Ajker Patrika

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১১ বছর: বন্ধ কারখানার সামনে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা 

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১১ বছর: বন্ধ কারখানার সামনে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা 

সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১১ বছর পূর্তিতে কারখানাটির সামনে ফুল দিয়ে নিহত শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে তাদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে আশুলিয়ায় কারখানাটির সামনে নিহত শ্রমিকদের স্বজনরা ফুল হাতে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

পরে পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগ, ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন মিছিল নিয়ে ব্যানার হাতে ফুল দিয়ে নিহত শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানায়। 

নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শিল্পাঞ্চল পুলিশও। 

এ সময় শ্রমিক নেতারা বলেন, আজকে তাজরিনের ১১ বছর। কিন্তু এ ঘটনায় কোনো বিচার এখনো হয়নি। নিহত শ্রমিকদের পরিবারগুলো কষ্টে দিন পার করছে। আর আহত শ্রমিকরা পঙ্গু হয়ে জীবন যাপন করছেন। আমাদের দাবি তাজরিনের এই ভবনটি ভেঙে এখানে শ্রমিকদের পুনর্বাসন অথবা হাসপাতালে তৈরি করা হোক। খুনি দেলোয়ারের ফাঁসি হোক।

ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের সাভার-আশুলিয়ার আঞ্চলিক সভাপতি মো. ইমন সিকদার বলেন, ‘আজ তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ডের ১০ বছর হলো। ওই দিন ১১৪ জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন অনেকে। কয়েকদিনের ব্যবধানে আরও বেশ কয়েকজন মারা গেছে। এখনো ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নিহত শ্রমিকের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের আজও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’

শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘তাজরীনের অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে বিষয়ে তারা সোচ্চার আছেন।’

জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিতপুরে তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত নিহত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১১৭ জন। এ ছাড়া আহত হন কয়েকশত শ্রমিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত