Ajker Patrika

দেশকে একটি সামাজিক কল্যাণকর রাষ্ট্র করতে চাই: তথ্যমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশকে একটি সামাজিক কল্যাণকর রাষ্ট্র করতে চাই: তথ্যমন্ত্রী 

সরকার সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চায় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার মানবিক রাষ্ট্র গঠন করার পাশাপাশি একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রও গঠন করতে চায়। আমরা ভবিষ্যৎ পথচলায় দেশকে একটি সামাজিক কল্যাণকর রাষ্ট্র করতে চাই।’

আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত একটি প্রকাশনা উৎসবের আয়োজনে এ কথা বলেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ওপর রচিত ‘তারুণ্যে উদ্দীপ্ত বরেণ্য প্রবীণ বিদগ্ধজন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী।

সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে গুণী মানুষদের সম্মান করতে হয়। যে সমাজ গুণী মানুষের শ্রদ্ধা করে না সে সমাজে গুণী মানুষ তৈরি হয় না বলে মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে সারি সারি গাড়ি চলে যাবে এবং রাস্তার পাশে একজন মানুষ হাত পেতে দাঁড়িয়ে থাকবে। আর কেউ তাকে সাহায্য করতে দাঁড়াবে না এমন সমাজেরতো দরকার নেই। উন্নত দেশ যেমন ইউরোপের মতো দেশগুলোতে যেখানে সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র আছে সেখানে রাষ্ট্র তাদের বাসস্থান এবং খাদ্য নিশ্চিত করেছে।’

মানুষে মানবিকতা, মমত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমে আজ মানুষগুলোও বস্তু হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বস্তুগত উন্নয়ন আর কিছু যন্ত্রের ব্যবহার এই দুইটির কারণে মানুষও বস্তু হতে যাচ্ছে এবং যন্ত্রের মতো আচরণ করছে। মানুষের মানবিকতা, মমত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সমাজও। আমরা উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার চিন্তা করি। তবে একটি উন্নত রাষ্ট্র হতে হলে আসলে যা হওয়া দরকার তা আমরা মানিনা।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উন্নত রাষ্ট্র কি পাশ্চাত্যকে অন্ধ অনুকরণের মধ্যেই হবে। কেউ বয়স্ক হয়ে গেলে তার ঠিকানা হবে বৃদ্ধাশ্রমে। এটিই যেন নিয়তি। সমাজ তা মেনে নিয়েছে এটি সমাজের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কি এমনি একটি উন্নত রাষ্ট্র চাই! আমি অন্তত চাই না। আমরা চাই একটি উন্নত রাষ্ট্র এবং একই সঙ্গে একটি মানবিক রাষ্ট্র। আর এই মানবিক রাষ্ট্র হতে হলে মানবিকতার বিকাশ দরকার। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এই বিষয় গুলো তুলে ধরা দরকার। যা কিনা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে না বলে আমি মনে করি।’

সমাজ পরিবর্তনের পেছনে তরুণ প্রজন্মের করণীয় উল্লেখ করে হাসান মাহমুদ বলেন, নতুন প্রজন্ম যদি গুরুজনদের সম্মান না করে। আর পিতা-মাতাকে বোঝা মনে করে। তাহলেতো মানবিক রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। তাই এদের নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। মানুষ এবং রাজনীতিবিদেরা যেন এগুলো নিয়ে চিন্তা করে। আমি জানি এই কথায় সমাজ পরিবর্তন হবে না। কিন্তু মানুষ ভাববে। সবাই যদি ভাবে তাহলে আসলে পরিবর্তন হবে।’

অনুষ্ঠান শেষে তথ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সব সময় রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, কিছু সময় মানুষ ও মানবিক কথা বলতে হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. মো আবদুল করিম। বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক শফি আহমদ, প্রফেসর শেখ ইকরামূল কবির, মো. জামাল হোসেন, সোহরাব হাসান, পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর কাদের, অধ্যাপক ড. নাজমা বেগমসহ আরও অনেকেই। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রাম (প্র‍্যাকটিকাম শিক্ষা)। বইটির প্রকাশনা করেন পলক পাবলিশার্স।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত