Ajker Patrika

বাংলা একাডেমির অপতৎপরতা বন্ধের দাবি আদর্শের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ২০
বাংলা একাডেমির অপতৎপরতা বন্ধের দাবি আদর্শের

প্রতিবছর একুশে গ্রন্থমেলার প্রাক্কালে আয়োজক কমিটি নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী নীতিমালা তৈরি করে। যার কোনো কপি লেখক, প্রকাশক ও সাংবাদিক কাউকে দেওয়া হয় না। এই অদৃশ্য নীতিমালা মূলত লেখক-প্রকাশকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতিবছরই তারা বিভিন্ন অজুহাতে নানা প্রকাশনীকে হয়রানি করে জানিয়ে বাংলা একাডেমির এসব তৎপরতা বন্ধ করা উচিত বলে জানিয়েছেন আদর্শ প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুব রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে লেখকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং আসন্ন বইমেলায় আদর্শকে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। এ সময় আরও পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের মাহবুব রহমান বলেন, ‘বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলনের পর জাতির মননের প্রতীক হিসেবে গড়ে ওঠার যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বর্ধমান হাউস থেকে বাংলা একাডেমি হয়েছে, আজকের বাংলা একাডেমি সেই আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গণবিরোধী নুরুল আমিনের অবস্থানেই রয়ে গিয়েছে। এর আগে মেলা চলাকালে স্টল বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও আমরা দেখেছি। আমরা বাংলা একাডেমির এসব তৎপরতা বন্ধের দাবি জানাই।’

মাহবুব রহমান আরও বলেন, ‘যেখানে সংবিধানের ৩৯নং ধারায় প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, বিবেক, বাক্‌ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সেখানে বাংলা একাডেমি কোন যুক্তিতে সংবিধানবিরোধী অবস্থান নেয়? বাংলা একাডেমি বলছে, আদর্শর বই বাংলা একাডেমির স্টল বরাদ্দের নীতিমালা পরিপন্থী। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানা গেছে, এই নীতিমালা মনগড়া ও পরিবর্তনশীল।’

মাহবুব রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘১৫ জানুয়ারি মেলা কমিটির সদস্যসচিব মুজাহিদুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর কাছে এ বিষয়ে কোনো কাগজপত্র নেই। তাঁর অধস্তন কর্মকর্তা কবিরের কাছেও কোনো কাগজপত্র আসেনি। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট মেলা কমিটিতে থাকা চারজন প্রকাশক প্রতিনিধিও এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কমিটির মিটিংয়েও আদর্শর স্টল বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বাংলা একাডেমির ডিজিকে চিঠি দিয়েও কোনো উত্তর পাইনি। ১৭ জানুয়ারি আরেকটি চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠিরও কোনো উত্তর পাইনি।’

ব্যক্তির অর্জিত জ্ঞান, উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতাকে বইয়ের মাধ্যমে সমষ্টির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই আদর্শর প্রধান লক্ষ্য জানিয়ে প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘পাণ্ডুলিপি নির্বাচন এবং প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিদ্বেষ, নারীবিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষসহ যেকোনো বিদ্বেষ ও কুৎসামূলক লেখা আদর্শ কঠোরভাবে পরিহার করে। আদর্শ তার পাণ্ডুলিপি পরিকল্পনা এবং প্রকাশনার ক্ষেত্রে মানুষের চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়ক পাঠ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।’

আদর্শ স্টল না পেলে ৩ শতাধিক লেখক এবং লক্ষাধিক পাঠক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন জানিয়ে মাহবুব রহমান আরও বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে ধারদেনা করে আদর্শ লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে।  অনেকগুলো বই প্রেসে, বাঁধাইখানায় আটকে আছে। বইগুলো নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা ও চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছি। ২০১৯ সালেও বাংলা একাডেমি আদর্শের স্টল বন্ধ রেখেছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে স্টল বরাদ্দ দিতে বাধ্য হয় বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে মাহবুব রহমান জানান, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় লেখক ও প্রকাশকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত রাখতে হবে, অবিলম্বে আদর্শকে এর প্রাপ্যতা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দিতে হবে, আদর্শর যে তিনটি বইয়ের ব্যাপারে বাংলা একাডেমি আপত্তি জানিয়েছে, সেগুলো মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রির পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে হবে, গ্রন্থমেলায় আদর্শসহ সব প্রকাশক-লেখকদের হয়রানি বন্ধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং অবিলম্বে গ্রন্থমেলার দায়িত্ব সব প্রকাশকের সমন্বয়ে গঠিত প্রকাশক গিল্ডের হাতে তুলে দিতে হবে।

উল্লেখ, এবারের বইমেলায় জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’, ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’ এবং ফাহাম আব্দুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’—এই তিনটি বইকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ঐতিহ্যবাহী আদর্শ প্রকাশনীকে মেলায় স্টল বরাদ্দ দেয়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়ল মাইক্রোবাস

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
রাস্তার পাশে চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়ে যায় মাইক্রোবাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাস্তার পাশে চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়ে যায় মাইক্রোবাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়েছে। এই ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল থেকে পটুয়াখালীগামী একটি মাইক্রোবাস দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় সড়কের পাশে দোকানে চা পানরত কয়েকজনকে চাপা দিয়ে মাইক্রোবাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে দোকানের ক্রেতা ও মাইক্রোবাসের যাত্রীসহ আটজন আহত হন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন ভরতকাঠি এলাকার মজিদ হাওলাদার (৬০), মনির হাওলাদার (৪৫) ও হারুন (৬০)। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইক্রোবাসের চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, যার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস ছালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাস্তার পাশে পড়ে ছিল প্রবাসীর লাশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় সিরাজুল মণ্ডল (২৫) নামের এক প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের পূর্ব চরকৈজুরী এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

সিরাজুল উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত শাহাদৎ মণ্ডলের ছেলে।

মৃত ব্যক্তির ভাই আজিজুল মণ্ডল জানান, সিরাজুল দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফেরেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কেউ একজন তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফেরেননি। আজ সকালে ফজরের নামাজে যাওয়ার পথে স্থানীয় মুসল্লিরা রাস্তার পাশে তাঁর লাশ দেখতে পান।

শাহজাদপুর থানার ডিউটি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে বিমানের ইঞ্জিনে বোর্ডিং ব্রিজের আঘাত, লন্ডন ফ্লাইট বিলম্ব

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ২১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বোর্ডিং ব্রিজের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ (এস২-এজেটি) উড়োজাহাজের ইঞ্জিন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বে-৩ নম্বরে লন্ডনগামী ফ্লাইটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে উড়োজাহাজটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং নির্ধারিত লন্ডন ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিকল্প উড়োজাহাজ প্রস্তুত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে ফ্লাইট পরিচালনায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, এস২-এজেটি বিমান নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী (বিজি ৩৩৭ ফ্লাইটে এবং এস২-এজেটি বিমান বিজি ১২৫) ফ্লাইটে নিয়োজিত থাকবে। তবে বিজি ৩০৫ (টরন্টো) ফ্লাইট প্রায় ২ ঘণ্টা এবং বিজি ৩৪৭ (দুবাই) ফ্লাইট প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে যাবে।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, বোর্ডিং ব্রিজটি গিয়ে উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনের পাশে ধাক্কা লাগে। এতে উড়োজাহাজটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঢাকা থেকে আরেকটি উড়োজাহাজ সিলেটে পাঠানো হয়েছে। দুপুর আড়াইটায় যাত্রীদের নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

বোসরা আরও বলেন, উড়োজাহাজটির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এবং এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী, সে বিষয়ে তদন্ত করার পর বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল শিশুর

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত ইমরান বড় ভাইজোড়া গ্রামের মো. সোহেল ফকিরের ছেলে। সে হরিণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার বড় ভাইজোড়া গ্রামের আবু সালেহ আকন ধান চাষ করেন। তিনি ধানখেতে ইঁদুর মারার জন্য পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। আজ সকাল ৭টার দিকে ইমরান তার মা রিপা বেগমের সঙ্গে ধানখেতে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যায়। ওই সময় ইমরান ধানখেতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহফুজা আক্তার বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে শিশুটি মারা গেছে।

তালতলী পল্লী বিদ্যুৎ উপ-স্টেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ইমরান শেখ বলেন, মসজিদ থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে ধানখেতে নেওয়া সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত