নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুলিশ হেফাজতে রানা নামে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফরমান আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্তের জন্য পুলিশে ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এই নির্দেশ দেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে গত বুধবার ( ৮ মে) মামলা দায়ের করেন রানার স্ত্রী সোনিয়া বেগম। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং আদেশের জন্য ১২ মে দিন ধার্য করেন।
ওসি ফরমান আলী ছাড়া অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, পুলিশের এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, মো. মিজানুর রহমান, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, জোনাব আলী, মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ বাদীর স্বামী মো. রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যান। সেখানে তারা রানাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালান। এমনকি পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেন এবং বুকের মাঝে ও মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। ভিকটিমকে নির্যাতন করার সময় আসামি সবুজ বাদীকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে মারধর ও কান্নার আওয়াজ শোনান এবং বলেন ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে মারধর বন্ধ হবে।
তখন বাদী বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, যা পারি জোগাড় করে নিয়ে আসছি। আপনারা আমার স্বামীকে বাঁচান।’
এরপর বাদী ২০ হাজার টাকা এনে সবুজের হাতে দেন। তখন বাদীকে এসআই মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বাদীকে গালিগালাজ করেন। এসময় বাদী কান্নাকাটি করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়।
বাদীকে পুলিশ পেটাতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে তার ছোট ছেলে রাতুল অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হয়। পরে পুলিশ বাদীকে আদালতে গিয়ে রানার খোঁজ নিতে বলেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ মার্চ আদালতে যান বাদী। রানার সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানকার হাজতখানায় যান তিনি। সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পেয়ে বাসায় চলে আসেন বাদী। এরপর ১৯ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে গিয়ে রানাকে দেখার জন্য টিকিট কাটেন।
জেল কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানায়, রানা জেলে নেই। তখন বাদী চিন্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে আবার যাত্রাবাড়ী থানায় আসেন। থানা থেকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান। পরদিন ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে। সেখানে গিয়ে বাদী ভিকটিম রানাকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।
পুলিশ হেফাজতে রানা নামে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফরমান আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্তের জন্য পুলিশে ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এই নির্দেশ দেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে গত বুধবার ( ৮ মে) মামলা দায়ের করেন রানার স্ত্রী সোনিয়া বেগম। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং আদেশের জন্য ১২ মে দিন ধার্য করেন।
ওসি ফরমান আলী ছাড়া অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, পুলিশের এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, মো. মিজানুর রহমান, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, জোনাব আলী, মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ বাদীর স্বামী মো. রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যান। সেখানে তারা রানাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালান। এমনকি পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেন এবং বুকের মাঝে ও মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। ভিকটিমকে নির্যাতন করার সময় আসামি সবুজ বাদীকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে মারধর ও কান্নার আওয়াজ শোনান এবং বলেন ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে মারধর বন্ধ হবে।
তখন বাদী বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, যা পারি জোগাড় করে নিয়ে আসছি। আপনারা আমার স্বামীকে বাঁচান।’
এরপর বাদী ২০ হাজার টাকা এনে সবুজের হাতে দেন। তখন বাদীকে এসআই মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বাদীকে গালিগালাজ করেন। এসময় বাদী কান্নাকাটি করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়।
বাদীকে পুলিশ পেটাতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে তার ছোট ছেলে রাতুল অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হয়। পরে পুলিশ বাদীকে আদালতে গিয়ে রানার খোঁজ নিতে বলেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ মার্চ আদালতে যান বাদী। রানার সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানকার হাজতখানায় যান তিনি। সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পেয়ে বাসায় চলে আসেন বাদী। এরপর ১৯ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে গিয়ে রানাকে দেখার জন্য টিকিট কাটেন।
জেল কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানায়, রানা জেলে নেই। তখন বাদী চিন্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে আবার যাত্রাবাড়ী থানায় আসেন। থানা থেকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান। পরদিন ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে। সেখানে গিয়ে বাদী ভিকটিম রানাকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের জন্য টাঙ্গাইলে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়েছে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ মিনিট আগেঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত শিশু তাসমিন আফরোজ আয়মানের (১০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) এশার নামাজের পরে ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা মাজেদ হাওলাদারের কবরের পাশে...
১৬ মিনিট আগেআপনার-আমার দায়িত্ব হচ্ছে সেই বাংলাদেশের জন্য কাজ করা। বিচার, সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশের নতুন সংবিধানের জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি। আগামী ৩ আগস্ট আমরা শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছি—জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ আদায়ের লক্ষ্যে। ইনশা আল্লাহ, আমরা শহীদ মিনার থেকে আদায় করে নেব।
২৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মিছিল করে টিকটক ভিডিও বানানোর অভিযোগে ১২ যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালা মিয়ার দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে