Ajker Patrika

চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কালকিনিতে ঐতিহ্যবাহী মেলা শুরু

মাদারীপুর, প্রতিনিধি
Thumbnail image
মেলার স্থান পরিদর্শনে সেনাবাহিনী ও প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার গোপালপুরের কুন্ডুবাড়িতে শুরু হবে ২০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা। আগামীকাল বুধবার থেকে তিন দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর কালি পূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহ্যবাহী এই মেলা বন্ধ নিয়ে জেলাজুড়ে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। মেলা বন্ধের ব্যানারও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে গত রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলেম সমাজ, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সভা করে জেলা প্রশাসন। সবার সম্মতিতে সভা শেষে অনুমতি দেওয়া হয় মেলার।

এছাড়াও গত ১৬ অক্টোবর অশ্লীলতা, চাঁদাবাজি, মাদক, জুয়াসহ ৯টি অভিযোগ এনে ব্যানার টানিয়ে মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় স্থানীয় আলেম সমাজ। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইজারা বাতিল হলেও নিময় মেনেই মেলা চলবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। প্রতি বছর পাঁচ দিন হলেও এবার তিন দিন হবে কুন্ডুবাড়ির মেলা। যা শুরু হবে বুধবার থেকে। চলবে শুক্রবার (১ নভেম্বর) পর্যন্ত।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সকালে মেলাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রশাসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সেনানিবাসের কর্নেল তারিক মাহমুদ, লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মামুন, কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, মেজর মো. মুনতাসীর মামুন গৌরব, ক্যাপ্টেন আবু আমিন প্রমুখ।

মেলায় অংশ নেওয়া কাঠ ব্যবসায়ী সুণেষ বলেন, আমরা প্রায় ৪০ বছর ধরে এই মেলায় আসবাবপত্র বিক্রি করার জন্য আসি। এ মেলায় কাঠের আসবাবপত্র বেশি বিক্রি হয়। ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে বিভিন্ন ডিজাইনের আসবাবপত্র মেলায় নিয়ে এসেছি। অনেক কাঠের দোকান বসেছে মেলায়। এই মেলা ঐতিহ্যবাহী। তাই আমরা প্রতিবছরই এখানে আসি। আমাদের লাভও ভালো হয়।

কুন্ডুবাড়ির কালি মন্দিরের সিনিয়র সহসভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু বলেন, একদল মানুষ মেলা বন্ধের পক্ষে ছিলেন। পরে প্রশাসন থেকে তিন দিনের মেলার অনুমতিও দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে মেলার সব আয়োজনও শেষ হয়েছে।

কালকিনি ইউএনও উত্তম কুমার দাশ বলেন, প্রথমে মেলা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও সেই সমস্যা কেটে গেছে। পূজা উদ্‌যাপন কমিটি, সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মেলা পরিচালিত হবে। মেলায় আগত দোকানি, দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করবে প্রশাসন। চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত