Ajker Patrika

জমিজমার দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যার ঘটনায় বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

গাজীপুরের শ্রীপুরে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আবদুল্লাহকে (২৬) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১। দক্ষিণখানের আঁটিপাড়া থেকে গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— গাজীপুরের শ্রীপুরের শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ (৪৫) ও তাঁর ছেলে এছানুল হক (২৪)। গ্রেপ্তারকালে তাঁদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ও ৪ হাজার ৭৪০ টাকা জব্দ করা হয়। এর আগে গাজীপুরের শ্রীপুরে বাঁশবাড়ী বাজারের পূর্বপাশে গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মাহফুজুর রহমান।

এএসপি মাহফুজুর রহমান বলেন, শ্রীপুরে আব্দুল্লাহ নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় দক্ষিণখান থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের শ্রীপুর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে গাজীপুর র‍্যাব-১ ক্যাম্পের মেজর জুন্নুরাইন বিন আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত সমস্যা, পাওনা টাকা না দেওয়া এবং সর্বশেষ চায়ের দোকানের হাতাহাতির ঘটনায় শহিদুল ইসলামের ভেতরে প্রচণ্ড ক্রোধ সৃষ্টি হয়। পরে ওই দিন শ্রীপুরের বাঁশবাড়ীর পেছনে ফাঁকা জায়গায় শহিদুল ইসলাম, এহছানুল হক, রফিক, ইমরুল, ছানোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম নুরু, শফিকুল ইসলাম, মোস্তফাসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন গতিরোধ করে। পরে শহিদুলের হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে আব্দুল্লাহর বাম পাঁজরে ছুরিকাঘাত করে।

মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফের ছুরিকাঘাত করে এছানুল হক। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল্লাহ মাটিতে লুটে পড়লে অন্যান্য আসামিরা ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আনন্দ উল্লাস করে। ভিকটিমের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরের দিন শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা সাহাদাত আলী।

গ্রেপ্তারের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মেজর আলম বলেন, নিহত আব্দুল্লাহ ও মামলার আসামিদের মধ্যে জমি-জমা সংক্রান্ত সমস্যা, পাওনা টাকা না দেওয়া নিয়ে শহিদুল ইসলামের মাঝে প্রচণ্ড ক্রোধ এবং প্রতিশোধ পরায়ণতার সৃষ্টি করে। ঘটনার দিন একটি স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জনৈক সালামের দোকানে শহিদুল ও আব্দুল্লাহর মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঝগড়া ও মারামারির সৃষ্টি হয়। পরে আশপাশের লোকজন সেটি মীমাংসা করে দেয়। যার ফলে আবদুল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শহিদুল। পরে সেখান থেকে ডাক দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁকা জায়গায় ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত