নাজমুস সাকিব, মিরপুর (ঢাকা)
বস্তিবাসীর জন্য নির্মিত একটি ভবনের অষ্টম তলায় ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র পেয়েছেন হালিমা। তাঁর স্বামীর নাম মিন্টু মিয়া। কাগজপত্রে গরিব দেখানো হলেও বাস্তবে বাউনিয়া বাঁধের ই ব্লকের ১১ নম্বর লাইনে একটি তিনতলা বাড়ির মালিক এই দম্পতি।
হালিমাসহ এমন অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢাকার মিরপুর-১১ নম্বর বাউনিয়া বাঁধে বস্তিবাসীর জন্য নির্মিত ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাটে বরাদ্দ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ফ্ল্যাট বরাদ্দের তালিকায় নাম থাকা হালিমার স্বামী মিন্টু দাবি করেন, তাঁর একটি ভাঙারির দোকান আছে। আর তিনতলা বাড়ি তাঁর বউয়ের মাধ্যমে পেয়েছেন। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাঙারির দোকান না, থাই অ্যালুমিনিয়ামের দোকান রয়েছে মিন্টুর।
এমন অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে গত মঙ্গলবার জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা ডিভিশন-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে কলাবাগান বস্তিবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ জমা দেন বস্তির বাসিন্দা শেখ জাহাঙ্গীর।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২৫ বছর ধরে কলাবাগান বস্তিতে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সম্প্রতি বস্তিবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের যে ৩০০ ফ্ল্যাট ভাড়ার ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়েছে, সেখানে আমার মতো অনেক অসহায় গৃহহীন বস্তিবাসীর কপালে ফ্ল্যাট জোটেনি। অথচ যাঁদের নিজস্ব পাঁচতলা, ছয়তলা বাড়ি রয়েছে, তাঁদের অনেকেই ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন। আবার একই পরিবারের ১২ থেকে ১৯ জন সদস্যও ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এর মধ্যে এক চিহ্নিত বিএনপির নেত্রী রয়েছেন, যাঁর পরিবারের ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। আবার যাঁদের ভোটার আইডি কার্ডে বস্তি লেখা নেই, তাঁদেরও ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাউনিয়া বাঁধের ২ হাজার ৬০০ বাস্তুহারা পরিবারের যাঁরা দলিল পেয়েছেন, তাঁদের অনেকে ফ্ল্যাট পেয়েছেন। বস্তিতে যাঁরা একসময় বসবাস করতেন, পরবর্তী সময়ে তাঁরা বস্তি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন, তাঁদের অনেকে টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছেন।
অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন শেখ জাহাঙ্গীর। যাচাই করে জাহাঙ্গীরের অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হালিমা ছাড়াও ফ্ল্যাটপ্রাপ্তদের মধ্যে রেহেনার বাউনিয়া বাঁধ বি ব্লকের ২১ নম্বর লাইনে একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। রেহেনার স্বামীর নাম হাকিম। বাসা নম্বর ৬। আক্কাসের বি ব্লকের ২১ নম্বর লাইনে দুইতলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম ফেলু খাঁ। বাসা নম্বর ৭। আব্দুর রশিদের বি ব্লকের ২০ নম্বর লাইনে পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম সুন্দর আলী, বাসা নম্বর ৯। পারভীনের ই ব্লকের ৮ নম্বর লাইনে তিনতলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম কালু শিয়ালী। বাসা নম্বর ৯। হালেমার বি ব্লকের ১১ নম্বর লাইনে তিনতলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম আলম বাড়ি নম্বর-১।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সঠিক তদন্ত করে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম বাদ দিতে হবে। আর যাঁরা প্রকৃত বস্তিবাসী এবং এখনো বস্তিতে বসবাস করছেন, তাঁদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্ল্যাটের ভাড়াপত্র হস্তান্তর করতে হবে।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা অঞ্চল-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাড়াভিত্তিক ৩০০ ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৭২টি ফ্ল্যাটের ভাড়াপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো কারও সঙ্গে চুক্তি হয়নি। অভিযোগ যাচাই করে প্রমাণ মিললে তাঁদের বাদ দেওয়া হবে।
বস্তিবাসীর জন্য নির্মিত একটি ভবনের অষ্টম তলায় ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র পেয়েছেন হালিমা। তাঁর স্বামীর নাম মিন্টু মিয়া। কাগজপত্রে গরিব দেখানো হলেও বাস্তবে বাউনিয়া বাঁধের ই ব্লকের ১১ নম্বর লাইনে একটি তিনতলা বাড়ির মালিক এই দম্পতি।
হালিমাসহ এমন অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢাকার মিরপুর-১১ নম্বর বাউনিয়া বাঁধে বস্তিবাসীর জন্য নির্মিত ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাটে বরাদ্দ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ফ্ল্যাট বরাদ্দের তালিকায় নাম থাকা হালিমার স্বামী মিন্টু দাবি করেন, তাঁর একটি ভাঙারির দোকান আছে। আর তিনতলা বাড়ি তাঁর বউয়ের মাধ্যমে পেয়েছেন। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাঙারির দোকান না, থাই অ্যালুমিনিয়ামের দোকান রয়েছে মিন্টুর।
এমন অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে গত মঙ্গলবার জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা ডিভিশন-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে কলাবাগান বস্তিবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ জমা দেন বস্তির বাসিন্দা শেখ জাহাঙ্গীর।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২৫ বছর ধরে কলাবাগান বস্তিতে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সম্প্রতি বস্তিবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের যে ৩০০ ফ্ল্যাট ভাড়ার ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়েছে, সেখানে আমার মতো অনেক অসহায় গৃহহীন বস্তিবাসীর কপালে ফ্ল্যাট জোটেনি। অথচ যাঁদের নিজস্ব পাঁচতলা, ছয়তলা বাড়ি রয়েছে, তাঁদের অনেকেই ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন। আবার একই পরিবারের ১২ থেকে ১৯ জন সদস্যও ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এর মধ্যে এক চিহ্নিত বিএনপির নেত্রী রয়েছেন, যাঁর পরিবারের ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। আবার যাঁদের ভোটার আইডি কার্ডে বস্তি লেখা নেই, তাঁদেরও ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাউনিয়া বাঁধের ২ হাজার ৬০০ বাস্তুহারা পরিবারের যাঁরা দলিল পেয়েছেন, তাঁদের অনেকে ফ্ল্যাট পেয়েছেন। বস্তিতে যাঁরা একসময় বসবাস করতেন, পরবর্তী সময়ে তাঁরা বস্তি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন, তাঁদের অনেকে টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছেন।
অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন শেখ জাহাঙ্গীর। যাচাই করে জাহাঙ্গীরের অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হালিমা ছাড়াও ফ্ল্যাটপ্রাপ্তদের মধ্যে রেহেনার বাউনিয়া বাঁধ বি ব্লকের ২১ নম্বর লাইনে একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। রেহেনার স্বামীর নাম হাকিম। বাসা নম্বর ৬। আক্কাসের বি ব্লকের ২১ নম্বর লাইনে দুইতলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম ফেলু খাঁ। বাসা নম্বর ৭। আব্দুর রশিদের বি ব্লকের ২০ নম্বর লাইনে পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম সুন্দর আলী, বাসা নম্বর ৯। পারভীনের ই ব্লকের ৮ নম্বর লাইনে তিনতলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম কালু শিয়ালী। বাসা নম্বর ৯। হালেমার বি ব্লকের ১১ নম্বর লাইনে তিনতলা বাড়ি রয়েছে। পিতার নাম আলম বাড়ি নম্বর-১।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সঠিক তদন্ত করে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম বাদ দিতে হবে। আর যাঁরা প্রকৃত বস্তিবাসী এবং এখনো বস্তিতে বসবাস করছেন, তাঁদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্ল্যাটের ভাড়াপত্র হস্তান্তর করতে হবে।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা অঞ্চল-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাড়াভিত্তিক ৩০০ ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৭২টি ফ্ল্যাটের ভাড়াপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো কারও সঙ্গে চুক্তি হয়নি। অভিযোগ যাচাই করে প্রমাণ মিললে তাঁদের বাদ দেওয়া হবে।
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
৩৬ মিনিট আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
৩৯ মিনিট আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে