নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বইমেলায় ক্রমে দর্শনার্থী ও পাঠকের ভিড় বাড়ছে। কার্যদিবসের তুলনায় শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভিড় বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে বইমেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠোর নির্দেশনা থাকলেও অনেকে গাফিলতি করছেন। দর্শনার্থী, পাঠক, প্রকাশক ও লেখক সবার মাঝেই এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আজ শনিবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী মেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ছয়জনকে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থদণ্ড দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার।
মেলায় এসে মাস্ক ছাড়া ঘুরছিলেন রায়হান হোসেন ও নাফিসা তারান্নুম নামের দুই তরুণ-তরুণী। এ সময় তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নজরে পড়েন। মাস্ক নেই কেন আদালতের এমন প্রশ্নে রায়হান বলেন, ‘ভুল হয়ে গেছে।’ এ সময় তাঁদের দুজনকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
দেখা যাচ্ছে, অনেক দর্শনার্থী বইমেলায় ঢোকার সময় মুখে মাস্ক নিয়ে ঢুকলেও ভেতরে গিয়ে খুলে ফেলছেন। কেউ পকেটে, কেউ থুতনিতে আবার কেউ গলায় ঝুলিয়ে রাখছেন।
অথচ বইমেলা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা—বইমেলা চত্বরে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বই বিক্রেতাদের জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, টিকা সনদ যাচাইয়ের নির্দেশনাও রয়েছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ১০ জানুয়ারি ১১টি বিধিনিষেধ জারি করে। ১৩ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হয়। এ নির্দেশনা কার্যকর করতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে বইমেলায় স্বাস্থ্যবিধিবিষয়ক অভিযান শুরু করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের মুখোমুখি হতেই সবাইকে নানা অজুহাত দিতে দেখা গেছে। তেমনই একজন তরুণ ব্যবসায়ী মো. নাঈম ও তাঁর সঙ্গে থাকা ফারজানা চৌধুরী। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে দেখে নাঈম পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরে ফেলেন। আদালত জানতে চাইলে নাঈম বলেন, ছবি তুলছিলেন বলে খুলে রেখেছেন! এ সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তাঁদের দুজনকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘুরে ঘুরে প্রকাশনীগুলোর স্টলে যান। স্টলগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিরা মাস্ক পরছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণ করেন।
বেলা ১টার দিকে ভ্যালেন্টিনো প্রকাশনীতে গিয়ে দেখা যায়, এর একমাত্র বিক্রয় প্রতিনিধি মো. বিল্লালের মুখে কোনো মাস্ক নেই। মাস্ক পরেননি কেন জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বিল্লাল বলেন, তাঁর ঠান্ডার সমস্যা আছে। মুখে মাস্ক পরে থাকলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
বিল্লালকে স্টল ত্যাগ করে বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নিতে এবং অন্য একজনকে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানোর জন্য ভ্যালেন্টিনো প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মো. জায়েদকে ফোন করে জানাতে নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিল্লাল ফোনে স্বত্বাধিকারীকে সে কথা জানান।
তবে বেলা পৌনে ৩টার দিকে ভ্যালোন্টিনো প্রকাশনীতে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা মো. বিল্লাল মানেননি। তিনি তখনো স্টলটিতে বিক্রয়কর্মীর দায়িত্ব পালন করছেন।
বেলা ১টার দিকে বাংলা প্রকাশ প্রকাশনীর সামনে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পান, এর বিক্রয় প্রতিনিধিসহ ১০ কর্মীর মধ্যে তিনজনের মুখেই মাস্ক নেই। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত এই প্রকাশনীর সামনে আসেন। মুখে মাস্ক না থাকা এক নারী বিক্রেতার কাছে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে ওই নারী মাস্ক খুঁজতে শুরু করেন। পকেট থেকে মাস্ক বের করে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বলেন, ‘ছবি তোলার জন্য মাস্ক খুলে রেখেছিলাম।’ অথচ তাঁরা কোনো ছবি তুলছিলেন না।
বাংলা প্রকাশের বিপণন ব্যবস্থাপক নূরন্নবী চৌধুরীর মুখেও কোনো মাস্ক ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে বাংলা প্রকাশকে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বেলা ৩টার দিকে ওই স্টলে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশনাটির দশজন বিক্রয় প্রতিনিধির মধ্যে তিনজনের মুখে মাস্ক নেই। এমনকি ব্যবস্থাপক নূরন্নবীর মাস্কও থুতনিতে নামানো।
বইমেলায় এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচেতনতাই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। বন্ধের দিন হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে বইমেলায় অনেকেই আসছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বইমেলায় প্রবেশের সময় মাস্ক পরেই ঢুকছেন। তবে ভেতরে ঢোকার পরে কেউ কেউ মাস্ক খুলে পকেটে রাখছেন।’
মনীষা রানী কর্মকার বলেন, ‘অপরাধ বুঝে দণ্ড দেওয়া হচ্ছে। যেসব প্রকাশনা স্বাস্থ্যবিধি মানছে তাদের ধন্যবাদ দেওয়া হচ্ছে।’
আজ বইমেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে ছয়জনকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বইমেলায় ক্রমে দর্শনার্থী ও পাঠকের ভিড় বাড়ছে। কার্যদিবসের তুলনায় শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভিড় বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে বইমেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠোর নির্দেশনা থাকলেও অনেকে গাফিলতি করছেন। দর্শনার্থী, পাঠক, প্রকাশক ও লেখক সবার মাঝেই এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আজ শনিবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী মেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ছয়জনকে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থদণ্ড দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার।
মেলায় এসে মাস্ক ছাড়া ঘুরছিলেন রায়হান হোসেন ও নাফিসা তারান্নুম নামের দুই তরুণ-তরুণী। এ সময় তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নজরে পড়েন। মাস্ক নেই কেন আদালতের এমন প্রশ্নে রায়হান বলেন, ‘ভুল হয়ে গেছে।’ এ সময় তাঁদের দুজনকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
দেখা যাচ্ছে, অনেক দর্শনার্থী বইমেলায় ঢোকার সময় মুখে মাস্ক নিয়ে ঢুকলেও ভেতরে গিয়ে খুলে ফেলছেন। কেউ পকেটে, কেউ থুতনিতে আবার কেউ গলায় ঝুলিয়ে রাখছেন।
অথচ বইমেলা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা—বইমেলা চত্বরে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বই বিক্রেতাদের জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, টিকা সনদ যাচাইয়ের নির্দেশনাও রয়েছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ১০ জানুয়ারি ১১টি বিধিনিষেধ জারি করে। ১৩ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হয়। এ নির্দেশনা কার্যকর করতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে বইমেলায় স্বাস্থ্যবিধিবিষয়ক অভিযান শুরু করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের মুখোমুখি হতেই সবাইকে নানা অজুহাত দিতে দেখা গেছে। তেমনই একজন তরুণ ব্যবসায়ী মো. নাঈম ও তাঁর সঙ্গে থাকা ফারজানা চৌধুরী। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে দেখে নাঈম পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরে ফেলেন। আদালত জানতে চাইলে নাঈম বলেন, ছবি তুলছিলেন বলে খুলে রেখেছেন! এ সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তাঁদের দুজনকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘুরে ঘুরে প্রকাশনীগুলোর স্টলে যান। স্টলগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিরা মাস্ক পরছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণ করেন।
বেলা ১টার দিকে ভ্যালেন্টিনো প্রকাশনীতে গিয়ে দেখা যায়, এর একমাত্র বিক্রয় প্রতিনিধি মো. বিল্লালের মুখে কোনো মাস্ক নেই। মাস্ক পরেননি কেন জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বিল্লাল বলেন, তাঁর ঠান্ডার সমস্যা আছে। মুখে মাস্ক পরে থাকলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
বিল্লালকে স্টল ত্যাগ করে বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নিতে এবং অন্য একজনকে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানোর জন্য ভ্যালেন্টিনো প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মো. জায়েদকে ফোন করে জানাতে নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিল্লাল ফোনে স্বত্বাধিকারীকে সে কথা জানান।
তবে বেলা পৌনে ৩টার দিকে ভ্যালোন্টিনো প্রকাশনীতে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা মো. বিল্লাল মানেননি। তিনি তখনো স্টলটিতে বিক্রয়কর্মীর দায়িত্ব পালন করছেন।
বেলা ১টার দিকে বাংলা প্রকাশ প্রকাশনীর সামনে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পান, এর বিক্রয় প্রতিনিধিসহ ১০ কর্মীর মধ্যে তিনজনের মুখেই মাস্ক নেই। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত এই প্রকাশনীর সামনে আসেন। মুখে মাস্ক না থাকা এক নারী বিক্রেতার কাছে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে ওই নারী মাস্ক খুঁজতে শুরু করেন। পকেট থেকে মাস্ক বের করে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বলেন, ‘ছবি তোলার জন্য মাস্ক খুলে রেখেছিলাম।’ অথচ তাঁরা কোনো ছবি তুলছিলেন না।
বাংলা প্রকাশের বিপণন ব্যবস্থাপক নূরন্নবী চৌধুরীর মুখেও কোনো মাস্ক ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে বাংলা প্রকাশকে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বেলা ৩টার দিকে ওই স্টলে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশনাটির দশজন বিক্রয় প্রতিনিধির মধ্যে তিনজনের মুখে মাস্ক নেই। এমনকি ব্যবস্থাপক নূরন্নবীর মাস্কও থুতনিতে নামানো।
বইমেলায় এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচেতনতাই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। বন্ধের দিন হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে বইমেলায় অনেকেই আসছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বইমেলায় প্রবেশের সময় মাস্ক পরেই ঢুকছেন। তবে ভেতরে ঢোকার পরে কেউ কেউ মাস্ক খুলে পকেটে রাখছেন।’
মনীষা রানী কর্মকার বলেন, ‘অপরাধ বুঝে দণ্ড দেওয়া হচ্ছে। যেসব প্রকাশনা স্বাস্থ্যবিধি মানছে তাদের ধন্যবাদ দেওয়া হচ্ছে।’
আজ বইমেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে ছয়জনকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আজ শনিবার সকালে কক্সবাজার সদর থানা এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে নগরের চান্দগাঁও থানা-পুলিশ। তিনি চান্দগাঁও থানার রাহাত্তারপুলে হামিদ আলী মিস্ত্রী বাড়ির মো. রফিকের ছেলে।
৩ মিনিট আগেঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৮ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে