Ajker Patrika

হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সীতাকুণ্ডে দগ্ধ ৬ জন

ঢামেক প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, ১৬: ২০
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সীতাকুণ্ডে দগ্ধ ৬ জন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্দ হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তিদের মধ্যে ছয়জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে তাঁদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—মো. ফারুক (৪৭), মঈনউদ্দিন (৩২), মাগফারুল ইসলাম (৬৫), মাসুম মিয়া (৩২), ফরমানুল ইসলাম (৩০) ও ফারুক হোসেন (১৬)। 

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এই ছয়জনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে ভালো আছেন। তাঁদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। 

ডা. সামন্ত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সীতাকুণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসার সব সময় খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ভর্তি ২১ জনের মধ্যে ছয়জনকে চিকিৎসার পরে আজ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শেষে রোগীরা ছাড়পত্র পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে ছাড়পত্র পাওয়া রোগীদের হাসপাতালে ফলোআপে থাকতে হবে। পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তাঁদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট ও চট্টগ্রাম মেডিকেলে এবং চক্ষু ইনস্টিটিউটে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’ 

ডা. সামন্ত বলেন, সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আরও ১৫ জন রোগী ভর্তি আছে। এদের মধ্যে আরও দুজন রোগী আইসিইউতে ছিলেন। চিকিৎসার পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতির কারণে তাঁদের ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। ভর্তি ১৫ জন রোগীর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে আরও বেশ কয়েকজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম কয়েক দিন আগে মারা যান। তবে ছয়জন রোগীর মধ্যে ছাড়পত্র পাওয়া ফরমানুলের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পোড়া ছিল। 

মাগফারুল ইসলামের ছোট ভাই আসাদুল হক জানান, ডিপোর সিকিউরিটি ইনচার্জ মাগফারুলের পশ্চাদাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ঘটনার পরদিনই তাঁকে ঢাকায় আনা হয়। ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রাখা হয়। চার দিন আইসিইউতে থাকার পর তাঁকে পোস্ট অপারেটিভে রাখা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো কিছুটা ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকেরা কিছু ওষুধ ও ক্ষতস্থানে লাগানোর জন্য মলম দিয়েছেন। এতে ধীরে ধীরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন। তাঁর চোখের সমস্যাটাও কেটে গেছে। 

আসাদুল হক বলেন, মাগফারুলের অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। আমাদের পরবর্তী চিকিৎসার জন্য সাত দিন পরে আবার বার্ন ইনস্টিটিউটে আসতে বলা হয়েছে। 

এদিকে মো. ফারুকের ছেলে মো. জাকারিয়া বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে আজকে আমাদের ছুটি দিচ্ছে। এখান থেকে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে বাড়িতে যাব। আমার বাবার কোমরে দগ্ধ হয়েছিল। এ ছাড়া চোখে সমস্যা ছিল। এখন অনেকটাই সুস্থ। পরবর্তী চিকিৎসার জন্য আবার হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছে।’ এ সময় চিকিৎসক-নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত