Ajker Patrika

হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালালেন পরিচয় দেওয়া স্বামী-শাশুড়ি

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালালেন পরিচয় দেওয়া স্বামী-শাশুড়ি

সাভারের একটি হাসপাতালে গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়েছেন স্বামী-শাশুড়ি পরিচয়দানকারী দুজন। খবর পেয়ে মৃত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার নরসিংহপুরে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতাল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এর আগে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামী ও শাশুড়ি পরিচয়ে দুজন ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে পুলিশকে জানাতে বলেন। এরপর থেকে কাউকে কিছু না বলে দুজন পালিয়ে যান। 

হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বুধবার রাত ৮টা ২৩ মিনিটে অটোরিকশা করে কথিত স্বামী ও শাশুড়ি ওই নারীকে নিয়ে হাসপাতালে ঢোকেন। পরে রিকশা থেকে নামিয়ে হাসপাতালের হুইল চেয়ারে করে হাসপাতাল কর্মীর সহায়তায় ভেতরে নিয়ে যান। এ সময় শাশুড়ি হাসপাতালের ভেতরে গেলেও স্বামী মোবাইল চাপতে চাপতে বাইরে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর শাশুড়ি বের হয়ে যান। আবার ৮টা ৩৬ মিনিটে স্বামী ও শাশুড়ি হাসপাতালের ভেতরে ঢোকেন। পরে ৮টা ৪০ মিনিটে প্রথমে স্বামী তাঁর পিছু পিছু শাশুড়ি হাসপাতালের মূল ফটক দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। একটু পরেই হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী তাঁদের আটকাতে দৌড়ে যান। কিন্তু না পেয়ে ৮টা ৪২ মিনিটে হাসপাতালে ফিরে আসেন। 

এ বিষয়ে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ম্যানেজার হারুন উর রশিদ বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক নারীকে অচেতন অবস্থায় আনেন দুজন। তাঁরা পরিচয় দিয়েছিলেন সেই নিহত নারীর স্বামী ও শাশুড়ি হিসেবে। আমাদের ডাক্তার জানতে চেয়েছিলেন কি হয়েছে রোগীর? পরে তাঁরা বলে মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন। বিষয়টি সন্দেহজনক ভেবে চিকিৎসক পুলিশকে ফোন দিতে বলার পর কৌশলে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান তাঁরা। এরপর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আজ দুপুরে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী বলেন, শুনেছি শাশুড়ি ও স্বামী পরিচয় দিয়ে গতকাল রাতে এই হাসপাতালে রেখে যায় দুজন। পরে হাসপাতাল থেকে কাল রাতেই জানানো হয়েছে। আজ এসে মরদেহ সুরতহাল করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নারীর নাম শিফা মনি (১৯) বলেছিল কথিত স্বামী ও শাশুড়ি। তবে এই পরিচয় সত্যি কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিচয় জানতে পিবিআইকে জানানো হয়েছে। 

পিবিআই ঢাকা জেলার এসআই সালেহ ইমরান বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় আঙুলের ছাপ নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করেও পরিচয় শনাক্ত করতে পারিনি। সম্ভবত ওই নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র হয়নি। এই জন্য তাঁর পরিচয়টি জানা যায়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত