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই শিশুর নাম সবুজ আহমেদ। তার বাড়ি সাভার থানার কুরগাঁও পাড়ায়। শিশুটির বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি, মা মুন্নী বেগমের তিন সন্তানের মধ্যে মেজ সন্তান সবুজ।
প্রথম আলোর তথ্যে বলা হয়েছে, সে দিনমজুর। কিন্তু সাত বছরের শিশু সবুজ আহমেদ প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে এবং স্কুল শেষে মাঝে মাঝে ফুল বিক্রি করে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ৭১ টিভির প্রতিবেদনে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন তিনি। বাদীর মনে পড়ে কুড়িগ্রামের বাসন্তী নামে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মহিলাকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই আতঙ্কে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। ঠিক সেই উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথম আলো অনলাইন ভার্সনে পরিকল্পিতভাবে এমন আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। অভিযোগ করেন এ ধরনের প্রতিবেদন স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশ করা ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানিকে অপমান করা।
এ দিকে পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মাহুতিকে অপমান করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত ও হেয় করা হয়েছে শামসের প্রতিবেদনে।
মৌলভীবাজারে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। এটি এ জেলার মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসাস্থল। তবে এই ভরসার জায়গায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ রোগীরা। প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পার হলেও ২০২৫ সালে এসে মাত্র ৪১ জন চিকিৎসক দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম।
১১ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়া ইউনিয়নে ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) তালিকায় দুস্থদের বাদ দিয়ে সচ্ছলদের অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ঈদ উপলক্ষে দেওয়া ভিজিএফের চাল পায়নি দুস্থরা। ঈদুল আজহার আগের দিন ভিজিএফের চাল বিতরণ শেষ করা হয়।
১৫ মিনিট আগেপ্রতিবছর ভাঙনে সংকুচিত হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এ বছর বর্ষার শুরুতে ভাঙনের কবলে পড়েছে সৈকতের সবুজ বেষ্টনী হিসেবে পরিচিত ঝাউবাগান। গত ১৫ দিনে কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত অন্তত ২০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে সৈকততীরের দৃষ্টিনন্দন ঝাউবন সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
১৭ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এতে নির্বাচনের লক্ষ্য, অংশগ্রহণের যোগ্যতা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে