Ajker Patrika

বিমানবন্দরে ফের দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
বিমানবন্দরে ফের দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফের বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের দুটি উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে রোববার (৩ জুলাই) রাত ৯টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ও বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই উড়োজাহাজেরই ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, সিঙ্গাপুর থেকে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটি রোববার বিমানবন্দরে আসে। যাত্রী নামিয়ে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হ্যাঙ্গারের দিকে নেওয়া হচ্ছিল। ওই সময় হ্যাঙ্গারে থাকা আরেকটি ৭৩৭ উড়োজাহাজের পাখার সঙ্গে লেগে যায়। এতে ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের ডান পাশের পাখা এবং ৭৩৭ উড়োজাহাজের বাম পাশের পাখা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ঘটনার পরপরই বিমানের প্রকৌশল বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

এ বিষয়ে জানতে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পরে তাঁদের খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তাঁরা কোন জবাব দেননি। 

এদিকে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) দায়িত্বরত কর্মকর্তা হারুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি বিমান হ্যাঙ্গারে দাঁড়ানো ছিল। আরেকটি বিমান যখন হ্যাঙ্গারে নিয়ে যায় তখন একটির পাখার সঙ্গে আরেকটির পাখার ধাক্কা লাগে। এতে ছোট উড়োজাহাজের পাখা বাঁকা হয়ে গেছে। বড় উড়োজাহাজের কিছু হয়নি। এমনিতে লোকজনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই।’ 

এর আগে একইভাবে একটি উড়োজাহাজ হ্যাঙ্গারে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আরেকটি উড়োজাহাজ ঢোকানোর সময় গত ১০ এপ্রিল একই ধরনের আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় গত ১১ মে বিমানের মুখ্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মাইনুল ইসলাম, সৈয়দ বাহারুল ইসলাম, সেলিম হোসেন খান এবং জিএসই অপারেটর মো. হাফিজুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

একের পর এক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বিমানের প্রকৌশল বিভাগে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়মিত প্রশিক্ষণের অভাব ও লোকবল সংকটের কারণে বাড়তি চাপ নিয়ে অতিরিক্ত ডিউটির কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।’ জনবল বাড়ালে এবং নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি করা হলে এসব অসাবধানতাবশত দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

ভাগনের বিয়েতে ১ কেজি সোনা, ৪ বস্তা টাকা, ২১০ বিঘা জমি, পেট্রলপাম্প উপহার দিল মাড়োয়ারি পরিবার

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে কর্মীরা

আস্থায় বাজিমাত ইসলামী ব্যাংক

চট্টগ্রামে র‍্যাব কর্মকর্তার লাশ: মাকে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কলহে আত্মহত্যা বলে দাবি ভাইয়ের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত