Ajker Patrika

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: হেলেনা জাহাঙ্গীর ও রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন হেলেনা জাহাঙ্গীর ও অভিনেতা রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। 

আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতে নেসার উদ্দিন বাহাদুর নামে একব্যক্তি এই মামলা করেন। 

আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে মতিঝিল থানা পুলিশকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিনেতা রাসেল মিয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে তার কথিত বোন বলে পরিচয় দেন। নিজেকে অত্যন্ত প্রতাপশালী বিখ্যাত চিত্রনায়ক বলে দাবি করেন। 

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার সাড়ে ৭টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের পাপমুক্ত ছবির একটি বক্তব্য নেসার উদ্দিনের দৃষ্টিগোচর হয়। সেখানে হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ওযু করে হলে গিয়ে ছবি দেখে বের হয়ে নামাজ পড়তে পারবে।’ 

তার এ ধরনের বক্তব্য সব মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ও ন্যাক্কারজনক। যা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। তিনি অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিতভাবে সচেতন অভিপ্রায়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। 

রাসেল মিয়া গত ২১ সেপ্টেম্বর তাদের মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে থানায় গিয়ে আবারও কোরআন শরীফ ছুঁয়ে মিথ্যা বলতে দেখা যায়। এভাবে একাধিকবার কোরআন শরীফ ছুঁয়ে মিথ্যাকে সত্য প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালায় যা মুসলিম সমাজে কোরআন অবমাননা ও চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর নিদর্শন। ধর্মকে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে হেলেনা জাহাঙ্গীর ইসলাম ধর্মবিরোধী কথা বলে এবং রাসেল মিয়া পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা শপথ করে সারা দেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে সচেতন অভিপ্রায় নিয়ে আঘাত করেন। 

গত কয়েক বছর ধরে আলোচিত-সমালোচিত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যোক্তা হেলেনা জাহাঙ্গীর। ২০২০ সালে ‘আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টারকে ঘিরে বিতর্কিত হন তিনি। পরে তার আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য পদ বাতিল করা হয় । 

২০২১ সালে গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করে র‍্যাব। তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, ক্যাসিনো সরঞ্জাম, বিদেশি মুদ্রা ও হরিণের চামড়া জব্দ করা হয়। 

এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। জয়যাত্রা টেলিভিশনের প্রতিবেদকের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলাও হয়। সেই মামলায় তাকে ২০২৩ সালের ২০ মার্চ দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছিলেন ঢাকার একটি আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত