উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা ও পূর্ব থানা ঘেরাওয়ের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আটক তিন ছাত্রকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান ও উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদকে বদলি ও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
উত্তরা পূর্ব থানা প্রাঙ্গণে আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহসিম ফয়েজ সাকিব এবং পুলিশের হাতে আটক হওয়ার মুক্ত হওয়া ইন্ডিপেডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) ছাত্র আসিফুল হক রবিন আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান।
উত্তরা পূর্ব থানা থেকে ছাড়া পাওয়া ওই তিন ছাত্র হলেন— আইইউবিএর ছাত্র আসিফুল হক রবিন, উত্তরা টাউন ডিগ্রি কলেজের আকাশ ও গাজীপুরের বিএএসটির ছাত্র বাপ্পি।
আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম অ্যাভিনিউ সড়কে উত্তরা পশ্চিম থানা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। মিটিং চলাকালে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদের নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে থেকে আকাশ, রবিন ও বাপ্পি নামের তিন ছাত্রকে আটক করে। পরে তাদের উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ছাত্রদের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তরার অন্য ছাত্ররা তাঁদের ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। একপর্যায়ের তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশকে মারধর করেন। এতে উত্তরা পশ্চিম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মহাদেব আহত হন।
শিক্ষার্থী তাহসিম ফয়েজ সাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা আমাদের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়েছে, তাঁরাই চাঁদাবাজির করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। আবার তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে আমাদের তিন সহযোদ্ধাকে পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু আটকের কারণ জানার জন্য আমরা তিন ঘণ্টা থানায় অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোনো সদুত্তর না দিয়ে আমাদের বসিয়ে রেখেছে। পরে আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলন শুরু করি। তারপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। আটকের কারণ জানতে চাইলে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহানও কোনো কারণ জানাতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কোনো নির্দেশও দিই নাই।’’’
সাকিব আরও বলেন, ‘তিন ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে হয়রানির বিষয়ে ডিসি রওনক জাহান আমাদের বলেছেন, উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান ও এসআই আবু সাঈদকে বদলি ও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’
আটকের পর মুক্তি পাওয়া ছাত্র আসিফুল হক রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা উত্তরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তালিকা করছিলাম। ওই সময় উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আবু সাঈদ আমাদের নিয়ে আসে। আটক করার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘‘আমাদের নামের উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওসি স্যার বলছে, ডিসি স্যার আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’’’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে আসছে, তখন উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ বলছে, ওদের নামে তো কোনো মামলাই নেই। ওদেরকে কেন অ্যারেস্ট করব?’
অভিযোগ করে রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা রিস্ক নিয়ে আওয়ামী লীগ ধরায়ে দেই, ছিনতাইকারী ধরায়ে দিই। অথচ ক্রেডিট নেয় উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান। আবার সেই ওসিই আমাদের নামে অভিযোগ নিয়ে ধরে নিয়ে গেছিল। অথচ ওসি হাফিজই বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য করেন। আমার সামনেও বিএনপির এক লোক তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বলেছে, ‘এই নেন আপনার বাকি টাকাটা। তখন আমরা থাকায় ওসি ওই বিএনপির নেতাকে বলেছেন, ‘‘আমি এসবে নেই। এসব আমাকে দেন কেন?’’’
যে কারণে আটক হন তিন ছাত্র
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধা পরিচয়ে কাজী জুবায়ের, সৈয়দ সামিউল ইসলাম, মো. আজাদ ও মাহতাব খান বাঁধন বাদী উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ বরাবর কাছে একটি অভিযোগ দেন।
অভিযোগে তাঁরা উল্লেখ করেন, আকাশ, লাবিব মুহাম্মাদ, রাজু আহমেদ আসিফ, বাপ্পি খান, ওয়েস রহমান, নাহিদ শিকদার, আসিফুল রবিন, সাকিব অত্যন্ত খারাপ, দুষ্ট, দাঙ্গাবাজ, চাঁদাবাজ, পরধনলোভী, প্রতারক এবং সমাজের বিশৃঙ্খলাকারী। তারা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়ে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকারের বিশৃংখল এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটায়। বর্তমানেও তারা নির্দ্বিধায় এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজি প্রতারণা এবং হুমকি দেওয়ার মতো নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তাঁদের দ্বারা সমাজের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগণ যখন আমাদের বরাবর নালিশ জানায়, তখন আমরা উক্ত অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে কাজ শুরু করি। তবে সমাজের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের ডাকে এবং তাদের উপকারে আমরা যখন এগিয়ে আসি তখন আমরা দুষ্কৃতকারীরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় আমরা খুবই ভীত ও জীবন সংকটে রয়েছি।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামীম আহমেদ ও বিমানবন্দর জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম এমরানুল হক মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশই বলতে পারবে, তাঁরা কেন আটক করেছে। তারা আটকের পর কেন আমাদের থানায় দিয়ে গেছে, সেটাও আমরা জানি না। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসিই বলতে পারবেন, কেন তিন ছাত্রকে আটক করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
সর্বশেষ রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত উত্তরা পূর্ব থানার কম্পিউটার ল্যাব রুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের মিটিং করতে দেখা যায়।
মিটিংয়ে উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান, উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আহম্মেদ আলী, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সাদ্দাম হোসেন, বিমানবন্দর জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম এমরানুল হক মারুফ, উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোহাম্মদ শামীম আহমেদসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা রয়েছেন। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান ও এসআই আবু সাঈদের বদলি ও ব্যবস্থার বিষয়ে কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা ও পূর্ব থানা ঘেরাওয়ের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আটক তিন ছাত্রকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান ও উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদকে বদলি ও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
উত্তরা পূর্ব থানা প্রাঙ্গণে আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহসিম ফয়েজ সাকিব এবং পুলিশের হাতে আটক হওয়ার মুক্ত হওয়া ইন্ডিপেডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) ছাত্র আসিফুল হক রবিন আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান।
উত্তরা পূর্ব থানা থেকে ছাড়া পাওয়া ওই তিন ছাত্র হলেন— আইইউবিএর ছাত্র আসিফুল হক রবিন, উত্তরা টাউন ডিগ্রি কলেজের আকাশ ও গাজীপুরের বিএএসটির ছাত্র বাপ্পি।
আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম অ্যাভিনিউ সড়কে উত্তরা পশ্চিম থানা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। মিটিং চলাকালে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদের নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে থেকে আকাশ, রবিন ও বাপ্পি নামের তিন ছাত্রকে আটক করে। পরে তাদের উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ছাত্রদের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তরার অন্য ছাত্ররা তাঁদের ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। একপর্যায়ের তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশকে মারধর করেন। এতে উত্তরা পশ্চিম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মহাদেব আহত হন।
শিক্ষার্থী তাহসিম ফয়েজ সাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা আমাদের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়েছে, তাঁরাই চাঁদাবাজির করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। আবার তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে আমাদের তিন সহযোদ্ধাকে পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু আটকের কারণ জানার জন্য আমরা তিন ঘণ্টা থানায় অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোনো সদুত্তর না দিয়ে আমাদের বসিয়ে রেখেছে। পরে আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলন শুরু করি। তারপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। আটকের কারণ জানতে চাইলে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহানও কোনো কারণ জানাতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কোনো নির্দেশও দিই নাই।’’’
সাকিব আরও বলেন, ‘তিন ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে হয়রানির বিষয়ে ডিসি রওনক জাহান আমাদের বলেছেন, উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান ও এসআই আবু সাঈদকে বদলি ও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’
আটকের পর মুক্তি পাওয়া ছাত্র আসিফুল হক রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা উত্তরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তালিকা করছিলাম। ওই সময় উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আবু সাঈদ আমাদের নিয়ে আসে। আটক করার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘‘আমাদের নামের উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওসি স্যার বলছে, ডিসি স্যার আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’’’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে আসছে, তখন উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ বলছে, ওদের নামে তো কোনো মামলাই নেই। ওদেরকে কেন অ্যারেস্ট করব?’
অভিযোগ করে রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা রিস্ক নিয়ে আওয়ামী লীগ ধরায়ে দেই, ছিনতাইকারী ধরায়ে দিই। অথচ ক্রেডিট নেয় উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান। আবার সেই ওসিই আমাদের নামে অভিযোগ নিয়ে ধরে নিয়ে গেছিল। অথচ ওসি হাফিজই বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য করেন। আমার সামনেও বিএনপির এক লোক তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বলেছে, ‘এই নেন আপনার বাকি টাকাটা। তখন আমরা থাকায় ওসি ওই বিএনপির নেতাকে বলেছেন, ‘‘আমি এসবে নেই। এসব আমাকে দেন কেন?’’’
যে কারণে আটক হন তিন ছাত্র
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধা পরিচয়ে কাজী জুবায়ের, সৈয়দ সামিউল ইসলাম, মো. আজাদ ও মাহতাব খান বাঁধন বাদী উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ বরাবর কাছে একটি অভিযোগ দেন।
অভিযোগে তাঁরা উল্লেখ করেন, আকাশ, লাবিব মুহাম্মাদ, রাজু আহমেদ আসিফ, বাপ্পি খান, ওয়েস রহমান, নাহিদ শিকদার, আসিফুল রবিন, সাকিব অত্যন্ত খারাপ, দুষ্ট, দাঙ্গাবাজ, চাঁদাবাজ, পরধনলোভী, প্রতারক এবং সমাজের বিশৃঙ্খলাকারী। তারা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়ে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকারের বিশৃংখল এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটায়। বর্তমানেও তারা নির্দ্বিধায় এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজি প্রতারণা এবং হুমকি দেওয়ার মতো নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তাঁদের দ্বারা সমাজের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগণ যখন আমাদের বরাবর নালিশ জানায়, তখন আমরা উক্ত অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে কাজ শুরু করি। তবে সমাজের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের ডাকে এবং তাদের উপকারে আমরা যখন এগিয়ে আসি তখন আমরা দুষ্কৃতকারীরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় আমরা খুবই ভীত ও জীবন সংকটে রয়েছি।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামীম আহমেদ ও বিমানবন্দর জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম এমরানুল হক মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশই বলতে পারবে, তাঁরা কেন আটক করেছে। তারা আটকের পর কেন আমাদের থানায় দিয়ে গেছে, সেটাও আমরা জানি না। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসিই বলতে পারবেন, কেন তিন ছাত্রকে আটক করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
সর্বশেষ রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত উত্তরা পূর্ব থানার কম্পিউটার ল্যাব রুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের মিটিং করতে দেখা যায়।
মিটিংয়ে উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান, উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আহম্মেদ আলী, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সাদ্দাম হোসেন, বিমানবন্দর জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম এমরানুল হক মারুফ, উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোহাম্মদ শামীম আহমেদসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা রয়েছেন। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান ও এসআই আবু সাঈদের বদলি ও ব্যবস্থার বিষয়ে কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ ও বকেয়া পরিশোধের দাবিতে জিপি হাউসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকারবঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে শতাধিক ব্যক্তি এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
৪১ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন ছাত্রকে আটকের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদকে ক্লোজড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের মরদেহ আদালতের নির্দেশে উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাঁর পরিবার এতে বাধা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্থানীয় প্রশাসন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা কবরস্থানে উপস্থিত হলে নিহত ব্যক্তির বাবা আলমগীর হোসে
২ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) এক কর্মকর্তাকে জুতাপেটা করার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে তাঁকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করেন প্রকৌশল শাখার দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী মতিউর রহমান।
৩ ঘণ্টা আগে