নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আবারও বসতে যাচ্ছে ‘পাখিদের বিধানসভা’। ইরানি সুফি কবি ও দার্শনিক ফরিদ উদ্দিন আত্তারের ‘মানতিকুত তোয়ায়ের’ অবলম্বনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ প্রযোজিত নাটকটি ২২ ও ২৩ মে প্রদর্শিত হবে।
নাটকটি রচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহমান মৈশান। পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির। বিভাগের ১৪ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী নাটকটিতে অভিনয়ে অংশগ্রহণ করেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২ ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের এই নাটকে উঠে এসেছে মানুষের মধ্যে না পাওয়া, অপূর্ণতা, দুঃখ, অতৃপ্তি ও আত্মার মিলনের মোহ। নাটকটি মঞ্চে আনতে সহযোগিতা করেছে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
নাটকটির রচয়িতা ড. শাহমান মৈশান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই নাটক বস্তুত ধ্রুপদি সুফি সাহিত্যের সঙ্গে আমার নিজের সময়ের ঘনিষ্ঠতা সন্ধানের একটি নান্দনিক রাজনৈতিক পদ্ধতির ফলিত রূপ। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের আগুনলাল সময়ের জঠরে বসে লিখেছি পাখিদের বিধানসভা। ফলে এই নাটক হয়ে উঠেছে আমাদের সময়ের সম্মিলিত রুহের শিহরণ-কম্পিত আধ্যাত্মিকতার এক রাজনৈতিক নাটলিপি।’
নাটকটি প্রসঙ্গে শাহমান মৈশান বলেন, নাটকের আখ্যান গড়ে উঠেছে পাঁচ পর্বে। প্রথম পর্বে দেখা যায়, একটি ব্যর্থ হতে থাকা রাষ্ট্রে বিপ্লব আর প্রতিবিপ্লবের পর একদল যুবক-যুবতীর ভিতর-বাহিরে চলছে বহুমুখী ঘাত-প্রতিঘাত-অন্তর্ঘাত। পরবর্তী পর্বগুলো পাখির রূপকে চিত্রিত মানুষের জীবনের পরম সত্য অর্থের খোঁজে এক অনিবার্য উড়ালযাত্রা। পথের মধ্যে বাধা, বিপদ এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবের মুখোমুখি হলেও শেষ পর্যন্ত তারা বাদশাহ সিমুর্গের দরবারে পৌঁছায়। তখন উপলব্ধি করে, তারা প্রত্যেকে নিজেরাই একেকটি সিমুর্গ। পাখিদের বিধানসভার কাহিনি, মৃত্যুভয়হীন আত্মানুসন্ধানের এক রাজনৈতিক উড়ালের আধ্যাত্মিক গল্প।
নাটকের নির্দেশক অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির বলেন, নাটকটি সুফিবাদ এবং আত্ম-অন্বেষণের গভীর দর্শনকে ধারণ করে তৈরি হয়েছে। নাটকের মূলে রয়েছে একতার উপলব্ধি ও আত্ম-অন্বেষণের আকাঙ্ক্ষা। পাখিদের এই যাত্রা মানবজীবনের প্রতীকী রূপ। সুফি সংগীত এবং ব্রেখটের অ্যালিয়েনেশন ইফেক্ট ব্যবহার করেছি। মহড়ার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নানুপুরে অবস্থিত গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী দরবার শরিফে তিন দিন অবস্থান করে অভিনয়ে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সুফি ধারা, এর আচার এবং আধ্যাত্মিক নিয়মাবলি পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে জানান তিনি।
আহমেদুল কবির আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অনন্য দিক হলো সুফিবাদ; যা আধ্যাত্মিকতা, মানবিকতা ও প্রেমের মর্মকে ধারণ করে। এই দর্শন নাটকের মতো শিল্পমাধ্যমে তুলে ধরার অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনকে অন্যভাবে দেখতে শেখায়। নাটক লেখা থেকে শুরু করে নাটক নির্মাণপ্রক্রিয়ায় শুধু আধ্যাত্মিক দর্শন বা ঐতিহ্যের অনুসন্ধান নয়, এটি বর্তমান সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক এবং মানসিক জটিলতাগুলো মোকাবিলার মধ্য দিয়ে নতুন আলোচনার দ্বার উন্মোচন করার এক ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
নাটকটিতে অভিনয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নাটকটির মূল বিষয় অ্যালিয়েনেশন থেকে সেলফ রিয়েলাইজেশন। নাটকটি সুফিতত্ত্বমূলক রূপক-নাটক। নাটকের দর্শন-পরিসরেও অভিকরণ-পরিসরে রূপক-সংকেতের সংবন্ধন ঘটেছে। নাটকের প্রত্যেকটি চরিত্রই পাখি। পাখি হলো আমাদের দেহলীন চিরন্তন রুহ-এর প্রতীক।
এই নাটকের মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনায় আছেন মহসিনা আক্তার। ডিজিটাল চিত্র পরিকল্পনা করেছেন শান্তনু হালদার। আলোক পরিকল্পনায় ধীমান চন্দ্র বর্মণ। আলোক প্রক্ষেপণে আছেন ধীমান চন্দ্র বর্মণ, সাহাবুদ্দিন মিয়া, মজনু মিয়া। দেহবিন্যাসে অমিত চৌধুরী, সংগীত পরিকল্পনায় সাইদুর রহমান লিপন। নাটকটিতে অভিনয় করছেন আবে হায়াত সৈকত, আল মামুন, আহাদনূর ফকির, এস এ তানভীর, জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদ, তাহিয়া তাসনিম, নিকিতা আযম, মুজাহিদুল ইসলাম রিফাত, রিফাত করবী, রিফাত জাহান শাওন, প্রাণ কৃষ্ণ বণিক, বাদল হোসেন বাদশা, মাহমুদুর রহমান মুক্ত ও সনজিত কুমার দে।

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আবারও বসতে যাচ্ছে ‘পাখিদের বিধানসভা’। ইরানি সুফি কবি ও দার্শনিক ফরিদ উদ্দিন আত্তারের ‘মানতিকুত তোয়ায়ের’ অবলম্বনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ প্রযোজিত নাটকটি ২২ ও ২৩ মে প্রদর্শিত হবে।
নাটকটি রচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহমান মৈশান। পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির। বিভাগের ১৪ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী নাটকটিতে অভিনয়ে অংশগ্রহণ করেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২ ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের এই নাটকে উঠে এসেছে মানুষের মধ্যে না পাওয়া, অপূর্ণতা, দুঃখ, অতৃপ্তি ও আত্মার মিলনের মোহ। নাটকটি মঞ্চে আনতে সহযোগিতা করেছে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
নাটকটির রচয়িতা ড. শাহমান মৈশান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই নাটক বস্তুত ধ্রুপদি সুফি সাহিত্যের সঙ্গে আমার নিজের সময়ের ঘনিষ্ঠতা সন্ধানের একটি নান্দনিক রাজনৈতিক পদ্ধতির ফলিত রূপ। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের আগুনলাল সময়ের জঠরে বসে লিখেছি পাখিদের বিধানসভা। ফলে এই নাটক হয়ে উঠেছে আমাদের সময়ের সম্মিলিত রুহের শিহরণ-কম্পিত আধ্যাত্মিকতার এক রাজনৈতিক নাটলিপি।’
নাটকটি প্রসঙ্গে শাহমান মৈশান বলেন, নাটকের আখ্যান গড়ে উঠেছে পাঁচ পর্বে। প্রথম পর্বে দেখা যায়, একটি ব্যর্থ হতে থাকা রাষ্ট্রে বিপ্লব আর প্রতিবিপ্লবের পর একদল যুবক-যুবতীর ভিতর-বাহিরে চলছে বহুমুখী ঘাত-প্রতিঘাত-অন্তর্ঘাত। পরবর্তী পর্বগুলো পাখির রূপকে চিত্রিত মানুষের জীবনের পরম সত্য অর্থের খোঁজে এক অনিবার্য উড়ালযাত্রা। পথের মধ্যে বাধা, বিপদ এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবের মুখোমুখি হলেও শেষ পর্যন্ত তারা বাদশাহ সিমুর্গের দরবারে পৌঁছায়। তখন উপলব্ধি করে, তারা প্রত্যেকে নিজেরাই একেকটি সিমুর্গ। পাখিদের বিধানসভার কাহিনি, মৃত্যুভয়হীন আত্মানুসন্ধানের এক রাজনৈতিক উড়ালের আধ্যাত্মিক গল্প।
নাটকের নির্দেশক অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির বলেন, নাটকটি সুফিবাদ এবং আত্ম-অন্বেষণের গভীর দর্শনকে ধারণ করে তৈরি হয়েছে। নাটকের মূলে রয়েছে একতার উপলব্ধি ও আত্ম-অন্বেষণের আকাঙ্ক্ষা। পাখিদের এই যাত্রা মানবজীবনের প্রতীকী রূপ। সুফি সংগীত এবং ব্রেখটের অ্যালিয়েনেশন ইফেক্ট ব্যবহার করেছি। মহড়ার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নানুপুরে অবস্থিত গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী দরবার শরিফে তিন দিন অবস্থান করে অভিনয়ে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সুফি ধারা, এর আচার এবং আধ্যাত্মিক নিয়মাবলি পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে জানান তিনি।
আহমেদুল কবির আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অনন্য দিক হলো সুফিবাদ; যা আধ্যাত্মিকতা, মানবিকতা ও প্রেমের মর্মকে ধারণ করে। এই দর্শন নাটকের মতো শিল্পমাধ্যমে তুলে ধরার অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনকে অন্যভাবে দেখতে শেখায়। নাটক লেখা থেকে শুরু করে নাটক নির্মাণপ্রক্রিয়ায় শুধু আধ্যাত্মিক দর্শন বা ঐতিহ্যের অনুসন্ধান নয়, এটি বর্তমান সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক এবং মানসিক জটিলতাগুলো মোকাবিলার মধ্য দিয়ে নতুন আলোচনার দ্বার উন্মোচন করার এক ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
নাটকটিতে অভিনয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নাটকটির মূল বিষয় অ্যালিয়েনেশন থেকে সেলফ রিয়েলাইজেশন। নাটকটি সুফিতত্ত্বমূলক রূপক-নাটক। নাটকের দর্শন-পরিসরেও অভিকরণ-পরিসরে রূপক-সংকেতের সংবন্ধন ঘটেছে। নাটকের প্রত্যেকটি চরিত্রই পাখি। পাখি হলো আমাদের দেহলীন চিরন্তন রুহ-এর প্রতীক।
এই নাটকের মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনায় আছেন মহসিনা আক্তার। ডিজিটাল চিত্র পরিকল্পনা করেছেন শান্তনু হালদার। আলোক পরিকল্পনায় ধীমান চন্দ্র বর্মণ। আলোক প্রক্ষেপণে আছেন ধীমান চন্দ্র বর্মণ, সাহাবুদ্দিন মিয়া, মজনু মিয়া। দেহবিন্যাসে অমিত চৌধুরী, সংগীত পরিকল্পনায় সাইদুর রহমান লিপন। নাটকটিতে অভিনয় করছেন আবে হায়াত সৈকত, আল মামুন, আহাদনূর ফকির, এস এ তানভীর, জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদ, তাহিয়া তাসনিম, নিকিতা আযম, মুজাহিদুল ইসলাম রিফাত, রিফাত করবী, রিফাত জাহান শাওন, প্রাণ কৃষ্ণ বণিক, বাদল হোসেন বাদশা, মাহমুদুর রহমান মুক্ত ও সনজিত কুমার দে।

সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
৫ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল এবং ভারত সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি পদ্মার চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
৬ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে পরিত্যক্ত দ্বিতল একটি ভবনের নিচতলায় ‘ভেনম রিসার্চ সেন্টার’ পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় আট বছর আগে চারটি সাপ দিয়ে শুরু হয় গবেষণা। পরে সেন্টারটিতে সাপের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে। সাপের সংখ্যা বেড়ে ৪০০টিতে দাঁড়িয়েছে। এগুলো ১০ প্রজাতির। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিষধর সাপ সংগ্রহ করা হয়। ভেনম রিসার্চ সেন্টারে পোষা সাপের বিষ দিয়েই সাপে কাটা রোগীর জন্য তৈরি হচ্ছে প্রতিষেধক। এই রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক হিসেবে আছেন চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ। চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ রয়েছেন ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে। ৬ জনের এ গবেষণা দলে সহযোগী গবেষক হিসেবে রয়েছেন মিজানুর রহমান, মো. নোমান, রফিকুল ইসলাম ও আবদুল আউয়াল।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে চমেক ক্যাম্পাসে ভেনম রিসার্চ সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল প্ল্যান কার্যক্রমের আওতায় পরিচালিত। এ গবেষণা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে সাপের বিষ থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি ইঁদুরের শরীরে ক্লিনিক্যালি ট্রায়াল করা হয়েছে। এতে সাফল্য এসেছে। বর্তমানে এ কেন্দ্রে বিষধর সাপের মধ্যে রয়েছে পদ্মগোখরা, খৈয়া গোখরা, কালকেউটে, শঙ্খিনী, দুই প্রজাতির সবুজ বোড়া।
দেশে প্রতিবছর বর্ষায় চন্দ্রবোড়া, গোখরা, কালকেউটে, কিং কোবরা ও সবুজ বোড়ার মতো সাপের কামড়ের ঘটনা বাড়ে। আক্রান্তদের অনেকে চিকিৎসকের বদলে কবিরাজ বা ওঝার কাছে যান। ফলে অনেককে আর বাঁচানো যায় না। এভাবে দেশে প্রতিবছর ৬ হাজারের বেশি সাপে কাটা রোগী মারা যায়।
চমেক হাসপাতালের তথ্য বলছে, এ হাসপাতালে ২০২৪ সালে সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয় ১ হাজার ২৮৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছে তিনজন। অ্যান্টিভেনম পেয়েছিল মাত্র ৫২ জন। ২০২৩ সালে ভর্তি ছিল ১ হাজার ৩৬৮ জন। এর মধ্যে মারা যায় দুজন।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ‘রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম তৈরি করে ইতিমধ্যে আমরা ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করিয়েছি। পরীক্ষামূলক কাজ শেষ করে সফলও হয়েছি।’ এ নিয়ে তৈরি করা গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ হলে দেশে অ্যান্টিভেনম তৈরির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলেও প্রত্যাশা করেন এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এই সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, সাপের কামড় একটি গ্রামীণ সমস্যা। অতীতে এর চিকিৎসা শহরকেন্দ্রিক থাকলেও এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও মিলছে চিকিৎসা। দেশে বর্তমানে ভারতের তৈরি পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম ব্যবহার করা হয় বলেও জানান তিনি।

সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে পরিত্যক্ত দ্বিতল একটি ভবনের নিচতলায় ‘ভেনম রিসার্চ সেন্টার’ পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় আট বছর আগে চারটি সাপ দিয়ে শুরু হয় গবেষণা। পরে সেন্টারটিতে সাপের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে। সাপের সংখ্যা বেড়ে ৪০০টিতে দাঁড়িয়েছে। এগুলো ১০ প্রজাতির। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিষধর সাপ সংগ্রহ করা হয়। ভেনম রিসার্চ সেন্টারে পোষা সাপের বিষ দিয়েই সাপে কাটা রোগীর জন্য তৈরি হচ্ছে প্রতিষেধক। এই রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক হিসেবে আছেন চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ। চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ রয়েছেন ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে। ৬ জনের এ গবেষণা দলে সহযোগী গবেষক হিসেবে রয়েছেন মিজানুর রহমান, মো. নোমান, রফিকুল ইসলাম ও আবদুল আউয়াল।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে চমেক ক্যাম্পাসে ভেনম রিসার্চ সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল প্ল্যান কার্যক্রমের আওতায় পরিচালিত। এ গবেষণা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে সাপের বিষ থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি ইঁদুরের শরীরে ক্লিনিক্যালি ট্রায়াল করা হয়েছে। এতে সাফল্য এসেছে। বর্তমানে এ কেন্দ্রে বিষধর সাপের মধ্যে রয়েছে পদ্মগোখরা, খৈয়া গোখরা, কালকেউটে, শঙ্খিনী, দুই প্রজাতির সবুজ বোড়া।
দেশে প্রতিবছর বর্ষায় চন্দ্রবোড়া, গোখরা, কালকেউটে, কিং কোবরা ও সবুজ বোড়ার মতো সাপের কামড়ের ঘটনা বাড়ে। আক্রান্তদের অনেকে চিকিৎসকের বদলে কবিরাজ বা ওঝার কাছে যান। ফলে অনেককে আর বাঁচানো যায় না। এভাবে দেশে প্রতিবছর ৬ হাজারের বেশি সাপে কাটা রোগী মারা যায়।
চমেক হাসপাতালের তথ্য বলছে, এ হাসপাতালে ২০২৪ সালে সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয় ১ হাজার ২৮৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছে তিনজন। অ্যান্টিভেনম পেয়েছিল মাত্র ৫২ জন। ২০২৩ সালে ভর্তি ছিল ১ হাজার ৩৬৮ জন। এর মধ্যে মারা যায় দুজন।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ‘রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম তৈরি করে ইতিমধ্যে আমরা ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করিয়েছি। পরীক্ষামূলক কাজ শেষ করে সফলও হয়েছি।’ এ নিয়ে তৈরি করা গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ হলে দেশে অ্যান্টিভেনম তৈরির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলেও প্রত্যাশা করেন এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এই সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, সাপের কামড় একটি গ্রামীণ সমস্যা। অতীতে এর চিকিৎসা শহরকেন্দ্রিক থাকলেও এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও মিলছে চিকিৎসা। দেশে বর্তমানে ভারতের তৈরি পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম ব্যবহার করা হয় বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আবারও বসতে যাচ্ছে ‘পাখিদের বিধানসভা’। ইরানি সুফি কবি ও দার্শনিক ফরিদ উদ্দিন আত্তারের ‘মানতিকুত তোয়ায়ের’ অবলম্বনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ প্রযোজিত নাটকটি ২২ ও ২৩ মে প্রদর্শিত হবে।
২২ মে ২০২৫
কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
৫ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল এবং ভারত সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি পদ্মার চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
৬ ঘণ্টা আগেসাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন। যেখানে গুরুতর আঘাত উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মিথ্যা সনদের কারণে তাঁকে ২৬ দিন কারাভোগ করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নজরুল ইসলাম। একই দিনে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এর আগের দিন গত বুধবার চিকিৎসা সনদ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নজরুল। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের উত্তর কান্দাইল কুকিমাদল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ২৮ মে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক আরিফুল ইসলাম তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। ২৬ দিন কারাভোগের পর গত ২৩ জুন তিনি জামিন পান।
আসামি ও বাদীপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি সকালে করিমগঞ্জের কুকিমাদল গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম তাঁর এক সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ তোলেন। ওই দিন দুপুরে তাঁর সন্তান উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক দিন আদালতে মামলা করার জন্য আইনি পরামর্শ নিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন গত ১ মার্চ নজরুলকে মারধর, তাঁর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালান।
পরদিন গত ২ মার্চ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগে মামলার আরজি করেন। ৩ মার্চ আদালতে অপহরণের অভিযোগে মামলার আরজি করেন নজরুলের স্ত্রী মোছা. রোকেয়া। একই দিন নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগেও আদালতে আরেকটি মামলা করেন রোকেয়া।
মামলার পর গত ৬ মার্চ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন প্রতিপক্ষ জয়কা ইউনিয়নের এমদাদুল হকের স্ত্রী মোছা. হোসনা। এতে নজরুলসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৩ মার্চ সন্ধ্যায় এমদাদুল হককে রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার চাহিদাপত্রের (রিকুইজিশন) পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও চিকিৎসা কর্মকর্তা দিলরুবা সুলতানা শোভা রোগীকে গত ২৪ এপ্রিল মেডিকেল সনদ দেন। জখম নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি এই সনদ দেন। যেখানে সাধারণ জখমের কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর দিন ২৫ এপ্রিল রোগীর স্বজনেরা মেডিস্ক্যান স্পেশালাইজড ইমেজিং সেন্টার থেকে সিটি স্ক্যানের আরেকটি রিপোর্ট জমা দিলে মেডিকেল বোর্ড থেকে আঘাতের ধরন ‘গুরুতর’ উল্লেখ করে সংশোধিত সনদ দেওয়া হয়; যা পরবর্তীকালে আসামিপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, জাল রিপোর্টের ভিত্তিতে জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডে গুরুতর ‘আঘাত’ উল্লেখ করে পুনরায় মেডিকেল সনদ ইস্যু করা হয়। এ ছাড়া ওই সিটি স্ক্যান রিপোর্টে রোগী পুরুষ হওয়া সত্ত্বেও ‘স্ত্রী লিঙ্গ’ লেখা ছিল।
নজরুলের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বলেন, ‘সন্তানকে অপহরণ ও স্বামীর ওপর হামলার বিচার পাইনি, উল্টো জাল সিটি স্ক্যান রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বামীকে জেলে যেতে হয়েছে। পুলিশও যাচাই না করে অভিযোগপত্র দিয়েছে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতে অপহরণের মামলার আইনি পরামর্শ নেওয়ার সময় আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করে প্রতিপক্ষ। পরে মিথ্যা মামলায় আমাকে জেলে পাঠানো হয়। এখনো পরিবার নিয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে। আমাদের সন্তান ভয়ে স্কুলেও যেতে পারছে না।’
অভিযোগের বিষয়ে এমদাদুল হকের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার ছোট ভাই বলতে পারবে।’
এরপর এমদাদুল হকের ছোট ভাই মোকাররমকে কল দিলে তিনি বলেন, ‘তাঁরা (আসামিপক্ষ) বলতেই পারেন, সার্টিফিকেট জাল। চিকিৎসক সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তা জাল না সঠিক—চিকিৎসক বলতে পারবেন। আর বিষয়টি দেখার দায়িত্ব জজ সাহেবের।’
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ বলেন, ‘মেডিকেল সনদের ভিত্তিতে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
আর অপহরণ মামলায় যথাযথ তদন্তের পর আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে মেডিস্ক্যান স্পেশালাইজড ইমেজিং সেন্টারের পরিচালক এ এস এম নুরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কাছে রিপোর্টগুলো পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে। তাঁরা রিপোর্ট নিয়ে কী করেছেন, তা আমাদের জানা নেই। যথাযথ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।’
কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসচিব দেবাশীষ ভৌমিক বলেন, ‘সিটি স্ক্যান রিপোর্টটি জাল বলে আগেই সন্দেহ হয়েছিল। যাঁদের দিয়ে যাচাই করিয়েছি, তাঁরা মিথ্যা বলেছেন। প্রয়োজনে আমি আদালতে গিয়ে বলব।’
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি দেখব।’
সিভিল সার্জন অভিজিৎ শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছি তিন সদস্যের কমিটি করে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। প্রতিবেদন যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তদন্ত করব।’
কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘কোনো চিকিৎসক যদি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট ইস্যু করেন এবং বিষয়টি আদালতকে জানালে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।’

কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন। যেখানে গুরুতর আঘাত উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মিথ্যা সনদের কারণে তাঁকে ২৬ দিন কারাভোগ করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নজরুল ইসলাম। একই দিনে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এর আগের দিন গত বুধবার চিকিৎসা সনদ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নজরুল। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের উত্তর কান্দাইল কুকিমাদল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত ২৮ মে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক আরিফুল ইসলাম তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। ২৬ দিন কারাভোগের পর গত ২৩ জুন তিনি জামিন পান।
আসামি ও বাদীপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি সকালে করিমগঞ্জের কুকিমাদল গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম তাঁর এক সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ তোলেন। ওই দিন দুপুরে তাঁর সন্তান উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক দিন আদালতে মামলা করার জন্য আইনি পরামর্শ নিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন গত ১ মার্চ নজরুলকে মারধর, তাঁর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালান।
পরদিন গত ২ মার্চ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগে মামলার আরজি করেন। ৩ মার্চ আদালতে অপহরণের অভিযোগে মামলার আরজি করেন নজরুলের স্ত্রী মোছা. রোকেয়া। একই দিন নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগেও আদালতে আরেকটি মামলা করেন রোকেয়া।
মামলার পর গত ৬ মার্চ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন প্রতিপক্ষ জয়কা ইউনিয়নের এমদাদুল হকের স্ত্রী মোছা. হোসনা। এতে নজরুলসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৩ মার্চ সন্ধ্যায় এমদাদুল হককে রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার চাহিদাপত্রের (রিকুইজিশন) পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও চিকিৎসা কর্মকর্তা দিলরুবা সুলতানা শোভা রোগীকে গত ২৪ এপ্রিল মেডিকেল সনদ দেন। জখম নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি এই সনদ দেন। যেখানে সাধারণ জখমের কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর দিন ২৫ এপ্রিল রোগীর স্বজনেরা মেডিস্ক্যান স্পেশালাইজড ইমেজিং সেন্টার থেকে সিটি স্ক্যানের আরেকটি রিপোর্ট জমা দিলে মেডিকেল বোর্ড থেকে আঘাতের ধরন ‘গুরুতর’ উল্লেখ করে সংশোধিত সনদ দেওয়া হয়; যা পরবর্তীকালে আসামিপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, জাল রিপোর্টের ভিত্তিতে জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডে গুরুতর ‘আঘাত’ উল্লেখ করে পুনরায় মেডিকেল সনদ ইস্যু করা হয়। এ ছাড়া ওই সিটি স্ক্যান রিপোর্টে রোগী পুরুষ হওয়া সত্ত্বেও ‘স্ত্রী লিঙ্গ’ লেখা ছিল।
নজরুলের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বলেন, ‘সন্তানকে অপহরণ ও স্বামীর ওপর হামলার বিচার পাইনি, উল্টো জাল সিটি স্ক্যান রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বামীকে জেলে যেতে হয়েছে। পুলিশও যাচাই না করে অভিযোগপত্র দিয়েছে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতে অপহরণের মামলার আইনি পরামর্শ নেওয়ার সময় আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করে প্রতিপক্ষ। পরে মিথ্যা মামলায় আমাকে জেলে পাঠানো হয়। এখনো পরিবার নিয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে। আমাদের সন্তান ভয়ে স্কুলেও যেতে পারছে না।’
অভিযোগের বিষয়ে এমদাদুল হকের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার ছোট ভাই বলতে পারবে।’
এরপর এমদাদুল হকের ছোট ভাই মোকাররমকে কল দিলে তিনি বলেন, ‘তাঁরা (আসামিপক্ষ) বলতেই পারেন, সার্টিফিকেট জাল। চিকিৎসক সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তা জাল না সঠিক—চিকিৎসক বলতে পারবেন। আর বিষয়টি দেখার দায়িত্ব জজ সাহেবের।’
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ বলেন, ‘মেডিকেল সনদের ভিত্তিতে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
আর অপহরণ মামলায় যথাযথ তদন্তের পর আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে মেডিস্ক্যান স্পেশালাইজড ইমেজিং সেন্টারের পরিচালক এ এস এম নুরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কাছে রিপোর্টগুলো পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে। তাঁরা রিপোর্ট নিয়ে কী করেছেন, তা আমাদের জানা নেই। যথাযথ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।’
কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসচিব দেবাশীষ ভৌমিক বলেন, ‘সিটি স্ক্যান রিপোর্টটি জাল বলে আগেই সন্দেহ হয়েছিল। যাঁদের দিয়ে যাচাই করিয়েছি, তাঁরা মিথ্যা বলেছেন। প্রয়োজনে আমি আদালতে গিয়ে বলব।’
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি দেখব।’
সিভিল সার্জন অভিজিৎ শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছি তিন সদস্যের কমিটি করে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। প্রতিবেদন যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তদন্ত করব।’
কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘কোনো চিকিৎসক যদি ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট ইস্যু করেন এবং বিষয়টি আদালতকে জানালে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।’

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আবারও বসতে যাচ্ছে ‘পাখিদের বিধানসভা’। ইরানি সুফি কবি ও দার্শনিক ফরিদ উদ্দিন আত্তারের ‘মানতিকুত তোয়ায়ের’ অবলম্বনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ প্রযোজিত নাটকটি ২২ ও ২৩ মে প্রদর্শিত হবে।
২২ মে ২০২৫
সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
৫ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল এবং ভারত সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি পদ্মার চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
৬ ঘণ্টা আগেইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)

নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও লালপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চোর চক্রের দৌরাত্ম্যে গত ১০ দিনেই উপজেলায় ৯টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে সেচব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন, ধারাবাহিকভাবে এসব চুরির ঘটনায় তাঁরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে কয়েক গুণ বেশি খরচ করে বিকল্প সেচের ব্যবস্থা করছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামী মৌসুমে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উপজেলার কেশববাড়িয়া গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান (৫৫) বলেন, ‘চারপাশে ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে শুনে পাহারা বসিয়েছিলাম। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। গত ২৫ অক্টোবর রাতে আমার নলকূপের তিনটি ট্রান্সফরমারের সব যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
এর আগে ২৪ অক্টোবর দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের গোলাম আযম, ১০ অক্টোবর ঢুষপাড়া গ্রাম থেকে লালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক পলাশ, ৭ সেপ্টেম্বর রামানন্দপুর (গোবরপুর) গ্রাম থেকে লালপুর কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক মো. শফিউল্লাহ ও ছোট বিলশলিয়া গ্রামের বাকিব উদ্দিনের গভীর নলকূপ থেকে ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এ ছাড়া গত জুলাই ও আগস্ট মাসে আরও ৯টি ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে আড়বাব ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের নাজমুল হক বলেন, ‘আমার দুই দফায় মোট ৫টি ট্রান্সফরমার চুরি গেছে। প্রতিটি নতুন করে কিনতে বিএমডিএ অফিসে ৭০ হাজার টাকা ও নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ অফিসে পরীক্ষার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। নতুন ট্রান্সফরমার কিনে কেন আবার পরীক্ষার নামে হয়রানি করা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’
রামানন্দপুর গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষক মো. শফিউল্লাহ বলেন, ‘চুরি ঠেকাতে ট্রান্সফরমারের গায়ে দোয়া লিখেছিলাম, যাতে চোরেরা আল্লাহর ভয়ে চুরি না করে। এ ছাড়া খুঁটির ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে কাঁটাতারের বেষ্টনীও দিয়েছিলাম। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আমার নলকূপের দুটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা।’
গ্রাহকেরা অভিযোগ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুতের নিজস্ব ট্রান্সফরমার সাধারণত চুরি হয় না। বেছে বেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ট্রান্সফরমারই চুরি হচ্ছে। এক্সপার্ট ছাড়া এ ধরনের চুরি সম্ভব নয়। চোর চক্রের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ বা প্রশাসনের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, লালপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে এসব চুরি করছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। গ্রাহকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।’
বিএমডিএ বড়াইগ্রাম জোনের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা সব সময় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করি। বুয়েট থেকে টেস্ট করে ট্রান্সফরমার ক্রয় করা হয়। তবে পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুযায়ী আবারও পরীক্ষা করাতে হয়। নিয়ম অনুসারে ট্রান্সফরমার গ্রাহকদের নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হয়। চুরির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা সেচ কমিটির সদস্যসচিব ও বিএডিসি বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। লালপুর উপজেলায় বিএডিসির আওতায় ৪টি গভীর নলকূপ রয়েছে, এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো ট্রান্সফরমার চুরি হয়নি। তবে বড়াইগ্রামে
অনেক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। কৃষকদের সতর্ক থাকতে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।’
লালপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় থানায় কয়েকটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। চুরি যাওয়া মালপত্র উদ্ধার ও চোর চক্রকে গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা চলছে।

নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও লালপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চোর চক্রের দৌরাত্ম্যে গত ১০ দিনেই উপজেলায় ৯টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে সেচব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন, ধারাবাহিকভাবে এসব চুরির ঘটনায় তাঁরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে কয়েক গুণ বেশি খরচ করে বিকল্প সেচের ব্যবস্থা করছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামী মৌসুমে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উপজেলার কেশববাড়িয়া গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান (৫৫) বলেন, ‘চারপাশে ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে শুনে পাহারা বসিয়েছিলাম। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। গত ২৫ অক্টোবর রাতে আমার নলকূপের তিনটি ট্রান্সফরমারের সব যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
এর আগে ২৪ অক্টোবর দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের গোলাম আযম, ১০ অক্টোবর ঢুষপাড়া গ্রাম থেকে লালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক পলাশ, ৭ সেপ্টেম্বর রামানন্দপুর (গোবরপুর) গ্রাম থেকে লালপুর কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক মো. শফিউল্লাহ ও ছোট বিলশলিয়া গ্রামের বাকিব উদ্দিনের গভীর নলকূপ থেকে ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এ ছাড়া গত জুলাই ও আগস্ট মাসে আরও ৯টি ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে আড়বাব ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের নাজমুল হক বলেন, ‘আমার দুই দফায় মোট ৫টি ট্রান্সফরমার চুরি গেছে। প্রতিটি নতুন করে কিনতে বিএমডিএ অফিসে ৭০ হাজার টাকা ও নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ অফিসে পরীক্ষার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। নতুন ট্রান্সফরমার কিনে কেন আবার পরীক্ষার নামে হয়রানি করা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’
রামানন্দপুর গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষক মো. শফিউল্লাহ বলেন, ‘চুরি ঠেকাতে ট্রান্সফরমারের গায়ে দোয়া লিখেছিলাম, যাতে চোরেরা আল্লাহর ভয়ে চুরি না করে। এ ছাড়া খুঁটির ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে কাঁটাতারের বেষ্টনীও দিয়েছিলাম। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আমার নলকূপের দুটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা।’
গ্রাহকেরা অভিযোগ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুতের নিজস্ব ট্রান্সফরমার সাধারণত চুরি হয় না। বেছে বেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ট্রান্সফরমারই চুরি হচ্ছে। এক্সপার্ট ছাড়া এ ধরনের চুরি সম্ভব নয়। চোর চক্রের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ বা প্রশাসনের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, লালপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে এসব চুরি করছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। গ্রাহকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।’
বিএমডিএ বড়াইগ্রাম জোনের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা সব সময় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করি। বুয়েট থেকে টেস্ট করে ট্রান্সফরমার ক্রয় করা হয়। তবে পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুযায়ী আবারও পরীক্ষা করাতে হয়। নিয়ম অনুসারে ট্রান্সফরমার গ্রাহকদের নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হয়। চুরির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা সেচ কমিটির সদস্যসচিব ও বিএডিসি বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। লালপুর উপজেলায় বিএডিসির আওতায় ৪টি গভীর নলকূপ রয়েছে, এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো ট্রান্সফরমার চুরি হয়নি। তবে বড়াইগ্রামে
অনেক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। কৃষকদের সতর্ক থাকতে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।’
লালপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় থানায় কয়েকটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। চুরি যাওয়া মালপত্র উদ্ধার ও চোর চক্রকে গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা চলছে।

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আবারও বসতে যাচ্ছে ‘পাখিদের বিধানসভা’। ইরানি সুফি কবি ও দার্শনিক ফরিদ উদ্দিন আত্তারের ‘মানতিকুত তোয়ায়ের’ অবলম্বনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ প্রযোজিত নাটকটি ২২ ও ২৩ মে প্রদর্শিত হবে।
২২ মে ২০২৫
সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল এবং ভারত সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি পদ্মার চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
৬ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল এবং ভারত সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি পদ্মার চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, শুধু কাকন কিংবা মণ্ডল বাহিনী নয়; টুকু, সাইদ, লালচাঁদ, রাখি, কাইগি, রাজ্জাক ও বাহান্ন বাহিনীও সক্রিয় এই চরাঞ্চলে।
রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব বাহিনী জমি দখল, ফসল কেটে নেওয়া, চাঁদাবাজি, বালু উত্তোলন, মাদক, অস্ত্র পাচারসহ নানা অপরাধে জড়িত। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব বাহিনী পদ্মার এমন দুর্গম চরে ‘সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলেছে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রবেশ সীমিত। রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলার দুর্গম চরাঞ্চলজুড়ে তাদের বিস্তার।
সম্প্রতি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চরে কাকন বাহিনী ও মণ্ডল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের তিনজন নিহত হন। এরপর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় করা মামলায় ‘কাকন বাহিনীর’ প্রধান কাকনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা পুলিশের একাধিক ইউনিট শতাধিক সদস্য নিয়ে পদ্মার চরে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে প্রথম দিনের অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুরের পদ্মা চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ডজনখানেক সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তবে ২০ বছর আগে দুটি সন্ত্রাসী বাহিনীর উত্থান ঘটেছিল বিস্তৃত পদ্মার দুর্গম এই চরাঞ্চলে। তাদের ভাগ না দিয়ে কেউ চরের ফসল ঘরে তুলতে পারত না। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের হাতে ওই সময় ৪১ জন খুন হয় বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তখন চরের মাটিতে পা দিতে গা ছমছম করত। দুই বাহিনীর নাম ছিল ‘পান্না বাহিনী’ ও ‘লালচাঁদ বাহিনী’। পান্নার ওস্তাদ ছিলেন এই কাকন। সূত্র জানায়, এ বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ‘কাকন বাহিনী’র বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী, বাঘা, লালপুর ও দৌলতপুর থানায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে। বাহিনীর প্রধান কাকন পাবনার ঈশ্বরদী কলেজ রোডের বাসিন্দা হলেও তাঁর পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড় গ্রামে।
১৯৯৪ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি চাকরি করলেও ২০০৫ সালে পান্না নিহত হওয়ার পর ২০০৭ সালে সৌদি আরব থেকে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালুমহাল দখল ও নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। এর পর থেকে তিনি নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করেন। বর্তমানে তাঁর বাহিনীতে প্রায় ৪০ জন সদস্য রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নইম উদ্দিন সেন্টুকে নিজ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আলোচনায় আসে টুকু বাহিনী। বাহিনীর প্রধান তরিকুল ইসলাম ওরফে টুকু ফিলিপনগর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর দলের সদস্য ২০ জনের বেশি। হত্যাকাণ্ডের পর টুকুসহ বেশ কয়েকজন সহযোগীর নামে মামলা হয়, যদিও আটকের পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।
চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর মণ্ডলপাড়া এলাকায় রাজু আহমেদ (১৮) নামের এক যুবককে গুলি চালিয়ে হত্যা করে সাইদ বাহিনী। বাহিনীর প্রধান আবু সাঈদ মণ্ডল (৩৫) মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর দক্ষিণ ভাঙ্গাপাড়া এলাকার ভাদু মণ্ডলের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় ৯টির বেশি মামলা রয়েছে।
২০০৯ সালে লালচাঁদ বাহিনীর প্রধান লালচাঁদ নিহত হওয়ার পর তাঁর ভাই সুখচাঁদ দায়িত্ব নেন। তাঁরা ফিলিপনগর এলাকার বাসিন্দা।
বাহিনীতে লালচাঁদের ছেলে রুবেলসহ একাধিক সদস্য সক্রিয় রয়েছেন। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে।
দৌলতপুর থানায় আলোচনায় থাকা আরেক বাহিনী ‘রাখি বাহিনী’র প্রধান রাকিবুল ইসলাম রাখি। তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। তাঁর বাড়ি ফিলিপনগর ইউনিয়নের দারোগার মোড়ে। এ ছাড়া রয়েছে কাইগি বাহিনী, রাজ্জাক বাহিনী ও বাহান্ন বাহিনী।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ৫ আগস্টের পর দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে বিপুল অস্ত্র দেশে ঢোকার তথ্য রয়েছে। জানা গেছে, তিন চালানে মোট প্রায় ২ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে দেশে।
দুর্গম চরে অভিযান
গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ ১২০ জন সদস্য নিয়ে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে পুলিশ এই অভিযানে চরবাসী খুবই খুশি। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরবে বলে তাঁরা আশা করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
গতকাল শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়সাল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অভিযান রাতেও চলবে। অভিযান শেষ হবে না। এটা যে শুধু আসামি ধরা, তা নয়। মানুষকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় এই চরগুলোতে আর হবে না।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল এবং ভারত সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি পদ্মার চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, শুধু কাকন কিংবা মণ্ডল বাহিনী নয়; টুকু, সাইদ, লালচাঁদ, রাখি, কাইগি, রাজ্জাক ও বাহান্ন বাহিনীও সক্রিয় এই চরাঞ্চলে।
রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব বাহিনী জমি দখল, ফসল কেটে নেওয়া, চাঁদাবাজি, বালু উত্তোলন, মাদক, অস্ত্র পাচারসহ নানা অপরাধে জড়িত। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব বাহিনী পদ্মার এমন দুর্গম চরে ‘সাম্রাজ্য’ গড়ে তুলেছে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রবেশ সীমিত। রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলার দুর্গম চরাঞ্চলজুড়ে তাদের বিস্তার।
সম্প্রতি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর দুর্গম চরে কাকন বাহিনী ও মণ্ডল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের তিনজন নিহত হন। এরপর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় করা মামলায় ‘কাকন বাহিনীর’ প্রধান কাকনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা পুলিশের একাধিক ইউনিট শতাধিক সদস্য নিয়ে পদ্মার চরে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে প্রথম দিনের অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুরের পদ্মা চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ডজনখানেক সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তবে ২০ বছর আগে দুটি সন্ত্রাসী বাহিনীর উত্থান ঘটেছিল বিস্তৃত পদ্মার দুর্গম এই চরাঞ্চলে। তাদের ভাগ না দিয়ে কেউ চরের ফসল ঘরে তুলতে পারত না। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের হাতে ওই সময় ৪১ জন খুন হয় বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তখন চরের মাটিতে পা দিতে গা ছমছম করত। দুই বাহিনীর নাম ছিল ‘পান্না বাহিনী’ ও ‘লালচাঁদ বাহিনী’। পান্নার ওস্তাদ ছিলেন এই কাকন। সূত্র জানায়, এ বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ‘কাকন বাহিনী’র বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী, বাঘা, লালপুর ও দৌলতপুর থানায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে। বাহিনীর প্রধান কাকন পাবনার ঈশ্বরদী কলেজ রোডের বাসিন্দা হলেও তাঁর পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড় গ্রামে।
১৯৯৪ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি চাকরি করলেও ২০০৫ সালে পান্না নিহত হওয়ার পর ২০০৭ সালে সৌদি আরব থেকে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালুমহাল দখল ও নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। এর পর থেকে তিনি নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করেন। বর্তমানে তাঁর বাহিনীতে প্রায় ৪০ জন সদস্য রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নইম উদ্দিন সেন্টুকে নিজ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আলোচনায় আসে টুকু বাহিনী। বাহিনীর প্রধান তরিকুল ইসলাম ওরফে টুকু ফিলিপনগর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর দলের সদস্য ২০ জনের বেশি। হত্যাকাণ্ডের পর টুকুসহ বেশ কয়েকজন সহযোগীর নামে মামলা হয়, যদিও আটকের পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।
চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর মণ্ডলপাড়া এলাকায় রাজু আহমেদ (১৮) নামের এক যুবককে গুলি চালিয়ে হত্যা করে সাইদ বাহিনী। বাহিনীর প্রধান আবু সাঈদ মণ্ডল (৩৫) মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর দক্ষিণ ভাঙ্গাপাড়া এলাকার ভাদু মণ্ডলের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় ৯টির বেশি মামলা রয়েছে।
২০০৯ সালে লালচাঁদ বাহিনীর প্রধান লালচাঁদ নিহত হওয়ার পর তাঁর ভাই সুখচাঁদ দায়িত্ব নেন। তাঁরা ফিলিপনগর এলাকার বাসিন্দা।
বাহিনীতে লালচাঁদের ছেলে রুবেলসহ একাধিক সদস্য সক্রিয় রয়েছেন। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে।
দৌলতপুর থানায় আলোচনায় থাকা আরেক বাহিনী ‘রাখি বাহিনী’র প্রধান রাকিবুল ইসলাম রাখি। তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। তাঁর বাড়ি ফিলিপনগর ইউনিয়নের দারোগার মোড়ে। এ ছাড়া রয়েছে কাইগি বাহিনী, রাজ্জাক বাহিনী ও বাহান্ন বাহিনী।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ৫ আগস্টের পর দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে বিপুল অস্ত্র দেশে ঢোকার তথ্য রয়েছে। জানা গেছে, তিন চালানে মোট প্রায় ২ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে দেশে।
দুর্গম চরে অভিযান
গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ ১২০ জন সদস্য নিয়ে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে পুলিশ এই অভিযানে চরবাসী খুবই খুশি। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরবে বলে তাঁরা আশা করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
গতকাল শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়সাল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অভিযান রাতেও চলবে। অভিযান শেষ হবে না। এটা যে শুধু আসামি ধরা, তা নয়। মানুষকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় এই চরগুলোতে আর হবে না।’

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আবারও বসতে যাচ্ছে ‘পাখিদের বিধানসভা’। ইরানি সুফি কবি ও দার্শনিক ফরিদ উদ্দিন আত্তারের ‘মানতিকুত তোয়ায়ের’ অবলম্বনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ প্রযোজিত নাটকটি ২২ ও ২৩ মে প্রদর্শিত হবে।
২২ মে ২০২৫
সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এ সেন্টারে ইতিমধ্যে বিষধর রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় আদালতের আদেশে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, বাদীপক্ষ সিটি স্ক্যানের জাল রিপোর্টের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফলে সেচ প্রকল্পে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ছয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২১ লাখ টাকার বেশি।
৫ ঘণ্টা আগে