Ajker Patrika

‘অগ্নিসন্ত্রাসীদের’ বিচারের দাবিতে আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২: ৩৯
‘অগ্নিসন্ত্রাসীদের’ বিচারের দাবিতে আলোচনা সভা

আন্দোলন কর্মসূচির নামে ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেছে বিএনপি—এমন অভিযোগ করে বিচারের দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। একই সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারে সদস্যরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি করেছেন। 

দুই ঘটনায় সহিংসতার শিকার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গড়া ‘মায়ের কান্না ও অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠনের আলোচনা সভায় এ দাবি জানান বক্তারা। আজ রোববার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সংগঠন দুটো যৌথ আলোচনা সভার আয়োজন করে। 

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ‘নিহত’ হওয়া বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিবারের সদস্য, ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সহিংসতার শিকার ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবার, ২০১৩-১৪-১৫ বিএনপির আন্দোলনের সময়ে ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ শিকার ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। বক্তারা এসব ঘটনার বিচার করে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান। যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর কেউ ঘটাতে সাহস না করে।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষের আগেই ওবায়দুল কাদের চলে যান। এরপর আওয়ামী লীগের কোনো নেতাই বক্তব্য দেননি।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, ডা. নুজহাত চৌধুরী ও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খানের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জিয়াউর রহমানের সামরিক ট্রাইব্যুনালে সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের বিচার, ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আহত ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের কষ্টের কথা তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এতে হৃদয়বিদারক ও অত্যন্ত আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। প্রত্যেকেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে দেওয়া বক্তব্যে আর্তনাদ করেন। আহত ব্যক্তিরা বেঁচে থাকার যন্ত্রণা ও কষ্টের কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের দিন রাজধানীর ফকিরাপুলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের মেয়ে তানহা বক্তব্য দেয়। সে বলে, ‘আমি টাকা জমা করছি, আল্লাহর কাছ থেকে আমার বাবাকে কিনে আনব। আমি বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হব।’
 
এর আগে আলোচনা সভার শুরুতে বক্তব্য দেন পারভেজের স্ত্রী রুমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমিরুলকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা তার মুখটাও দেখতে পারিনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই আমিরুলকে যেভাবে শাস্তি নিয়ে মারা হয়েছে, ওদেরকে তার চেয়েও যেন কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার এই একটাই দাবি।’

সম্প্রতি রাজধানী যাত্রাবাড়ীতে অছিম পরিবহনের বাসে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুড়ে মারা যায় ঘুমিয়ে থাকা বাসের হেলপার আবু নাঈম। উপার্জনক্ষম একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা নাঈমের মা-বাবা। অনুষ্ঠানে কথা বলেন তাঁরা মা। তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলাম-বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আমার ছেলেকে পুড়িয়ে মেরেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর কঠিন বিচার চাই। জামায়াত-বিএনপি আমার ছেলেকে পুড়িয়ে মেরেছে; তারা যাতে বুঝতে পারে মায়ের কষ্ট কী—সেই জন্য তাদের কঠিন বিচার চাই।’

গাইবান্ধায় শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত জাহিদুল ইলাম জাহিদের বাবা আবুল হোসেন বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের লোকেরা আমার ছেলেকে কুপিয়ে কুপিয়ে, পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে। আমার ছেলের অপরাধ সে আওয়ামী লীগ করত, এই জন্যই তাকে হত্যা করে তারা। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানাই, এদের বিচার যেন নিশ্চিত হয়।’

মায়ের কান্নার সভাপতি কামরুজ্জামান লেলিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সামরিক ট্রাইব্যুনালে হত্যার শিকার বাবার কবর কোথায়, সেটাও আমরা অনেক খুঁজেছি। আজিমপুর কবরস্থানে খুঁজতে গিয়ে সেখানকার লোকদের কাছে জানতে পেরেছি, অনেক লাশ নিয়ে আসা হতো তখন, যাদের গোঙানোর শব্দ শোনা যেত। ওইভাবে তাদের কবর দিতে নির্দেশ দেওয়া হতো। এখনই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করছি আমি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইআইইউসির ১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, নদভী দম্পতিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক চেয়ারম্যান আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থার উপসহকারী পরিচালক কমল চক্রবর্তী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) ট্রাস্ট পরিচালিত আইআইইউসি টাওয়ার থেকে প্রায় ১২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, মামলায় নদভী দম্পতিসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তকালে এই অপরাধের সঙ্গে অন্যান্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আসামি করা হবে বলে জানান তিনি।

আসামিরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ট্রাস্টের সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর, ড. ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ খালেদ মাহমুদ, প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, প্রফেসর মো. আবদুর রহিম, ড. মো. শামসুজ্জামান, মোহাম্মদ বদিউল আলম, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, মুহাম্মদ শফিউর রহমান, অধ্যাপক ড. মাহি উদ্দিন, অধ্যাপক আফজল আহমদ, নদভীর সহধর্মিণী রিজিয়া সুলতানা ও ড. মোজাফফর হোছাইন নদভী।

দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৬ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ট্রাস্টের ১২ কোটি ৭৯ লাখ ৪১ হাজার ৫৫৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আইআইইউসি ট্রাস্ট একটি অলাভজনক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান। যার আয় শিক্ষাবৃত্তি, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা, ইসলামি গবেষণা ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার কথা। কিন্তু আসামিরা ট্রাস্ট আইন ও বিধি উপেক্ষা করে ওই অর্থ নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে অবৈধ বালু উত্তোলন, আটক ৩

ফটিকছড়ি সংবাদদাতা
আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার ব্রাহ্মণহাট এলাকায় হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে তিন যুবককে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় দুটি গাড়িও জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. নজরুল ইসলাম।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান নিয়মিত চলবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিচারপ্রার্থীকে মারধর: ১০০ টাকা বন্ডে জামিন পেলেন বিএনপির নেতা সাখাওয়াতসহ ৬ আসামি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
বিচারপ্রার্থীকে মারধরের মামলায় জামিনের পর আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্বরে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও তাঁর সহকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিচারপ্রার্থীকে মারধরের মামলায় জামিনের পর আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্বরে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও তাঁর সহকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে শিশুসন্তানদের সামনে মা ও বাবাকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ছয় আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাঁরা জামিন আবেদন করলে বিচারক প্রত্যেককে ১০০ টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মাসুমের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওই ছয় আসামি।

জামিন পাওয়া সাখাওয়াত ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন হিরণ (৩৮), খোরশেদ আলম (৪০), রাসেল ব্যাপারী (৩৫), আলামিন শাহা (৩৯) ও বিল্লাল হোসেন (৩৮)।

এদিকে মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘জামিন আবেদনের শুনানি চলাকালে সাখাওয়াত হোসেনের লোকজন আমাকে আটকে রাখেন। আমাকে আদালতে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি আমার পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি। সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ালে তাঁকে আদালতে কাজ করতে দেওয়া হবে না, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি লিগ্যাল এইডের কাছে সহায়তা চেয়েছি। তারা পরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।’

তবে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘মামলার বাদীকে আদালতে বাধা দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদি বাদী এমন অভিযোগ করে থাকেন, তাহলে তিনি সেটা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’

জামিন শেষে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ইমেজ নষ্ট করতে এই মামলা করেছে।’

এর আগে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য রাজিয়া সুলতানার স্বামী ইরফান মিয়া আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন। ২৬ অক্টোবর ওই মামলায় শুনানিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ইরফান মিয়া, তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও তাঁদের দুই শিশু-কিশোর সন্তানের ওপর সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই এই হামলার সমালোচনা করেন। ঘটনার দুই দিন পর পুলিশ এ বিষয়ে রাজিয়া সুলতানার মামলা গ্রহণ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভেজাল দ্রব্য ব্যবহার, শেরপুরে রেস্টুরেন্টকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি 
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ মনিটরিং দলের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ মনিটরিং দলের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও ভেজাল দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগে নাবিল হাইওয়ে রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ মনিটরিং দল অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদরের এই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়।

বগুড়া জেলার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে নাবিল হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া খাবারে নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থ মেশানো এবং পাউডার দুধ ব্যবহার করে ‘গরুর দুধের দই’ নামে বিক্রি করা হচ্ছিল।

এসব অপরাধের দায়ে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ঘটনাস্থলেই জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তাহমিনা বেগম, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বগুড়ার নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিনিধি এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।

এ সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে সরকারের সব আইন ও বিধি মেনে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রির বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত