নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রেমে জড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কা থেকে ৫০ শতাংশ কিশোরীর হাতে অভিভাবকেরা মোবাইল ফোন দেন না। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার কারণে ৭১ শতাংশ কিশোরী স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না। আর ৫২ শতাংশ কিশোরী মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
এডুকো পরিচালিত ‘বাংলাদেশে কিশোরীদের ওপর জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে সিক্স সিজনস হোটেলে আয়োজিত এ সভায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এডুকো একটি স্পেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা; যা বাংলাদেশে ১৯৯৯ সাল থেকে শিশুদের শিক্ষা, সুরক্ষা ও সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এডুকো বাংলাদেশের কৌশলগত উদ্দেশ্য হলো-পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শিশুদের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করা।
বর্তমানে, এডুকো বাংলাদেশ ১০টি জেলায় পার্টনারশিপ অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে ১৫টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই সংস্থাটি ২০২১ সাল থেকে কিশোর কিশোরীদের বিভিন্ন ইস্যু বিশেষ করে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে তার কর্ম এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে এবং ৩০৮টি ক্লাব গঠনের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার কিশোর কিশোরীদের নিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, এডুকো বাংলাদেশ তার কর্ম এলাকায় কিশোরীদের ওপর জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করে।
সভায় গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন এডুকোর কনসালট্যান্ট ইরফাথ আরা ইভা। তিনি জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি; ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল এবং ময়মনসিংহের ভালুকায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৭৬৮ জন কিশোর-কিশোরীর ওপর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। আর গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৮৮১ জন কিশোর-কিশোরী। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ কিশোরী এবং ৪০ শতাংশ কিশোর। তাদের গড় বয়স ১৫ বছর।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়—দেশের ৮৭ শতাংশ কিশোরী হেনস্তা, মৌখিক হয়রানি এবং ইভটিজিংয়ের শিকার। ৭৩ শতাংশ কিশোরী পারিবারিক ও বাল্যবিবাহজনিত উদ্বেগ, ৬৬ শতাংশ মানসিক আঘাত (ডিসরাপশন), ২২ শতাংশ শারীরিক আঘাত, ৬০ শতাংশ ট্রমা, ৫৫ শতাংশ ভয়ের অনুভূতির মধ্যে দিন কাটায়। জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার কারণে ৬৯ শতাংশ কিশোরী আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে, ২৬ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অনলাইনে শিশুরা হয়রানির শিকার হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এই ক্ষেত্রটাকে কীভাবে সুরক্ষিত করা যায়, আমাদের ভাবতে হবে।
তিনি জানান, বাল্যবিবাহ বন্ধে মানবাধিকার কমিশন কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি বলেন, ‘শেলটার হোমের অপর্যাপ্ততা আমাদের একটি বড় দুর্বলতা। অনেকেই আশ্রয় হারাবার শঙ্কায় আইনগত ব্যবস্থা নেয় না। আমাদের দেশে নারী ও শিশু সুরক্ষায় যত আইন আছে, অনেক দেশেই এত আইন নেই। কিন্তু এত আইন করেও কিছু হবে না, যদি তা বাস্তবায়ন করা না যায়।’
এ সভায় বক্তারা জানান, নারী ও শিশু সুরক্ষায় বাজেট একটি বড় বিষয়। কিন্তু শুধু বাজেট বা টাকা দিলেই হবে না। প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। নয়তো নারী ও শিশু নির্যাতন, কিশোরী হয়রানি বন্ধ হবে না।
প্রেমে জড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কা থেকে ৫০ শতাংশ কিশোরীর হাতে অভিভাবকেরা মোবাইল ফোন দেন না। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার কারণে ৭১ শতাংশ কিশোরী স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না। আর ৫২ শতাংশ কিশোরী মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
এডুকো পরিচালিত ‘বাংলাদেশে কিশোরীদের ওপর জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে সিক্স সিজনস হোটেলে আয়োজিত এ সভায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এডুকো একটি স্পেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা; যা বাংলাদেশে ১৯৯৯ সাল থেকে শিশুদের শিক্ষা, সুরক্ষা ও সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এডুকো বাংলাদেশের কৌশলগত উদ্দেশ্য হলো-পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শিশুদের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করা।
বর্তমানে, এডুকো বাংলাদেশ ১০টি জেলায় পার্টনারশিপ অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে ১৫টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই সংস্থাটি ২০২১ সাল থেকে কিশোর কিশোরীদের বিভিন্ন ইস্যু বিশেষ করে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে তার কর্ম এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে এবং ৩০৮টি ক্লাব গঠনের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার কিশোর কিশোরীদের নিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, এডুকো বাংলাদেশ তার কর্ম এলাকায় কিশোরীদের ওপর জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করে।
সভায় গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন এডুকোর কনসালট্যান্ট ইরফাথ আরা ইভা। তিনি জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি; ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল এবং ময়মনসিংহের ভালুকায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৭৬৮ জন কিশোর-কিশোরীর ওপর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। আর গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৮৮১ জন কিশোর-কিশোরী। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ কিশোরী এবং ৪০ শতাংশ কিশোর। তাদের গড় বয়স ১৫ বছর।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়—দেশের ৮৭ শতাংশ কিশোরী হেনস্তা, মৌখিক হয়রানি এবং ইভটিজিংয়ের শিকার। ৭৩ শতাংশ কিশোরী পারিবারিক ও বাল্যবিবাহজনিত উদ্বেগ, ৬৬ শতাংশ মানসিক আঘাত (ডিসরাপশন), ২২ শতাংশ শারীরিক আঘাত, ৬০ শতাংশ ট্রমা, ৫৫ শতাংশ ভয়ের অনুভূতির মধ্যে দিন কাটায়। জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার কারণে ৬৯ শতাংশ কিশোরী আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে, ২৬ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অনলাইনে শিশুরা হয়রানির শিকার হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এই ক্ষেত্রটাকে কীভাবে সুরক্ষিত করা যায়, আমাদের ভাবতে হবে।
তিনি জানান, বাল্যবিবাহ বন্ধে মানবাধিকার কমিশন কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি বলেন, ‘শেলটার হোমের অপর্যাপ্ততা আমাদের একটি বড় দুর্বলতা। অনেকেই আশ্রয় হারাবার শঙ্কায় আইনগত ব্যবস্থা নেয় না। আমাদের দেশে নারী ও শিশু সুরক্ষায় যত আইন আছে, অনেক দেশেই এত আইন নেই। কিন্তু এত আইন করেও কিছু হবে না, যদি তা বাস্তবায়ন করা না যায়।’
এ সভায় বক্তারা জানান, নারী ও শিশু সুরক্ষায় বাজেট একটি বড় বিষয়। কিন্তু শুধু বাজেট বা টাকা দিলেই হবে না। প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। নয়তো নারী ও শিশু নির্যাতন, কিশোরী হয়রানি বন্ধ হবে না।
রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
৪ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুরে সরকারি অর্থ বরাদ্দের টাকায় মুক্তেশ্বরী নদী খুঁড়ে বালু তুলে মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের মাঠ ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্নার তত্ত্বাবধানেই চলছে এ কাজ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও বলেছেন, নদী থেকে নয়, বালু কিনে এনে মাঠ ভরাট করা
৪ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। বিভিন্ন আকার ও ডিজাইনের নৌকা সাজানো সেখানে। এটি আসলে নৌকার হাট। নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়িয়ে হাটসংলগ্ন ডি এন পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠেও বেচাকেনা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে‘ওর বাবার চোখের সামনেই বিমানটা ভাইঙ্গা পড়ছে। নিচতলায় তখন শুধু আগুন। দোতলায় ধোঁয়া। দরজা বন্ধ। আর্মির সাথে মিল্লা দোতলার পিছনের গ্রিল ভাইঙ্গা উনি মেয়েটারে বাইর করছেন।’ বলছিলেন রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া আহমেদের মা শিউলি আক্তার।
৪ ঘণ্টা আগে