Ajker Patrika

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর: বদলি–পদায়নে অস্থিরতা

  • মূল ফটকে তালা, পদায়ন পাওয়া কর্মকর্তাকে হুমকি
  • পিডির নির্দেশে দুই ডিপিডির কক্ষ বেদখল
  • আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, কাউকে অস্থিরতা করতে দেব না: ডিজি
সাইফুল মাসুম, ঢাকা 
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯: ২৬
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর: বদলি–পদায়নে অস্থিরতা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (ডিএই) বদলি ও পদায়ন নিয়ে তৈরি হওয়া অস্থিরতা থামছেই না। কখনো স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে পোস্টার সাঁটানো, কখনো হুমকিধমকি ও রাজনৈতিক মামলায় আসামি করে হয়রানি, আবার কখনো দখল করা হচ্ছে কর্মকর্তাদের কক্ষ।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তেজিত কিছু কর্মকর্তা খামারবাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। মূলত ডিএইর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদের বদলিকে কেন্দ্র করে এ উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব এবং ডিএই হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. রেজাউল ইসলাম মুকুলের নেতৃত্বে একদল কর্মকর্তা প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক (প্রশাসন) পদে নতুন নিয়োগ পাওয়া মো. মুরাদুল হাসানকে খামারবাড়ি ছাড়ার হুমকি দেন। মাহবুবুর রশীদের বদলি বাতিল না হলে তাঁরা খামারবাড়ি অচল করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।

অভিযোগ রয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর খামারবাড়ির বিভিন্ন ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুলের অনুসারীরা।

ডিএইর তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার ডিএইর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে উপপরিচালক পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষি মন্ত্রণালয়। মাহবুবুর রশীদের স্থলাভিষিক্ত করা হয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপপরিচলক (আমদানি) মো. মুরাদুল হাসানকে।

জানা যায়, বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের হতে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় কয়েক কর্মকর্তা নতুন পদায়ন পাওয়া উপপরিচালক (প্রশাসন) মুরাদুল হাসানের কক্ষে গিয়ে তাঁকে হুমকি দেন।

জানতে চাইলে রেজাউল ইসলাম মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ সময় এসে এভাবে বদলি করা আমাদের জন্য প্রেস্টিজের (সম্মান) ব্যাপার। আমরা এখন খামারবাড়ি থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।’

এদিকে ডিএইর কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া নতুন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কৃষি প্রকৌশলী মঞ্জুর-উল-আলম দায়িত্ব নিয়ে দুই ডিপিডিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিস ছাড়া করেছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুর-উল-আলম দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর নির্দেশে প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম শেখ, উপপ্রকল্প পরিচালক আলতাফুন নাহার, সিনিয়র মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার মুহাম্মদ কুরবান আলী, মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার আফছার আহমেদ রাজিন ও মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার জুলফিকার আলী ভুট্টোর কক্ষের নামফলক খুলে ফেলা হয়। কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাঁদের কক্ষের চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রকল্প পরিচালক। পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিসকক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার পর দুই উপপ্রকল্প পরিচালকের কক্ষে নতুন দুজনকে বসানো হয়েছে।

উপপ্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম শেখ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমার কক্ষ পিডির অনুসারী হিসেবে পরিচিত ইখলাস আশ্রাফ নামে একজন দখল করে রেখেছে। নতুন কোথাও বদলির আদেশ না হওয়ায় এখন খামারবাড়ি থেকে একবার ঘুরে আসা ছাড়া কোনো কাজ নেই।’

এসব বিষয়ে জানতে প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুর-উল-আলমকে একাধিকবার কল ও খুদেবার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

সার্বিক বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ছাইফুল আলম বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। খামারবাড়িতে কাউকে অস্থিরতা করতে দেব না।’

বদলি ও পদায়ন নিয়ে উত্তেজনার বিষয়ে ছাইফুল আলম বলেন, ‘যাকে (মাহবুবুর রশীদ) বদলি করা হয়েছে, তার অনুসারী কিছু কর্মকর্তা এ কাজ করেছে। যাকে (মুরাদুল হাসান) পদায়ন করা হয়েছে, তিনিও যোগদান করেছেন। রোববারে দায়িত্ব বুঝে নেবেন।’

কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে অস্থিরতা নিয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও জেনেছি। যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের পিডির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত বদলি অর্ডার হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকল্পের উপপরিচালক ও অন্য কর্মকর্তারা নিজেদের জায়গায় থাকবে। কর্মকর্তাদের তিনি (পিডি) অফিস ছাড়া করতে পারেন না।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে ‘এএ ইয়ার্ন মিলস’ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আকস্মিক বন্ধের কারণে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা আজ সোমবার সকাল থেকে কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আজ সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু শ্রমিকেরা কর্মস্থলে এসে দেখেন মূল ফটকের সামনে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ ঝোলানো রয়েছে।

শ্রমিক শামীম বলেন, ‘দীর্ঘ বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা চলছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। আমাদের বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য দাবিদাওয়া না মিটিয়ে কারখানা বন্ধ করা শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায়।’

শ্রমিক বিলকিস বেগম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘কমপক্ষে ৯ বছর এই কারখানায় কর্মরত। শেষ বয়সে এসে চাকরি হারানোর মতো অবস্থা। এই বয়সে অন্য কোনো কারখানায় চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের বেতন-ভাতা কোনো কিছু পরিশোধ না করেই হঠাৎ বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। গত ২৩ তারিখ আমরা ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট খেয়েছি। আমাদের কী অপরাধ?’

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা কারখানার গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ভাঙচুর করেছে। এ অবস্থায় কারখানা চালানো সম্ভব নয়। মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে মোতাবেক বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩(১) অনুসারে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।’

শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘খবর পেয়ে সকাল থেকেই কারখানার নিরাপত্তায় আমরা রয়েছি। শ্রমিকেরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ইতিমধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমস্যা সমাধানের জন্য দুই ঘণ্টার সময় নিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উচ্ছেদচেষ্টার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ, ভোগান্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনে থেকে দোকান উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওষুধের ফার্মেসি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার সকাল থেকে এই ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। তবে টি রোড, কালীবাড়ি, স্টেশন রোড ও কাউতলী এলাকার কিছু ফার্মেসি খোলা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি পৌর শাখার সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ১৯৮৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা কলেজের আশপাশের এই দোকানগুলো তাঁরা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন এবং নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘অথচ বর্তমানে আমাদের অবৈধ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অমানবিক ও অবৈধ। আমরা অবিলম্বে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ন্যায়সংগত সমাধান চাই।’

তিনি আরও জানান, এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রতিকার না পেয়ে সোমবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সব ফার্মেসি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা অবস্থান কর্মসূচিও পালন করছেন।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে নতুন ও দৃষ্টিনন্দন ফটক নির্মাণের দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজের সামনের বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলোর কারণে তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং চলাচলের সময় তাঁরা নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন।

এই ধর্মঘটের ফলে জেলা শহরের প্রায় এক হাজার ফার্মেসির বেশির ভাগ বন্ধ রয়েছে, যার কারণে জরুরি ওষুধ কিনতে এসে রোগী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল
অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন। ছবি: সংগৃহীত

ব‌রিশাল বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের রে‌জিস্ট্রার (অতিরিক্ত দা‌য়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন উদ্দীন পদত‌্যাগ ক‌রে‌ছেন। আজ সোমবার সকা‌লে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌ‌ফিক আলমের দপ্ত‌রে তিনি পদত‌্যাগপত্র জমা দি‌য়ে‌ছেন।

অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববারই তিনি উপাচার্যকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন এবং আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মুহসিন জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বাজেট টিম বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় ১৭টি ‘অবজার্ভেশন’ (পর্যবেক্ষণ) দিয়েছে। এর মধ্যে চারটি পর্যবেক্ষণ সরাসরি রেজিস্ট্রার-সংক্রান্ত। এই পর্যবেক্ষণগুলো ছিল—কেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক হয়েও সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক সদস্য? কেন তিনি আবাসিক কর্মকর্তা হিসেবে ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকেন না? কেন রেজিস্ট্রার গাড়ি ব্যবহার করেন?

রেজিস্ট্রার জানান, এসব কারণে তিনি মনে করেন এই পদে থাকা উচিত হবে না। যে কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। চলতি বছরের ২১ মে ড. মুহসিন রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। ছয় মাস পর্যন্ত এ পদে থাকার কথা থাকলেও তার আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে উপাচার্যের পিএস টু ভিসি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান আজ‌কের প‌ত্রিকা‌কে ব‌লেন, ‘আমি শু‌নে‌ছি রে‌জিস্ট্রার পদত‌্যাগপত্র জমা দি‌য়ে‌ছেন, কিন্তু দে‌খিনি।’ উপাচার্য প্রস‌ঙ্গে ব‌লেন, ‘স‌্যার এক‌টি সভায় আছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জে বাস উল্টে খাদে পড়ে ১ জন নিহত, আহত ২০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গভীর খাদে পড়ে যায় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গভীর খাদে পড়ে যায় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাজার জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাস উল্টে খাদে পড়ে বাদল মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন যাত্রী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেজুড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামের পল্টু মিয়ার ছেলে। আহতদের সবাই একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, রোববার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক মাজারে জিয়ারত শেষে ভোরে দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন বাদল। বাসটি মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এর ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের নিচে অনেক যাত্রী আটকা পড়েন এবং বাদল মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত