নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, উন্নয়নকাজ ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু নতুন ওয়ার্ড থেকে নামমাত্র রাজস্ব মিলছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে এক গণশুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
গণশুনানিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, বাজার কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবক ও ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
প্রশাসক বলেন, ‘অনেকের মধ্যে প্রশ্ন হচ্ছে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা পাই না, আমরা কেন ট্যাক্স দেব? আমাদের তো আসলে আপনাদের ট্যাক্সের বিনিময়েই সেবাগুলো নিশ্চিত করতে হবে। আপনারা এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।’
গণশুনানিতে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাত্তার চৌধুরী বলেন, এক শিক্ষকের মৃত্যু সনদের জন্য সাত হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আর জন্মনিবন্ধনসহ নানা কাজেও ঘুষ দিতে হয়।
৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশরাফুল হকের অভিযোগ, ডিএনসিসির কর্মচারীদের ঘুষ বাণিজ্যের কারণে নগরবাসী কর দিতে চায় না। ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিলে তিন লাখ টাকার কর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে দেয়।
একজন বাসিন্দার প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, সেবা প্রদানে ডিএনসিসির কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসিতে পূর্বের ৩৬টি ওয়ার্ডের সঙ্গে নতুনভাবে আরও ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে, ওয়াসা থেকে খালগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো লোকবল ও যান যন্ত্রপাতি পায়নি ডিএনসিসি। সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার সময় যে লোকবল ছিল বর্তমানে তার চেয়ে আরও কমেছে। অনেকে অবসরে গিয়েছে, অনেকে মারা গিয়েছে। সীমিত লোকবল ও যান যন্ত্রপাতি দিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষের সেবা নিশ্চিত করাও ডিএনসিসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
মশক নিধন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রশাসক বলেন, সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে মশা নিধন কার্যক্রম সম্ভব নয়। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা নিয়মিত মশার ওষুধ দিচ্ছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবুও মশা নিয়ন্ত্রণে নেই। কারণ অনেক ক্ষেত্রে কর্মীরা বিভিন্ন বাসা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না, নিরাপত্তাজনিত কারণে কর্মীদের বিল্ডিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয় না। দুই বাড়ির মাঝখানের স্থান কর্মীরা পরিষ্কার করতে পারে না, ওষুধ ছিটাতে পারে না। ফলে বাসাবাড়ির ভেতরেই মশা উৎপাদন হচ্ছে।
প্রশাসক বলেন, নগরবাসীকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। নিজেদের বাড়ির বাউন্ডারির ভেতরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশাসক বলেন, নতুন ওয়ার্ডে অপরিকল্পিতভাবে যে যার মতো করে ভবন নির্মাণ করেছে। ড্যাপে অনেক জায়গায় খালি দেখানো রয়েছে। রাজউকের সঙ্গে সমন্বয় করে সেগুলো রক্ষা করব। ড্যাপে নির্ধারিত মাঠ, পার্ক ও খালি জায়গায় কেউ কোনো ধরনের অবকাঠামো ভবন নির্মাণ করতে পারবে না। যেখানে খাস জমি আছে সেখানে মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, উন্নয়নকাজ ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু নতুন ওয়ার্ড থেকে নামমাত্র রাজস্ব মিলছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে এক গণশুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
গণশুনানিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, বাজার কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবক ও ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
প্রশাসক বলেন, ‘অনেকের মধ্যে প্রশ্ন হচ্ছে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা পাই না, আমরা কেন ট্যাক্স দেব? আমাদের তো আসলে আপনাদের ট্যাক্সের বিনিময়েই সেবাগুলো নিশ্চিত করতে হবে। আপনারা এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।’
গণশুনানিতে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাত্তার চৌধুরী বলেন, এক শিক্ষকের মৃত্যু সনদের জন্য সাত হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আর জন্মনিবন্ধনসহ নানা কাজেও ঘুষ দিতে হয়।
৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশরাফুল হকের অভিযোগ, ডিএনসিসির কর্মচারীদের ঘুষ বাণিজ্যের কারণে নগরবাসী কর দিতে চায় না। ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিলে তিন লাখ টাকার কর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে দেয়।
একজন বাসিন্দার প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, সেবা প্রদানে ডিএনসিসির কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসিতে পূর্বের ৩৬টি ওয়ার্ডের সঙ্গে নতুনভাবে আরও ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে, ওয়াসা থেকে খালগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো লোকবল ও যান যন্ত্রপাতি পায়নি ডিএনসিসি। সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার সময় যে লোকবল ছিল বর্তমানে তার চেয়ে আরও কমেছে। অনেকে অবসরে গিয়েছে, অনেকে মারা গিয়েছে। সীমিত লোকবল ও যান যন্ত্রপাতি দিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষের সেবা নিশ্চিত করাও ডিএনসিসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
মশক নিধন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রশাসক বলেন, সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে মশা নিধন কার্যক্রম সম্ভব নয়। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা নিয়মিত মশার ওষুধ দিচ্ছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবুও মশা নিয়ন্ত্রণে নেই। কারণ অনেক ক্ষেত্রে কর্মীরা বিভিন্ন বাসা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না, নিরাপত্তাজনিত কারণে কর্মীদের বিল্ডিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয় না। দুই বাড়ির মাঝখানের স্থান কর্মীরা পরিষ্কার করতে পারে না, ওষুধ ছিটাতে পারে না। ফলে বাসাবাড়ির ভেতরেই মশা উৎপাদন হচ্ছে।
প্রশাসক বলেন, নগরবাসীকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। নিজেদের বাড়ির বাউন্ডারির ভেতরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশাসক বলেন, নতুন ওয়ার্ডে অপরিকল্পিতভাবে যে যার মতো করে ভবন নির্মাণ করেছে। ড্যাপে অনেক জায়গায় খালি দেখানো রয়েছে। রাজউকের সঙ্গে সমন্বয় করে সেগুলো রক্ষা করব। ড্যাপে নির্ধারিত মাঠ, পার্ক ও খালি জায়গায় কেউ কোনো ধরনের অবকাঠামো ভবন নির্মাণ করতে পারবে না। যেখানে খাস জমি আছে সেখানে মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করা হবে।
ঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
৬ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগে