নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ডাকাতির প্রায় ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাভার পৌর স্বর্ণ ও রৌপ্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সঞ্জিৎ শিল্পালয়ের মালিক সঞ্জিৎ ঘোষ, সমিতির কার্যালয়ের সহকারী ইমন ঘোষ ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী গণেশ চন্দ্র রায়।
জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট সকালে তাঁতীবাজারের সুমন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন তাঁর বাসা থেকে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার দোকানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাঁর গাড়িটি অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হাতিরঝিলের কাছাকাছি পৌঁছালে ১০ থেকে ১৫ জন ডাকাত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের গাড়ির গতি রোধ করে। এরপর তারা গাড়িতে থাকা সমস্ত স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মনির হোসেন তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারি জোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ১০ থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণ এবং স্বর্ণ বিক্রির ১৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকজন আসামি আদালতে জবানবন্দিতে ডাকাতির কথা স্বীকার করে।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাতে সাভার নামাবাজারের স্বর্ণপট্টি থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গণেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সঞ্জিৎ শিল্পালয় থেকে ২৩ ভরি ১২ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গণেশ জানিয়েছেন, ডাকাতির ৭৫ ভরি স্বর্ণের মধ্যে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণসহ বাকি স্বর্ণ তিনি সঞ্জিৎ শিল্পালয়ে বিক্রি করেছিলেন।
সঞ্জিৎ শিল্পালয়ের মালিক সঞ্জিৎ ঘোষ বলেন, ‘আমি গণেশের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে গলানো স্বর্ণ কিনেছি। স্বর্ণগুলো ডাকাতি করে আনা কি না তা আমার জানা ছিল না। গণেশ বাজারের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে সরল বিশ্বাসে তাঁর কাছ থেকে এসব স্বর্ণ কিনেছিলাম।’
তবে বাজারের ব্যবসায়ীদের অনেকে বলেন, বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পাওয়ার কারণে সঞ্জিৎ ঘোষ ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব স্বর্ণ কেনাবেচা করে তিনি বিপুল অর্থবৈভবের মালিক হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারি জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম বলেন, ‘গণেশ সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেন, যার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের পরই তিনি ডাকাতির ৭৫ ভরি স্বর্ণ সঞ্জিৎ শিল্পালয়ে বিক্রি করার কথা জানান। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন সাভার পৌর স্বর্ণ ও রৌপ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের সহকারী ইমন ঘোষ।’
ফজলুল করিম আরও বলেন, ‘খুব শিগগিরই লুট হওয়া বাকি স্বর্ণ উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ডাকাতির প্রায় ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাভার পৌর স্বর্ণ ও রৌপ্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সঞ্জিৎ শিল্পালয়ের মালিক সঞ্জিৎ ঘোষ, সমিতির কার্যালয়ের সহকারী ইমন ঘোষ ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী গণেশ চন্দ্র রায়।
জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট সকালে তাঁতীবাজারের সুমন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন তাঁর বাসা থেকে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার দোকানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাঁর গাড়িটি অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হাতিরঝিলের কাছাকাছি পৌঁছালে ১০ থেকে ১৫ জন ডাকাত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের গাড়ির গতি রোধ করে। এরপর তারা গাড়িতে থাকা সমস্ত স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মনির হোসেন তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারি জোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ১০ থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণ এবং স্বর্ণ বিক্রির ১৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকজন আসামি আদালতে জবানবন্দিতে ডাকাতির কথা স্বীকার করে।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাতে সাভার নামাবাজারের স্বর্ণপট্টি থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গণেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সঞ্জিৎ শিল্পালয় থেকে ২৩ ভরি ১২ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গণেশ জানিয়েছেন, ডাকাতির ৭৫ ভরি স্বর্ণের মধ্যে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণসহ বাকি স্বর্ণ তিনি সঞ্জিৎ শিল্পালয়ে বিক্রি করেছিলেন।
সঞ্জিৎ শিল্পালয়ের মালিক সঞ্জিৎ ঘোষ বলেন, ‘আমি গণেশের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে গলানো স্বর্ণ কিনেছি। স্বর্ণগুলো ডাকাতি করে আনা কি না তা আমার জানা ছিল না। গণেশ বাজারের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে সরল বিশ্বাসে তাঁর কাছ থেকে এসব স্বর্ণ কিনেছিলাম।’
তবে বাজারের ব্যবসায়ীদের অনেকে বলেন, বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পাওয়ার কারণে সঞ্জিৎ ঘোষ ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব স্বর্ণ কেনাবেচা করে তিনি বিপুল অর্থবৈভবের মালিক হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারি জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম বলেন, ‘গণেশ সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেন, যার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের পরই তিনি ডাকাতির ৭৫ ভরি স্বর্ণ সঞ্জিৎ শিল্পালয়ে বিক্রি করার কথা জানান। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন সাভার পৌর স্বর্ণ ও রৌপ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের সহকারী ইমন ঘোষ।’
ফজলুল করিম আরও বলেন, ‘খুব শিগগিরই লুট হওয়া বাকি স্বর্ণ উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ডাকাতির প্রায় ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাভার পৌর স্বর্ণ ও রৌপ্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সঞ্জিৎ শিল্পালয়ের মালিক সঞ্জিৎ ঘোষ, সমিতির কার্যালয়ের সহকারী ইমন ঘোষ ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী গণেশ চন্দ্র রায়।
জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট সকালে তাঁতীবাজারের সুমন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন তাঁর বাসা থেকে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার দোকানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাঁর গাড়িটি অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হাতিরঝিলের কাছাকাছি পৌঁছালে ১০ থেকে ১৫ জন ডাকাত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের গাড়ির গতি রোধ করে। এরপর তারা গাড়িতে থাকা সমস্ত স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মনির হোসেন তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারি জোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ১০ থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণ এবং স্বর্ণ বিক্রির ১৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকজন আসামি আদালতে জবানবন্দিতে ডাকাতির কথা স্বীকার করে।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাতে সাভার নামাবাজারের স্বর্ণপট্টি থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গণেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সঞ্জিৎ শিল্পালয় থেকে ২৩ ভরি ১২ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গণেশ জানিয়েছেন, ডাকাতির ৭৫ ভরি স্বর্ণের মধ্যে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণসহ বাকি স্বর্ণ তিনি সঞ্জিৎ শিল্পালয়ে বিক্রি করেছিলেন।
সঞ্জিৎ শিল্পালয়ের মালিক সঞ্জিৎ ঘোষ বলেন, ‘আমি গণেশের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে গলানো স্বর্ণ কিনেছি। স্বর্ণগুলো ডাকাতি করে আনা কি না তা আমার জানা ছিল না। গণেশ বাজারের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে সরল বিশ্বাসে তাঁর কাছ থেকে এসব স্বর্ণ কিনেছিলাম।’
তবে বাজারের ব্যবসায়ীদের অনেকে বলেন, বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পাওয়ার কারণে সঞ্জিৎ ঘোষ ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব স্বর্ণ কেনাবেচা করে তিনি বিপুল অর্থবৈভবের মালিক হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারি জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম বলেন, ‘গণেশ সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেন, যার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের পরই তিনি ডাকাতির ৭৫ ভরি স্বর্ণ সঞ্জিৎ শিল্পালয়ে বিক্রি করার কথা জানান। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন সাভার পৌর স্বর্ণ ও রৌপ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের সহকারী ইমন ঘোষ।’
ফজলুল করিম আরও বলেন, ‘খুব শিগগিরই লুট হওয়া বাকি স্বর্ণ উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ডাকাতির প্রায় ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাভার পৌর স্বর্ণ ও রৌপ্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সঞ্জিৎ শিল্পালয়ের মালিক সঞ্জিৎ ঘোষ, সমিতির কার্যালয়ের সহকারী ইমন ঘোষ ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী গণেশ চন্দ্র রায়।
জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট সকালে তাঁতীবাজারের সুমন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন তাঁর বাসা থেকে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার দোকানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাঁর গাড়িটি অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হাতিরঝিলের কাছাকাছি পৌঁছালে ১০ থেকে ১৫ জন ডাকাত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের গাড়ির গতি রোধ করে। এরপর তারা গাড়িতে থাকা সমস্ত স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মনির হোসেন তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারি জোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ১০ থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণ এবং স্বর্ণ বিক্রির ১৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকজন আসামি আদালতে জবানবন্দিতে ডাকাতির কথা স্বীকার করে।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাতে সাভার নামাবাজারের স্বর্ণপট্টি থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গণেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সঞ্জিৎ শিল্পালয় থেকে ২৩ ভরি ১২ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গণেশ জানিয়েছেন, ডাকাতির ৭৫ ভরি স্বর্ণের মধ্যে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণসহ বাকি স্বর্ণ তিনি সঞ্জিৎ শিল্পালয়ে বিক্রি করেছিলেন।
সঞ্জিৎ শিল্পালয়ের মালিক সঞ্জিৎ ঘোষ বলেন, ‘আমি গণেশের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে গলানো স্বর্ণ কিনেছি। স্বর্ণগুলো ডাকাতি করে আনা কি না তা আমার জানা ছিল না। গণেশ বাজারের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে সরল বিশ্বাসে তাঁর কাছ থেকে এসব স্বর্ণ কিনেছিলাম।’
তবে বাজারের ব্যবসায়ীদের অনেকে বলেন, বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পাওয়ার কারণে সঞ্জিৎ ঘোষ ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব স্বর্ণ কেনাবেচা করে তিনি বিপুল অর্থবৈভবের মালিক হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারি জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম বলেন, ‘গণেশ সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেন, যার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের পরই তিনি ডাকাতির ৭৫ ভরি স্বর্ণ সঞ্জিৎ শিল্পালয়ে বিক্রি করার কথা জানান। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন সাভার পৌর স্বর্ণ ও রৌপ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের সহকারী ইমন ঘোষ।’
ফজলুল করিম আরও বলেন, ‘খুব শিগগিরই লুট হওয়া বাকি স্বর্ণ উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে।
৪১ মিনিট আগে
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৬ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৬ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেশাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ‘বেজোড়া যুবসংঘ’ শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল।
আয়োজক কমিটির সদস্য রুবেল হোসেন বলেন, ‘দাওয়াত না পাওয়ায় রাত ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা সনি এসে মোটরসাইকেল আমাদের সাউন্ড বক্সের ওপরে তুলে দেন। তখন উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে সনি পাশেই নিজের বাড়িতে গিয়ে পিস্তল হাতে ফিরে এসে আমাকে গুলি করার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় শত শত জনতা সনিকে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার কৈগাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
ঘটনাস্থলে থাকা কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। পিস্তলটি সম্ভবত আসল না। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ‘বেজোড়া যুবসংঘ’ শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল।
আয়োজক কমিটির সদস্য রুবেল হোসেন বলেন, ‘দাওয়াত না পাওয়ায় রাত ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা সনি এসে মোটরসাইকেল আমাদের সাউন্ড বক্সের ওপরে তুলে দেন। তখন উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে সনি পাশেই নিজের বাড়িতে গিয়ে পিস্তল হাতে ফিরে এসে আমাকে গুলি করার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় শত শত জনতা সনিকে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার কৈগাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
ঘটনাস্থলে থাকা কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। পিস্তলটি সম্ভবত আসল না। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ডাকাতির প্রায় ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৬ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৬ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেগুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।
রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।
জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।
রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।
জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ডাকাতির প্রায় ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে।
৪১ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৬ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেমুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’
চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ডাকাতির প্রায় ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে।
৪১ মিনিট আগে
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৬ ঘণ্টা আগে
সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বজিত রায়, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত শুক্রবার তাহিরপুরের শনির হাওর এবং জামালগঞ্জের হালি হাওর ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গা দিয়ে পানি নামছে নদীতে। অধিকাংশ বাঁধ এলাকায় কাজ শুরুর মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। শনির হাওরের সাহেবনগর, জালালপুর, নয়ানগর, মারালা, ইগ্রামপুর, নিশ্চিন্তপুর, মুরাদনগর, শ্রীপুর হয়ে তাহিরপুর পর্যন্ত যেসব জায়গায় প্রতিবছর বাঁধের কাজ হয়, সেসব জায়গায় বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো আলামত চোখে পড়েনি। শুধু তা-ই নয়, হালি হাওরের একাংশ ঘুরে একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে।
হাওর-সচেতন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের রাজধানীখ্যাত সুনামগঞ্জ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। ওই বোরো ফসল হাতছাড়া হলে দুঃখের সীমা থাকে না এখানকার মানুষের। টেকসই ঝুঁকিমুক্ত বাঁধই পারে এক ফসলি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখতে। এর মধ্যে বাঁধের কাজে ব্যত্যয় ঘটলে গোটা হাওরাঞ্চল ঝুঁকিতে পড়বে।
কথা হয় তাহিরপুরের শনির হাওর পারের নয়ানগর গ্রামের কৃষক বাপ্পি মিয়ার সঙ্গে। বাঁধের প্রাক্কলন-জরিপের কাজ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরার গেরামের আশপাশে প্রতিবছরই পিআইসিরা বাঁধের কাজ করে। এই বছর জরিপের কাজ এখনো হইছে না, কয়দিনের মধ্যে হয়তো করব। সময় তো চইল্যা যাইতাছে (চলে যাচ্ছে)। তাড়াতাড়ি (দ্রুত) কাজ না করলে তো পরে আমরার দৌড়াদৌড়ি করন (করা) লাগে।’
জানা যায়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ হাওর বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ওই বছর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। সেই দুর্নীতি ঠেকাতে নতুন কাবিটা নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার। এই নীতিমালার আলোকে বিলুপ্ত হয় আগের ঠিকাদারি প্রথা। হাওরপারের কৃষিজীবী মানুষের সমন্বয়ে পিআইসি গঠন করে বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার নতুন নির্দেশনা জারি করা হয় নীতিমালায়। কিন্তু পুরোনো প্রথাই বলবৎ আছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে।
নীতিমালায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন; ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার কথা বলা আছে। কিন্তু পিআইসি গঠন দূরের কথা, এখন পর্যন্ত প্রাক্কলন ও জরিপের কাজই শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষক ও হাওর-সচেতন মানুষের মাঝে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও মেরামতে এ বছর ৬৯০টি পিআইসি গঠন করা হতে পারে। এ কাজে প্রাথমিক বরাদ্দ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। জেলার ৯৫টি হাওরের মধ্যে বাঁধের কাজ হবে ৫৩টি হাওরে। চলতি বছরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ এলাকায় সংস্কার ও মেরামতের কাজ হবে। ধর্মপাশা ও শাল্লায় বাঁধের কাজ সবচেয়ে বেশি।
শাল্লা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি তরুণ কান্তি দাস বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রলয়ংকরী হাওর বিপর্যয়ের পর বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ আসেনি। যে কারণে বাঁধ হওয়া না হওয়া নিয়ে তেমন প্রভাব পড়েনি। যদি অকালবন্যা পেয়ে বসে, তাহলে কৃষকের সর্বনাশ হবে। এখনো প্রাক্কলন-জরিপের কাজই চলছে। কাজের এই মন্থরগতি বিপদে ফেলতে পারে হাওরবাসীকে।’
পিআইসি গঠনপ্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরে এখন পর্যন্ত ৮৬টি ক্লোজার (বাঁধের বড় ভাঙা) শনাক্ত করা হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলার ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বাঁধে জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। প্রাক্কলনের কাজও ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম যেন চলছে কচ্ছপগতিতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। শেষ হয়নি জরিপ এবং প্রাক্কলনের কাজও। হাওরের অনেক জায়গা বাঁধ করার উপযোগী মনে হলেও ধীরগতির কারণে যথাসময়ে শেষ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত শুক্রবার তাহিরপুরের শনির হাওর এবং জামালগঞ্জের হালি হাওর ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো জায়গা দিয়ে পানি নামছে নদীতে। অধিকাংশ বাঁধ এলাকায় কাজ শুরুর মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। শনির হাওরের সাহেবনগর, জালালপুর, নয়ানগর, মারালা, ইগ্রামপুর, নিশ্চিন্তপুর, মুরাদনগর, শ্রীপুর হয়ে তাহিরপুর পর্যন্ত যেসব জায়গায় প্রতিবছর বাঁধের কাজ হয়, সেসব জায়গায় বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো আলামত চোখে পড়েনি। শুধু তা-ই নয়, হালি হাওরের একাংশ ঘুরে একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে।
হাওর-সচেতন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের রাজধানীখ্যাত সুনামগঞ্জ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। ওই বোরো ফসল হাতছাড়া হলে দুঃখের সীমা থাকে না এখানকার মানুষের। টেকসই ঝুঁকিমুক্ত বাঁধই পারে এক ফসলি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখতে। এর মধ্যে বাঁধের কাজে ব্যত্যয় ঘটলে গোটা হাওরাঞ্চল ঝুঁকিতে পড়বে।
কথা হয় তাহিরপুরের শনির হাওর পারের নয়ানগর গ্রামের কৃষক বাপ্পি মিয়ার সঙ্গে। বাঁধের প্রাক্কলন-জরিপের কাজ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরার গেরামের আশপাশে প্রতিবছরই পিআইসিরা বাঁধের কাজ করে। এই বছর জরিপের কাজ এখনো হইছে না, কয়দিনের মধ্যে হয়তো করব। সময় তো চইল্যা যাইতাছে (চলে যাচ্ছে)। তাড়াতাড়ি (দ্রুত) কাজ না করলে তো পরে আমরার দৌড়াদৌড়ি করন (করা) লাগে।’
জানা যায়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ হাওর বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ওই বছর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। সেই দুর্নীতি ঠেকাতে নতুন কাবিটা নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার। এই নীতিমালার আলোকে বিলুপ্ত হয় আগের ঠিকাদারি প্রথা। হাওরপারের কৃষিজীবী মানুষের সমন্বয়ে পিআইসি গঠন করে বাঁধের কাজ এগিয়ে নেওয়ার নতুন নির্দেশনা জারি করা হয় নীতিমালায়। কিন্তু পুরোনো প্রথাই বলবৎ আছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে।
নীতিমালায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন; ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার কথা বলা আছে। কিন্তু পিআইসি গঠন দূরের কথা, এখন পর্যন্ত প্রাক্কলন ও জরিপের কাজই শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষক ও হাওর-সচেতন মানুষের মাঝে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও মেরামতে এ বছর ৬৯০টি পিআইসি গঠন করা হতে পারে। এ কাজে প্রাথমিক বরাদ্দ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। জেলার ৯৫টি হাওরের মধ্যে বাঁধের কাজ হবে ৫৩টি হাওরে। চলতি বছরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার বাঁধ এলাকায় সংস্কার ও মেরামতের কাজ হবে। ধর্মপাশা ও শাল্লায় বাঁধের কাজ সবচেয়ে বেশি।
শাল্লা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি তরুণ কান্তি দাস বলেন, ‘২০১৭ সালের প্রলয়ংকরী হাওর বিপর্যয়ের পর বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ আসেনি। যে কারণে বাঁধ হওয়া না হওয়া নিয়ে তেমন প্রভাব পড়েনি। যদি অকালবন্যা পেয়ে বসে, তাহলে কৃষকের সর্বনাশ হবে। এখনো প্রাক্কলন-জরিপের কাজই চলছে। কাজের এই মন্থরগতি বিপদে ফেলতে পারে হাওরবাসীকে।’
পিআইসি গঠনপ্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হাওরে এখন পর্যন্ত ৮৬টি ক্লোজার (বাঁধের বড় ভাঙা) শনাক্ত করা হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলার ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বাঁধে জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। প্রাক্কলনের কাজও ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ডাকাতির প্রায় ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে।
৪১ মিনিট আগে
নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।
৬ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
৬ ঘণ্টা আগে