নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাস্তার মোড়ে মোড়ে জটলা। প্রায় প্রতিটি বাসস্টপেজেই ছিল মানুষের ভিড়। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিআরটিসির কিছু বাস ছাড়া আর কোনো গাড়ি চলেনি ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা। বেশি বিপাকে পড়েছেন কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরির পরীক্ষার্থীরা। গাড়ি না পেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাড়ায় যাত্রাপথে অনেকেই শেষমেশ রিকশাকেই সঙ্গী করেন।
রাজধানীর উত্তরা, গাবতলী, মিরপুর, মহাখালী, যাত্রাবাড়ীসহ প্রায় সব এলাকাতেই গতকাল শনিবার এমন চিত্র দেখা গেছে। পথচারীদের অভিযোগ, জরুরি কাজে তাঁদের রাস্তায় বের হতে হয়েছে। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে বাধ্য হয়ে ১০ টাকার জায়গায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা গুনতে হয়েছে। শাহবাগ থেকে রিকশায় পল্টন মোড়ে নামা যাত্রী ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেক জিনিসপত্র। হেঁটে আসারও উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে রিকশাতেই বেশি ভাড়া দিয়ে আসলাম।’
এদিকে রিকশার পাশাপাশি কিছু এলাকায় সরব ছিলেন রাইড শেয়ার করা চালকেরা। এদিন মোটরসাইকেলে যাত্রী নিতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া চেয়েছেন তাঁরা। রামপুরা ব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা চালক আব্দুল আলীম (৩৫) জানান, ধর্মঘটের মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই তাঁদের রাস্তায় বের হতে হয়েছে। এ জন্য তাঁরা ভাড়া বাড়িয়েছেন। তা ছাড়া উবারসহ বিভিন্ন অ্যাপেও এদিন বেশি ভাড়া আসছিল সকাল থেকেই।
বাড়তি ভাড়া নেওয়ার পেছনে দৈনিক বাংলা মোড়ে রিকশাচালক মমতাজ মিঞা বলেন, ‘আমরা তো আর ইচ্ছা করে ভাড়া বাড়াই নাই। কোনো কোনো এলাকায় ঢুকতে আমাদের লাইনম্যানকে বাড়তি টাকা দেওয়া লাগছে। ধর্মঘট শুনে তারাও চাঁদার টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর আমরা দিন আনি দিন খাই। এই সুযোগে হয়তো কিছু টাকা কামাইছি।’
উত্তরা প্রতিনিধি জানান, গণপরিবহন না পেয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে সকাল সকাল ভিড় বেড়ে যায়। তা ছাড়া উত্তরার আব্দুল্লাহপুর, হাউস বিল্ডিং, আজমপুর ও খিলক্ষেত এলাকার মহাসড়কে হাঁটতে দেখা যায় অনেক যাত্রীকে। এখানেও ভরসা হয়ে আসে ওই রিকশাই। এদিন গণপরিবহন না থাকলেও প্রাইভেট কারসহ নানা ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো।
আজমপুরে অপেক্ষমাণ দিনমজুর রাসেল বলেন, ধর্মঘট হইলেও আমাগো কাজ তো আর বন্ধ নাই। আমরা কাজে না গেলে খামু কী? তাই বেশি ভাড়া দিয়া রিকশাতেই যাচ্ছি।’
ট্রাফিক পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি সাইফুল হক বলেন, ‘গণপরিবহন না থাকায় রাস্তায় যানজট ২০-৩০ শতাংশ কমেছে।’
মিরপুর প্রতিনিধি জানান, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়াসহ মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল সীমাহীন। কলেজশিক্ষার্থী সুমন হোসেন জানান, কারওয়ান বাজার থেকে তিনি মিরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছেন ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে।
সুমন বলেন, ‘দেশটা মগের মুল্লুক হয়ে গেছে, যার যা ইচ্ছা তা-ই হচ্ছে এখানে। সরকারের উচিত হয় ডিজেলের দাম কমানো। আর না হয় পরিবহনমালিকদের সঙ্গে বসে ভাড়ার বিষয়ে কিছু একটা করা। তবে মোট কথা, দিন শেষে জনগণের ওপর দিয়েই সব যাবে।’
ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সন্তানের খাবার পৌঁছে দিয়ে মিরপুর ২ নম্বরে হতাশা নিয়ে বসে ছিলেন সজল চৌধুরী। বাড়তি ভাড়া নিয়ে সজল বলেন, ‘আসা-যাওয়া মিলে আমার ৬০০ টাকা শেষ। বিআরটিসির বাসে যাব ভাবছিলাম। কিন্তু সিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলে যাই। আমার ছেলেকে তো ডাক্তারের কথা অনুযায়ী খাবার দিতে হয়। কী আর করা!’
এদিকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের বিআরটিসি কাউন্টারে সকাল থেকে ভিড় করেন নানা বয়সী মানুষ। গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর মধ্যেই ৩৭টি বাসের ৩৫টিই ছেড়ে গেছে নানা গন্তব্যে। বাকি ২টি বাসের আসনসংখ্যার চেয়ে যাত্রী অনেক বেশি।
স্থানীয় ট্রাফিক ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সকালে এমনিতেই চাপ বেশি থাকে। ধর্মঘটের কারণে এই চাপ আরও বেড়েছে। গাড়ি তো আর এত বেশি নেই।’
আজকের পত্রিকার মিটফোর্ড প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে উঠে আসে রোগীদের ভোগান্তির কথা। ধর্মঘটে ভুক্তভোগীদের একজন মনোয়ারা বেগম (৩৪), যিনি কেরানীগঞ্জ থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসেন। সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট দুই সন্তান। মণি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার আজ হাসপাতালে আসার তারিখ। কিন্তু বের হয়ে দেখি ২০০ টাকার ভাড়া ৫০০ চাইতাছে। আমার স্বামী নেই। নিজে টুকটাক কাজ করে সংসার চালাই। অসুখটা বাড়ছে। হাতে যা ছিল সব দিয়াই চলে আসছি মিটফোর্ডে।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে গত শুক্রবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছেন মালিক-শ্রমিকেরা।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে জটলা। প্রায় প্রতিটি বাসস্টপেজেই ছিল মানুষের ভিড়। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিআরটিসির কিছু বাস ছাড়া আর কোনো গাড়ি চলেনি ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা। বেশি বিপাকে পড়েছেন কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরির পরীক্ষার্থীরা। গাড়ি না পেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাড়ায় যাত্রাপথে অনেকেই শেষমেশ রিকশাকেই সঙ্গী করেন।
রাজধানীর উত্তরা, গাবতলী, মিরপুর, মহাখালী, যাত্রাবাড়ীসহ প্রায় সব এলাকাতেই গতকাল শনিবার এমন চিত্র দেখা গেছে। পথচারীদের অভিযোগ, জরুরি কাজে তাঁদের রাস্তায় বের হতে হয়েছে। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে বাধ্য হয়ে ১০ টাকার জায়গায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা গুনতে হয়েছে। শাহবাগ থেকে রিকশায় পল্টন মোড়ে নামা যাত্রী ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেক জিনিসপত্র। হেঁটে আসারও উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে রিকশাতেই বেশি ভাড়া দিয়ে আসলাম।’
এদিকে রিকশার পাশাপাশি কিছু এলাকায় সরব ছিলেন রাইড শেয়ার করা চালকেরা। এদিন মোটরসাইকেলে যাত্রী নিতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া চেয়েছেন তাঁরা। রামপুরা ব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা চালক আব্দুল আলীম (৩৫) জানান, ধর্মঘটের মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই তাঁদের রাস্তায় বের হতে হয়েছে। এ জন্য তাঁরা ভাড়া বাড়িয়েছেন। তা ছাড়া উবারসহ বিভিন্ন অ্যাপেও এদিন বেশি ভাড়া আসছিল সকাল থেকেই।
বাড়তি ভাড়া নেওয়ার পেছনে দৈনিক বাংলা মোড়ে রিকশাচালক মমতাজ মিঞা বলেন, ‘আমরা তো আর ইচ্ছা করে ভাড়া বাড়াই নাই। কোনো কোনো এলাকায় ঢুকতে আমাদের লাইনম্যানকে বাড়তি টাকা দেওয়া লাগছে। ধর্মঘট শুনে তারাও চাঁদার টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর আমরা দিন আনি দিন খাই। এই সুযোগে হয়তো কিছু টাকা কামাইছি।’
উত্তরা প্রতিনিধি জানান, গণপরিবহন না পেয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে সকাল সকাল ভিড় বেড়ে যায়। তা ছাড়া উত্তরার আব্দুল্লাহপুর, হাউস বিল্ডিং, আজমপুর ও খিলক্ষেত এলাকার মহাসড়কে হাঁটতে দেখা যায় অনেক যাত্রীকে। এখানেও ভরসা হয়ে আসে ওই রিকশাই। এদিন গণপরিবহন না থাকলেও প্রাইভেট কারসহ নানা ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো।
আজমপুরে অপেক্ষমাণ দিনমজুর রাসেল বলেন, ধর্মঘট হইলেও আমাগো কাজ তো আর বন্ধ নাই। আমরা কাজে না গেলে খামু কী? তাই বেশি ভাড়া দিয়া রিকশাতেই যাচ্ছি।’
ট্রাফিক পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি সাইফুল হক বলেন, ‘গণপরিবহন না থাকায় রাস্তায় যানজট ২০-৩০ শতাংশ কমেছে।’
মিরপুর প্রতিনিধি জানান, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়াসহ মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল সীমাহীন। কলেজশিক্ষার্থী সুমন হোসেন জানান, কারওয়ান বাজার থেকে তিনি মিরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছেন ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে।
সুমন বলেন, ‘দেশটা মগের মুল্লুক হয়ে গেছে, যার যা ইচ্ছা তা-ই হচ্ছে এখানে। সরকারের উচিত হয় ডিজেলের দাম কমানো। আর না হয় পরিবহনমালিকদের সঙ্গে বসে ভাড়ার বিষয়ে কিছু একটা করা। তবে মোট কথা, দিন শেষে জনগণের ওপর দিয়েই সব যাবে।’
ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সন্তানের খাবার পৌঁছে দিয়ে মিরপুর ২ নম্বরে হতাশা নিয়ে বসে ছিলেন সজল চৌধুরী। বাড়তি ভাড়া নিয়ে সজল বলেন, ‘আসা-যাওয়া মিলে আমার ৬০০ টাকা শেষ। বিআরটিসির বাসে যাব ভাবছিলাম। কিন্তু সিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলে যাই। আমার ছেলেকে তো ডাক্তারের কথা অনুযায়ী খাবার দিতে হয়। কী আর করা!’
এদিকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের বিআরটিসি কাউন্টারে সকাল থেকে ভিড় করেন নানা বয়সী মানুষ। গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর মধ্যেই ৩৭টি বাসের ৩৫টিই ছেড়ে গেছে নানা গন্তব্যে। বাকি ২টি বাসের আসনসংখ্যার চেয়ে যাত্রী অনেক বেশি।
স্থানীয় ট্রাফিক ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সকালে এমনিতেই চাপ বেশি থাকে। ধর্মঘটের কারণে এই চাপ আরও বেড়েছে। গাড়ি তো আর এত বেশি নেই।’
আজকের পত্রিকার মিটফোর্ড প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে উঠে আসে রোগীদের ভোগান্তির কথা। ধর্মঘটে ভুক্তভোগীদের একজন মনোয়ারা বেগম (৩৪), যিনি কেরানীগঞ্জ থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসেন। সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট দুই সন্তান। মণি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার আজ হাসপাতালে আসার তারিখ। কিন্তু বের হয়ে দেখি ২০০ টাকার ভাড়া ৫০০ চাইতাছে। আমার স্বামী নেই। নিজে টুকটাক কাজ করে সংসার চালাই। অসুখটা বাড়ছে। হাতে যা ছিল সব দিয়াই চলে আসছি মিটফোর্ডে।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে গত শুক্রবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছেন মালিক-শ্রমিকেরা।
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর গ্রামে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
১৩ মিনিট আগেকক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মোহাম্মদ নুর (২৫) নামের এক রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাকে (মাঝি) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এ ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেরাজধানীর গুলশানের একটি বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে শতাধিক ব্যক্তি। বাড়িটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের বলে দাবি করেন তারা। ওই বাড়িতে গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা হত্যাকারীরা আশ্রয় নিয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্র...
২২ মিনিট আগে‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৯ ঘণ্টা আগে