আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় বাসচাপায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ অংশের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন পাঁচজন।
নিহতদের মধ্যে চারজন প্রাইভেট কারের যাত্রী, বাকি দুজন মোটরসাইকেল আরোহী। প্রাইভেট কারে থাকা নিহত যাত্রীরা হলেন আয়াজ, আমেনা, ইমি ও নিহা। অন্যদিকে নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন রেশমা আক্তার (২৪) ও তাঁর সাত বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ।
জানা যায়, ঢাকার জুরাইন থেকে প্রাইভেট কারে চালকসহ আটজন গোপালগঞ্জে যাচ্ছিলেন। অন্যদিকে মোটরসাইকেলে ফরিদপুরে যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলা ১১টার দিকে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের জন্য মোটরসাইকেলটি থামে। এর পেছনে ছিল প্রাইভেট কারটি। এ সময় বেপারী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কারের পেছনে ধাক্কা দিয়ে সামনে নিয়ে যায়। এ সময় কার ও বাসটি গিয়ে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে কার ও মোটরসাইকেলের সবাই হতাহত হয়। এর মধ্যে প্রাইভেট কারে থাকা এক শিশুসহ একই পরিবারের চারজন এবং মোটরসাইকেলে থাকা এক শিশু ও তার মা নিহত হন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রাইভেট কারে ছিলেন গাড়ির মালিক নুর আলম (২৮), তাঁর স্ত্রী অনামিকা (২৫), ছেলে আয়াজ, শাশুড়ি আমেনা, দুই শ্যালিকা ইমি (২২) ও নিহা (১০), চালক হাবিবুর রহমান (৩১) এবং এক আত্মীয় ফাহমিদা আক্তার নাদিয়া (১৭)। তাঁদের মধ্যে নুর আলমের ছেলে আয়াজ, শাশুড়ি আমেনা, শ্যালিকা ইমি ও নিহা নিহত হন। বাকিরা গুরুতর আহত অবস্থায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নুর আলমের বড় ভাই নুর আহম্মেদ জানান, প্রাইভেট কারের সবাই ঢাকার জুরাইনের বাসিন্দা। চার দিন আগে গোপালগঞ্জে এক আত্মীয় মারা যান। শোক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গতকাল সকালে সবাইকে নিয়ে নিজের প্রাইভেট কারে রওনা দেয় নুর আলম। পথে দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে মোটরসাইকেলে ছিলেন ঢাকার হাতিরঝিল এলাকার বাসিন্দা সুমন (২৮), স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৪) ও ৭ বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ। দুর্ঘটনায় আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে এবং পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমা মারা যান।
সুমনের শ্বশুর আ. মালেক জানান, ছোট শ্যালিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ফরিদপুরের পথে রওনা দেন সুমন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে।
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আ. রহমান বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক ছয়জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এসআই আ. রহমান আরও জানান, দুর্ঘটনার পর বাসটি জব্দ করে ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। তবে চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাঁথিয়ায় ট্রাকচাপায় নিহত ৩ দিনমজুর
পাবনার সাঁথিয়ায় ট্রাকচাপায় তিন দিনমজুর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে সাঁথিয়া-মাধপুর সড়কের রাঙামাটিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন উপজেলার রাঙামাটিয়া গ্রামের খোকন হোসেন (২৭), ছোন্দহ গ্রামের ধনী প্রামাণিক (৫০) ও রাসেল হোসেন (২৭)।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সাঁথিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ জানান, গতকাল ভোরে অন্য এলাকায় কাজে যাওয়ার জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নছিমনে উঠছিলেন তিন শ্রমিক। এ সময় পাবনা থেকে সাঁথিয়াগামী মালবাহী একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁরা নিহত হন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন কেরানীগঞ্জ (ঢাকা), সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ), পাবনা ও সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি]
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় বাসচাপায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ অংশের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন পাঁচজন।
নিহতদের মধ্যে চারজন প্রাইভেট কারের যাত্রী, বাকি দুজন মোটরসাইকেল আরোহী। প্রাইভেট কারে থাকা নিহত যাত্রীরা হলেন আয়াজ, আমেনা, ইমি ও নিহা। অন্যদিকে নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন রেশমা আক্তার (২৪) ও তাঁর সাত বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ।
জানা যায়, ঢাকার জুরাইন থেকে প্রাইভেট কারে চালকসহ আটজন গোপালগঞ্জে যাচ্ছিলেন। অন্যদিকে মোটরসাইকেলে ফরিদপুরে যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলা ১১টার দিকে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের জন্য মোটরসাইকেলটি থামে। এর পেছনে ছিল প্রাইভেট কারটি। এ সময় বেপারী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কারের পেছনে ধাক্কা দিয়ে সামনে নিয়ে যায়। এ সময় কার ও বাসটি গিয়ে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে কার ও মোটরসাইকেলের সবাই হতাহত হয়। এর মধ্যে প্রাইভেট কারে থাকা এক শিশুসহ একই পরিবারের চারজন এবং মোটরসাইকেলে থাকা এক শিশু ও তার মা নিহত হন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রাইভেট কারে ছিলেন গাড়ির মালিক নুর আলম (২৮), তাঁর স্ত্রী অনামিকা (২৫), ছেলে আয়াজ, শাশুড়ি আমেনা, দুই শ্যালিকা ইমি (২২) ও নিহা (১০), চালক হাবিবুর রহমান (৩১) এবং এক আত্মীয় ফাহমিদা আক্তার নাদিয়া (১৭)। তাঁদের মধ্যে নুর আলমের ছেলে আয়াজ, শাশুড়ি আমেনা, শ্যালিকা ইমি ও নিহা নিহত হন। বাকিরা গুরুতর আহত অবস্থায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নুর আলমের বড় ভাই নুর আহম্মেদ জানান, প্রাইভেট কারের সবাই ঢাকার জুরাইনের বাসিন্দা। চার দিন আগে গোপালগঞ্জে এক আত্মীয় মারা যান। শোক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গতকাল সকালে সবাইকে নিয়ে নিজের প্রাইভেট কারে রওনা দেয় নুর আলম। পথে দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে মোটরসাইকেলে ছিলেন ঢাকার হাতিরঝিল এলাকার বাসিন্দা সুমন (২৮), স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৪) ও ৭ বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ। দুর্ঘটনায় আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে এবং পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমা মারা যান।
সুমনের শ্বশুর আ. মালেক জানান, ছোট শ্যালিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ফরিদপুরের পথে রওনা দেন সুমন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে।
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আ. রহমান বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক ছয়জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এসআই আ. রহমান আরও জানান, দুর্ঘটনার পর বাসটি জব্দ করে ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। তবে চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাঁথিয়ায় ট্রাকচাপায় নিহত ৩ দিনমজুর
পাবনার সাঁথিয়ায় ট্রাকচাপায় তিন দিনমজুর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে সাঁথিয়া-মাধপুর সড়কের রাঙামাটিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন উপজেলার রাঙামাটিয়া গ্রামের খোকন হোসেন (২৭), ছোন্দহ গ্রামের ধনী প্রামাণিক (৫০) ও রাসেল হোসেন (২৭)।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সাঁথিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ জানান, গতকাল ভোরে অন্য এলাকায় কাজে যাওয়ার জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নছিমনে উঠছিলেন তিন শ্রমিক। এ সময় পাবনা থেকে সাঁথিয়াগামী মালবাহী একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁরা নিহত হন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন কেরানীগঞ্জ (ঢাকা), সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ), পাবনা ও সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি]
আসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
৪০ মিনিট আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগেপ্রায় ২৫ বছর আগে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতে পাচার হন খুলনার রূপসা উপজেলার কিলো গ্রামের আনোয়ারা গাজী (৪৫)। বয়স তখন মাত্র ২০ বছর। অবশেষে ২৫ বছর পর তিনি ফিরলেন নিজ মাতৃভূমিতে।
৩ ঘণ্টা আগে