নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর দুপুরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বাস ভাঙচুর করায় আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাবের দিকে ধাওয়া দেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
এদিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়েছে এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে। তবে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে এসে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম জানান, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজে ফিরে যায় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মাসুদ আলম আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে এবং ছোটখাটো বিষয় থেকেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুই কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে মূল কারণ খুঁজে বের করে স্থায়ী সমাধান আনা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকেই রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সকাল থেকে সংঘর্ষ ও সড়ক অবরোধের কারণে নিউমার্কেট–সায়েন্সল্যাব ও আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় দুই কলেজের ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। কয়েক দিন আগে সিটি কলেজের দুই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এর জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের এক অনার্স শিক্ষার্থীকে মারধর করে। পরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে সিটি কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে আহত করে।
আহত দুই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ঢাকা কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাব্বির (২২) ও ঢাকা কলেজ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙচুর করে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে অন্তত কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাই প্রথম হামলা চালিয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভে নামে। সকালে এক দফা অবরোধের পর দুপুরে আবার সায়েন্সল্যাব মোড়ে তারা সড়ক অবরোধ করে। এতে নিউমার্কেট, ধানমন্ডি ও মিরপুর রোডে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। বিকল্প সড়কেও সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিউমার্কেট ও সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। সংঘর্ষের সুনির্দিষ্ট কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংঘর্ষ ও সড়ক অবরোধের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল হাতে সড়কে অবস্থান করছে, পুলিশ টহল দিচ্ছে এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।
আরও খবর পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ দুই কলেজের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি ও ১৯ জানুয়ারিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর দুপুরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বাস ভাঙচুর করায় আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাবের দিকে ধাওয়া দেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
এদিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়েছে এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে। তবে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে এসে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম জানান, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজে ফিরে যায় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মাসুদ আলম আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে এবং ছোটখাটো বিষয় থেকেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুই কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে মূল কারণ খুঁজে বের করে স্থায়ী সমাধান আনা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকেই রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সকাল থেকে সংঘর্ষ ও সড়ক অবরোধের কারণে নিউমার্কেট–সায়েন্সল্যাব ও আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় দুই কলেজের ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। কয়েক দিন আগে সিটি কলেজের দুই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এর জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের এক অনার্স শিক্ষার্থীকে মারধর করে। পরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে সিটি কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে আহত করে।
আহত দুই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ঢাকা কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাব্বির (২২) ও ঢাকা কলেজ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙচুর করে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে অন্তত কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাই প্রথম হামলা চালিয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভে নামে। সকালে এক দফা অবরোধের পর দুপুরে আবার সায়েন্সল্যাব মোড়ে তারা সড়ক অবরোধ করে। এতে নিউমার্কেট, ধানমন্ডি ও মিরপুর রোডে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। বিকল্প সড়কেও সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিউমার্কেট ও সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। সংঘর্ষের সুনির্দিষ্ট কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংঘর্ষ ও সড়ক অবরোধের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল হাতে সড়কে অবস্থান করছে, পুলিশ টহল দিচ্ছে এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।
আরও খবর পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ দুই কলেজের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি ও ১৯ জানুয়ারিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
১৫ মিনিট আগেসুন্দরবনের দুবলার চরে তিন দিনব্যাপী রাসপূর্ণিমা উৎসব আগামী ৩ নভেম্বর শুরু হচ্ছে। পুণ্যস্নানের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বী ও দর্শনার্থীদের যাতায়াতে বন বিভাগ পাঁচটি পথ (রুট) নির্ধারণ করেছে। এ সময় হরিণ মারার ফাঁদসহ বিভিন্ন দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৩২ মিনিট আগেলাইসেন্সধারী খুচরা সার বিক্রেতাদের জন্য ২০০৯ সালের নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন করেছে খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সংগঠনের সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন হয়। এতে উপজেলার ৫১ জন খুচরা
৩৪ মিনিট আগেসিটিটিসি ও ডিবি উভয় সংস্থা জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতা চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
৩৫ মিনিট আগে