নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত দেশের জিডিপির ৩১ শতাংশ অবদান রাখে। এতে প্রায় ২.৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু দুর্নীতির কারণে এই খাত সবচেয়ে বেশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে কল অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন (সিএএসি) জাতীয় সম্মেলনে গবেষণা তথ্য তুলে ধরা হয়।
গবেষণা তথ্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালেহ জহুর। গবেষণার তথ্য বলছে, এসএমই উদ্যোক্তাদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জন মনে করেন এই সেক্টরে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার রয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৬২.৪ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন সিস্টেমের মধ্যে দুর্নীতি আছে। ৭১.৩ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন দুর্নীতির মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। ৬১ শতাংশ ব্যবসায়ী দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের নিয়মের বাইরে ব্যবসা চালিয়ে নিতে চায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, জরিপে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তারা ঘুষ দেওয়া ও সুবিধা লাভের জন্য রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগানোর কথা বেশি উল্লেখ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ৭৭.৯ শতাংশ ব্যবসায়ীকে ঘুষ দিতে হয়। ৬০.১ শতাংশ রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগায়। চাঁদাবাজির শিকার হন ৪৬.৩ শতাংশ ব্যবসায়ী। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৪৩.৯ শতাংশ ব্যবসায়ী স্বজনপ্রীতি ও ৪৩.১ শতাংশ অনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার আশ্রয় নেন। এ ছাড়া আঞ্চলিক আলোচনা সভায় নমুনা উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ এসএমই উদ্যোক্তা দুর্নীতির সম্মুখীন হয়েছেন।
সিজিএস দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ (সিআইপিই)-এর সহযোগিতায় এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে ৮০০ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ৪০০ সেবা খাতের ও ৪০০ উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গবেষণা টিমের প্রধান ড. আলী রিয়াজ বলেন, দুর্নীতি মোকাবিলায় বিভিন্ন খাত চিহ্নিত করে মোকাবিলা করতে হবে। এর জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি দুর্নীতির লাগাম টানা যায়, তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবেন। তাতে বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অর্থনৈতিক অপরাধ ও অর্থ পাচারের মতো বিষয় অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। এ দেশের জনগণ ও সরকারকে দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়তা করতে আমরা প্রস্তুত।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, দুর্নীতির কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। যিনি দুর্নীতি দমন করবেন, তিনি যখন নিজেই অভিযুক্ত হন তখন আর কথা বলতে পারেন না। ফলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার মানুষ কমে যায়। তাছাড়া বিশেষ সুবিধার জন্য অনেক মানুষ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত দেশের জিডিপির ৩১ শতাংশ অবদান রাখে। এতে প্রায় ২.৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু দুর্নীতির কারণে এই খাত সবচেয়ে বেশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে কল অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন (সিএএসি) জাতীয় সম্মেলনে গবেষণা তথ্য তুলে ধরা হয়।
গবেষণা তথ্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালেহ জহুর। গবেষণার তথ্য বলছে, এসএমই উদ্যোক্তাদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জন মনে করেন এই সেক্টরে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার রয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৬২.৪ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন সিস্টেমের মধ্যে দুর্নীতি আছে। ৭১.৩ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন দুর্নীতির মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। ৬১ শতাংশ ব্যবসায়ী দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের নিয়মের বাইরে ব্যবসা চালিয়ে নিতে চায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, জরিপে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তারা ঘুষ দেওয়া ও সুবিধা লাভের জন্য রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগানোর কথা বেশি উল্লেখ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ৭৭.৯ শতাংশ ব্যবসায়ীকে ঘুষ দিতে হয়। ৬০.১ শতাংশ রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগায়। চাঁদাবাজির শিকার হন ৪৬.৩ শতাংশ ব্যবসায়ী। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৪৩.৯ শতাংশ ব্যবসায়ী স্বজনপ্রীতি ও ৪৩.১ শতাংশ অনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার আশ্রয় নেন। এ ছাড়া আঞ্চলিক আলোচনা সভায় নমুনা উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ এসএমই উদ্যোক্তা দুর্নীতির সম্মুখীন হয়েছেন।
সিজিএস দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ (সিআইপিই)-এর সহযোগিতায় এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে ৮০০ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ৪০০ সেবা খাতের ও ৪০০ উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গবেষণা টিমের প্রধান ড. আলী রিয়াজ বলেন, দুর্নীতি মোকাবিলায় বিভিন্ন খাত চিহ্নিত করে মোকাবিলা করতে হবে। এর জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি দুর্নীতির লাগাম টানা যায়, তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবেন। তাতে বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অর্থনৈতিক অপরাধ ও অর্থ পাচারের মতো বিষয় অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। এ দেশের জনগণ ও সরকারকে দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়তা করতে আমরা প্রস্তুত।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, দুর্নীতির কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। যিনি দুর্নীতি দমন করবেন, তিনি যখন নিজেই অভিযুক্ত হন তখন আর কথা বলতে পারেন না। ফলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার মানুষ কমে যায়। তাছাড়া বিশেষ সুবিধার জন্য অনেক মানুষ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
নিম্নচাপ কেটে গেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও থেমেছে ভারী বর্ষণ। তবে উজানে ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বাড়ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। উজানের সেই ঢলে আবার ডুবছে ফেনী। একাধিক ভাঙা বাঁধ দিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
১ ঘণ্টা আগে‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
১ ঘণ্টা আগেভাগাড় উঁচু হয়ে গেছে পাহাড়ের সমান। সেখানে আর বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। ফলে রাজশাহী শহরের শত শত টন বর্জ্য প্রতিদিনই এলোমেলোভাবে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে, কৃষিজমিতে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও। এসব বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেঘাটে নেই চিরচেনা হাঁকডাক। চায়ের দোকানে উচ্চ স্বরে বাজছে না গান। পাওয়া যাচ্ছে না বরফ ভাঙার আওয়াজ। জেলে, শ্রমিক, ব্যাপারী, আড়তদার—সবাই ঝিমিয়ে আছেন। চোখেমুখে হতাশার চাপ। কারণ, শিকারের মৌসুমে ইলিশের আকাল চলছে। নদীতে যাওয়া জেলে নৌকাগুলো শূন্য হাতে ফিরে আসছে।
১ ঘণ্টা আগে