Ajker Patrika

গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রীর দাবি হত্যা   

টাঙ্গাইল ও ঘাটাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ০২
Thumbnail image

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গলায় রশি প্যাঁচানো বসে থাকা অবস্থায় এক অটো ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার চৈথট্র বটতলী এলাকায় অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পরিবারের দাবি, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন।

নিহত ভ্যানচালকের নাম কবির হোসেন (২৭)। তিনি উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের খাগড়াটা গ্রামের সামাদ মিয়ার ছেলে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা বলছে, কবির হোসেন ও মিনহাজ উদ্দিন একই ঘরে অটো ভ্যান চার্জে দিতেন। আজ (শনিবার) ভোরে মিনহাজ অটো ভ্যান চার্জ দেওয়ার ঘরে গিয়ে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। এ সময় তিনি দেখতে পান ঘরের এক কোণে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় কবির বসে আছেন। পরে মিনহাজের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ কবিরের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

নিহত কবিরের স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, তাঁদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাঁর স্বামী কবির হোসেন প্রতিদিন চৈথট্র বটতলী এলাকায় ব্যাটারি চার্জ দেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ভ্যান আনতে ঘর থেকে বের হয়ে যান তিনি। এরপর ভোর ৫টার দিকে হালিমা জানতে পারেন তাঁর স্বামীর মরদেহ পড়ে আছে। 

স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে হালিমা জানান, তাঁর স্বামীকে হত্যা করে এভাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। 

সংগ্রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে কবিরকে হত্যা করে লাশ ওইভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গণি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কবিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে অত্যন্ত ভালো ছেলে। আত্মহত্যা করার মতো ছেলে সে নয়। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।’ 

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত