Ajker Patrika

খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু: ‘অনুমোদন’ ছাড়াই অ্যানেসথেসিয়া, জে এস ডায়াগনস্টিক সিলগালা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ০৪
খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু: ‘অনুমোদন’ ছাড়াই অ্যানেসথেসিয়া, জে এস ডায়াগনস্টিক সিলগালা 

খতনা করাতে এসে মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার ও হাসপাতালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তর জানিয়েছে, অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার জন্য হাসপাতালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই হাসপাতালের শুধু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন আছে। যে কারণে তাদের অ্যানেসথেসিয়া, দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। 

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে এসে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান। 

মইনুল আহসান বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে থেকে শিশু আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা জেনেছি গতকাল সামান্য একটা মুসলমানির জন্য শিশুটিকে এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ডা. ইশতিয়াক নামের একজন এই খতনার সার্জন ছিলেন, আর ডা. মাহবুব মুর্শেদ শিশুটির অ্যানেসথেটিস্ট ছিলেন। অভিযোগ অনুসারে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে শিশুটিকে অজ্ঞান করার পর আর তার জ্ঞান ফেরেনি। পরে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা মারা হয়েছে।’ 

ডা. মইনুল বলেন, হাসপাতালটির সমস্ত তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। আমরা সেগুলো পর্যবেক্ষণ-পর্যালোচনা করছি। যতটুকু পেয়েছি, প্রতিষ্ঠানটির হাসপাতাল কার্যক্রম চালানোর কোনো অনুমোদন ছিল না, তবে তাদের ডায়াগনস্টিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন রয়েছে। সুতরাং তারা যদি কোনো রোগীকে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে থাকে, সেটি অন্যায় করেছে। আমরা আরও তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব। আর যিনি অপারেশন করেছেন, তার বিরুদ্ধে আমরা আমাদের আইনানুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ 

এ ঘটনায় ভুলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পর বিশেষজ্ঞদের কাছে জেনে তারপর বলা যাবে আসলে কেন এই ঘটনা ঘটল, কী ভুল হয়েছে। 

কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় বারবার একই ঘটনা ঘটার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মইনুল বলেন, ‘ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনার পর আমরা হাসপাতালটি বন্ধ করেছি। মামলা চলমান আছে। এই ঘটনার পর আমরা সারা দেশে ১ হাজার ২৭টি ক্লিনিক বন্ধ করেছি। ইউনাইটেডের যদি কোনো প্রকার গাফিলতি থাকে অবশ্যই মামলার মাধ্যমে বিচার হবে।’ 

ল্যাবএইড হাসপাতালের ঘটনার বিষয়ে ডা. মইনুল বলেন, ‘গত পরশুদিন ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করতে গিয়ে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এটা আমরা অবগত আছি। গত মঙ্গলবার রাতে আমাদের একটি দল হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছে। আমরা সকল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। আরও তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেগুলো বৃহস্পতিবার পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রেও যদি কোনো ভুল থেকে থাকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আদালতে হাজিরা জালিয়াতি, এবার মামা-ভাগনের বিরুদ্ধে মামলা

­যশোর প্রতিনিধি
মামার বদলে আদালতে হাজিরা ভাগনের, কারাফটকে ধরা
মামার বদলে আদালতে হাজিরা ভাগনের, কারাফটকে ধরা

যশোরে আসামির পরিবর্তে ভাগনে কারাগারে যাওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার যশোর কোতোয়ালি থানায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোজাফফর হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় মামা-ভাগনে উভয়কে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মন্টুর ছেলে হাসান (৪৪) এবং তাঁর ভাগনে একই গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে শামীম আহমেদ (২৭)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘মামলায় ভাগনে কারাগারে রয়েছে। মামা পলাতক। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, তিনি বিদেশে অবস্থান করছে। তদন্ত করে বিষয়টি জানা যাবে।’

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর আর্মি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দম্পতির বাড়িতে গিয়ে চাঁদাবাজি, হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় সাতজনের নামে মামলা হয়। ওই মামলার ৫ নম্বর আসামি ছিলেন হাসান। ২১ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে আসামি শামীম আহমেদ নিজের নাম গোপন রেখে মামা হাসানের পরিচয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন।

আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সন্ধ্যায় কোর্ট পুলিশ শামীমকে কারাগারে নিয়ে যায়। কারাগারে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও তথ্য যাচাইয়ের সময় কর্তৃপক্ষ তাঁর কথাবার্তার অসংলগ্নতায় সন্দেহ করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাই করলে জানা যায়, তিনি প্রকৃতপক্ষে হাসান নয়, বরং তাঁর ভাগনে শামীম আহমেদ।

তদন্তে জানা যায়, আসামি হাসান বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন, আর তাঁর পরিবর্তে ভাগনে শামীম নিজেকে মামা হাসান পরিচয় দিয়ে কারাগারে যেতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে শামীম নিজেই জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেন। এ ঘটনার পর সিনিয়র জেল সুপার আবিদ আহমেদ লিখিতভাবে বিষয়টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে জানান। এর ভিত্তিতে বেঞ্চ সহকারী মোজাফফর হোসেন প্রতারণা ও জালজালিয়াতির অভিযোগে হাসান ও শামীমের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, নতুন জালিয়াতি মামলায় শুক্রবার শামীমকে অ্যারেস্ট দেখানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গফরগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা (৬৫) এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গফরগাঁও রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম কিবরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গফরগাঁও রেলস্টেশনের মাস্টার হানিফ আলী জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বলাকা কমিউটার ট্রেনটি গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সময় ধাক্কা লেগে অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধ (৬৫) গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

জিআরপি ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম কিবরিয়া বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে ফারইস্ট লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফারইস্ট লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
ফারইস্ট লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

৪৫ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির করা হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

সূত্রমতে, ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। গত ৩১ জুলাই এ মামলা করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের নামে রাজধানীর ৩৬ তোপখানায় ২০৭ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার জমি ক্রয় দেখিয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ৪৫ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেন। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম আত্মসাৎ করেন ১০ কোটি ও তাঁর স্ত্রী এবং ফারইস্ট লাইফের সাবেক পরিচালক তাসলিমা ইসলাম আত্মসাৎ করেন সাড়ে ৯ কোটি। জমি ক্রয় ও অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে ২০১৫ সালে।

আদালতের কাছে দুদকের উপরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান আবেদন করেন যে, মামলার সংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আসামি জামিনে মুক্ত হলে আলামত ধ্বংসসহ তদন্তকাজ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারেন বিধায় তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের আগপর্যন্ত জেলহাজতে আটক রাখার নিমিত্তে আদালতে সোপর্দ করা হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের নম্বর থেকে সাবেক এমপি শিমুল পরিচয়ে নাটোরের জেলারকে হুমকি

নাটোর প্রতিনিধি 
নাটোর-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। ছবি: সংগৃহীত
নাটোর-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের একটি নম্বর থেকে নাটোর কারাগারের জেলার শেখ মো. রাসেলকে সপরিবারে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নাটোর-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল পরিচয়ে ওই হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা বিবেচনায় নাটোর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জেলার শেখ মো. রাসেল।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, শিমুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত যুবলীগ কর্মী রাশেদুল ইসলাম কোয়েলের জামিন বিষয়ে পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করতে জেলারকে নির্দেশনা দেন শিমুল। এ নির্দেশনা না মেনে জামিন হওয়া কোয়েলকে পুনরায় কুষ্টিয়া জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার হলে ক্ষুব্ধ শিমুল জেলারকে এ হুমকি দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম কোয়েল। ১১ অক্টোবর বিকেলে কোয়েলকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নাশকতা ও হত্যার অভিযোগে নাটোরে কোয়েলের নামে থাকা ১০টি মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সম্প্রতি কোয়েল কয়েকটি মামলায় জামিন পান।

নাটোর কারাগারের জেলার শেখ মো. রাসেল অভিযোগ করেন, প্রায় ১৫ দিন আগে কুষ্টিয়া থানার একটি মামলায় হাজিরার জন্য কোয়েলকে নাটোর থেকে কুষ্টিয়া পাঠানো হয়। এই অবস্থায় ২২ অক্টোবর দুপুরে ভারতের একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে তাঁর ব্যক্তিগত নম্বরে কল আসে। কল করা ব্যক্তি নিজেকে সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল পরিচয় দেন। তিনি কোয়েলের জামিনের কাগজটি দ্রুত কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠাতে বলেন; পাশাপাশি বিষয়টি কোনো গোয়েন্দা সংস্থা বা পুলিশ কর্মকর্তাকে যেন না জানানো হয়, সেই নির্দেশ দেন। অন্যথায় ‘সমস্যা হবে’ বলে হুমকি দেন।

জবাবে জেলার বলেন, তিনি কারাবিধি মেনেই জামিনের কাগজ কুষ্টিয়া পাঠাবেন এবং এ নিয়ে তাঁর কথা না বলাই ভালো। এরপর কোয়েল আজ বৃহস্পতিবার সব কটি মামলায় জামিনে মুক্তি পেলে কুষ্টিয়া জেলা ডিবি পুলিশ দুপুরে তাঁকে জেলগেট থেকে আবার গ্রেপ্তার করে। এর পরপরই জেলার শেখ মো. রাসেলের সরকারি মোবাইলে আবারও শিমুলের কল করা নম্বর থেকে একটি হুমকিমূলক বার্তা আসে। সে বার্তায় লেখা ছিল, ‘আপনি যে অন্যায় কাজটি করলেন, আল্লাহ যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন, মনে রাখবেন আপনার বৌসহ পুরো পরিবারকে কিভাবে বাঁচাবেন, রক্ষা করবেন সেটা ঠিক করে রাখবেন।’

জেলার শেখ মো. রাসেল বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কে আছি। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জিডি করেছি।’

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সংশ্লিষ্ট নম্বরে শিমুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

নাটোর সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত