Ajker Patrika

৯ ও ৫ বছর আগের মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা–কর্মীর কারাদণ্ড, খালাস ৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
৯ ও ৫ বছর আগের মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা–কর্মীর কারাদণ্ড, খালাস ৪০

নাশকতার তিন মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৯ নেতা–কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তিনটি মামলায় পৃথক রায়ে এই দণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া আদালত তিনটি মামলায় বিএনপির ৪০ নেতা–কর্মীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা আদালতে আত্মসমর্পণের পর দণ্ড কার্যকর হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। 

যেসব মামলায় দণ্ড
রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে করা এক মামলায় তিন বিএনপি নেতা–কর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— শাহাদত হোসেন খান ওরফে আমিন, শহীদুল ইসলাম ওরফে জুয়েল ওরফে শহীদ ও মো. জুয়েল মৃধা। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও ভাষা শহীদ ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে একটি প্রাইভেট কারে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনে প্রাইভেটকারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাইভেটকারটি ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদের। ঘটনার পর বিকেল ৫টায় ড. নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত এ মামলার রায়ে তিনজনকে খালাস দিয়েছেন। 

রাজধানীর খিলখেত থানায় করা এক মামলায় ২০ জনকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড ও সাতজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

চার বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— হাজী এস এম ফজলুল হক, আক্তার হোসেন, মোবারক হোসেন দেওয়ান, জহির উদ্দিন বাবু, মিজানুর রহমান রেনু, লায়ন সোহরাব হোসেন স্বপন, সৈকতুল ইসলাম সৈকত, শামসুল আলম সরকার, আবু আব্দুল্লাহ, রেজাউল মেম্বার, মজিবুর রহমান মেম্বার, নজরুল ইসলাম ও আব্দুল করিম। 

দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— শহিদুল ইসলাম খোকন, নুরুল ইসলাম মুরাদ, শামীম মোল্লা, মানিক মিয়া, মাওলানা ফরিদুল ইসলাম, এইচ এম সাখাওয়াত হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। 

এই মামলায় ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফুট সংলগ্ন তালেরটেক রাস্তার মুখে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার সময় আসামিরা বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনি সমাবেশ করে। পুলিশ বাধা দিলে তাদের কর্তব্য কাজে বাধার সৃষ্টি করে। 

এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানার এস আই আব্দুর রব বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩ জুন ৪২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। 

খিলক্ষেত থানার আরেক মামলায় বিএনপির ছয় নেতা–কর্মীকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— আক্তার হোসেন, মোবারক হোসেন দেওয়ান, নূরে আলম তুহিন, মিজানুর রহমান রেনু, জাকির হোসেন লিটন ও দিদার হোসেন। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনি ইউনিয়নের মডেল চেকপোস্টের পূর্ব দিকে বিএনপির নেতা–কর্মীরা বেআইনি জনতা বদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা, ইট পাটকেল ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অপরাধমূলক বল প্রয়োগ, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দিয়ে পুলিশকে আহত করাসহ ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি ও সহায়তা করেন। 

এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ২০১৯ সালের ২৯ মে ২৯ জন নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় কৃষক দলের দুই নেতা নিহত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে বগুড়া–নগরবাড়ী মহাসড়কের ঘুড়কা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চান্দাইকানা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক দলের দপ্তর সম্পাদক ও ডুমরাই গ্রামের মৃত বিরু শেখের ছেলে ওমর ফারুক (৩৮) এবং একই ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৪০)।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছি। তবে চালক পালিয়ে গেছে। লাশ দুটি হাসপাতাল থেকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, সকালে মোটরসাইকেলযোগে ভূঁইয়াগাঁতী এলাকা থেকে হাটিকুমরুলের দিকে যাচ্ছিলেন ফারুক ও ফরিদুল। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে দুজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা ফরিদকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফারুকও মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতালে চিরকুটসহ নবজাতক রেখে গেলেন দুজন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
হাসপাতালে নবজাতক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে নবজাতক। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডে এক নবজাতক রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বজনেরা। এ সময় নবজাতকের বিছানার পাশে একটি বাজারের ব্যাগে চিরকুট পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছে। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা জানাজানি হলে নবজাতককে দত্তক নিতে অনেকেই হাসপাতালে ভিড় করছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নবজাতকটি কন্যাশিশু। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নবজাতকের কাছে রেখে যাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমি একজন হতোভাগি। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম। দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন। বাচ্চার জন্ম তারিখ—৪-১১-২০২৫, রোজ-মঙ্গলবার। এগুলো সব বাচ্চার ওষুধ। আমি মুসলমান জাতির মেয়ে।’

আজ বিকেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক গোলাম আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক দম্পতি শিশুটিকে কোলে নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে এসে বাচ্চাটিকে ভর্তি করতে বলেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন শিশুটির নানা-নানি হিসেবে। আমি শিশুটির মাকে খোঁজ করি। তাঁরা বলেন, শিশুটির মা নিচে আছে। আমি মাকে নিয়ে আসতে বললে বাচ্চাসহ ওই দম্পতি বেরিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরে শিশু ওয়ার্ডের বাইরে একটি বেডে বাচ্চাটিকে একা থাকতে দেখে অন্যরা বিষয়টি আমাদের জানান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির মা ও স্বজনদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটির বিছানায় একটি বাজারের ব্যাগে কিছু ওষুধ, ডায়াপার ও জামাকাপড় পাওয়া গেছে।’ এ সময় চিকিৎসক গোলাম আহাদ জানান, স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের যে সময়কাল, তার আগেই নবজাতকের জন্ম। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে। তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, একটি ব্যাগে ভরে বাচ্চাটিকে হাসপাতাল পর্যন্ত এনেছেন তার স্বজনেরা। এরই মধ্যে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নিতে হাসপাতালে যোগাযোগ করছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরে শিশুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদমদীঘিতে নারী গ্রেপ্তার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নশরতপুরের দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর বিড়ালের গলা কেটে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিড়ালের প্রতি এমন নির্মমতার প্রতিবাদে সরব হয় বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এ ঘটনায় গত বুধবার (৫ নভেম্বর) আদমদীঘি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সংগঠনটির সদস্য এমরান হোসেন।

এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত বুলবুলি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিড়াল হত্যার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, ভাঙচুর-আগুন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয় ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় অন্য পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয় ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় অন্য পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বিএনপির মনোনয়ন ও উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দুই গ্রুপ আলাদা সমাবেশ ও র‍্যালির আয়োজন করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওয়াপদা মোড়ে হারুন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচির আয়োজন করেন শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপ। অপর দিকে চৌরাস্তা এলাকায় একই কর্মসূচির আয়োজন করে নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ। বিকেলে দুই পক্ষের লোকজন বোয়ালমারী বাজারে জড়ো হচ্ছিল। উভয় পক্ষের কয়েক শ মানুষ চলাচলের সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে বোয়ালমারী বাজারের ওয়াপদা এলাকায় শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু সমর্থিতদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা আশপাশের অন্তত ৮ থেকে ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা অন্তত ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ধ্বংসযজ্ঞ। এ সময় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অনেকে। অন্যরা দ্রুত সরে পড়েন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত