এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
রমনার বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলা হয়েছিল ২০০১ সালে। সেই হামলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়, আহত হয় ২০-২৫ জন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে রায়ের পর ৯ বছরের বেশি সময় ধরে হাইকোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। আর দীর্ঘ ২৩ বছর পার হলেও এখনো শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলার বিচার। বর্তমানে মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে বলে জানা গেছে।
হত্যা মামলাটি ২০১৪ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে যায় মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য। পরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুকও প্রস্তুত করা হয়। কয়েক দফায় একাধিক বেঞ্চের কার্যতালিকায় ছিল ডেথ রেফারেন্সটি নিষ্পত্তির জন্য। তবে ৯ বছরের বেশি সময় পার হলেও শেষ হয়নি তা।
ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে মামলাটি বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে নিষ্পত্তির জন্য আছে। ঈদের ছুটির পর এটি শুনানি হবে।’
ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির পর সংক্ষুব্ধরা আপিল বিভাগে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আপিল বিভাগের রায়ের পর রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবেন সংক্ষুব্ধরা। রিভিউতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার সুযোগ পাবেন আসামি। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে বা আবেদন করার পর তা খারিজ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে সরকার।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মুফতি হান্নান, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আকবর হোসাইন ওরফে হেলাল উদ্দিন, আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা তাজউদ্দিন (সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই) ও হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর বদর। এরই মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে মুফতি হান্নানের।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাফেজ আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ওরফে আবদুল হান্নান, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আবদুর রউফ ও শাহাদাত উল্লা ওরফে জুয়েল। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১৪ জনের মধ্যে শাহাদাত উল্লা ছাড়া অন্যরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজির শীর্ষস্থানীয় নেতা।
এদিকে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলাটি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। মামলার ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ২৩ বছরেও বিচার শেষ না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. মাহবুবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুণে ধরা সমাজের মতো বিচার ব্যবস্থায়ও একটা জট লেগেছিল। ২৩ বছরে ধরে বিচার চলছে শুনলে নিজেরই লজ্জা লাগে।’
মো. মাহবুবর রহমান আরও বলেন, ‘পুলিশ বিভিন্ন সময়ে বদলি হয়ে যাওয়ায় সময়মতো সাক্ষ্য দিতে আসে না। তবে বিচারক যদি বদলি না হন, আশা করি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বর্ষবরণে চালানো বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ছাড়া আহত হন আরও অন্তত ২০-২৫ জন। ওই ঘটনায় রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করলে ঘটনার প্রায় আট বছর পর ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর সবশেষে দুটি মামলারই চূড়ান্ত অভিযোগপত্র একসঙ্গে দাখিল করে সিআইডি।
রমনার বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলা হয়েছিল ২০০১ সালে। সেই হামলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়, আহত হয় ২০-২৫ জন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে রায়ের পর ৯ বছরের বেশি সময় ধরে হাইকোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। আর দীর্ঘ ২৩ বছর পার হলেও এখনো শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলার বিচার। বর্তমানে মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে বলে জানা গেছে।
হত্যা মামলাটি ২০১৪ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে যায় মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য। পরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুকও প্রস্তুত করা হয়। কয়েক দফায় একাধিক বেঞ্চের কার্যতালিকায় ছিল ডেথ রেফারেন্সটি নিষ্পত্তির জন্য। তবে ৯ বছরের বেশি সময় পার হলেও শেষ হয়নি তা।
ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে মামলাটি বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে নিষ্পত্তির জন্য আছে। ঈদের ছুটির পর এটি শুনানি হবে।’
ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তির পর সংক্ষুব্ধরা আপিল বিভাগে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আপিল বিভাগের রায়ের পর রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবেন সংক্ষুব্ধরা। রিভিউতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার সুযোগ পাবেন আসামি। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে বা আবেদন করার পর তা খারিজ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে সরকার।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মুফতি হান্নান, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আকবর হোসাইন ওরফে হেলাল উদ্দিন, আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা তাজউদ্দিন (সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই) ও হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর বদর। এরই মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে মুফতি হান্নানের।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাফেজ আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ওরফে আবদুল হান্নান, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আবদুর রউফ ও শাহাদাত উল্লা ওরফে জুয়েল। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১৪ জনের মধ্যে শাহাদাত উল্লা ছাড়া অন্যরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজির শীর্ষস্থানীয় নেতা।
এদিকে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলাটি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। মামলার ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ২৩ বছরেও বিচার শেষ না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. মাহবুবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুণে ধরা সমাজের মতো বিচার ব্যবস্থায়ও একটা জট লেগেছিল। ২৩ বছরে ধরে বিচার চলছে শুনলে নিজেরই লজ্জা লাগে।’
মো. মাহবুবর রহমান আরও বলেন, ‘পুলিশ বিভিন্ন সময়ে বদলি হয়ে যাওয়ায় সময়মতো সাক্ষ্য দিতে আসে না। তবে বিচারক যদি বদলি না হন, আশা করি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বর্ষবরণে চালানো বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ছাড়া আহত হন আরও অন্তত ২০-২৫ জন। ওই ঘটনায় রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করলে ঘটনার প্রায় আট বছর পর ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর সবশেষে দুটি মামলারই চূড়ান্ত অভিযোগপত্র একসঙ্গে দাখিল করে সিআইডি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সানজিদা দুপুরের পর তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামসংলগ্ন করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের লোকজন তাকে উদ্ধার করতে নদীতে নৌকা নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে তল্লাশি চালায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সন্ধান না
২ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে কোরবানির পশু উপহার দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার ২১টি শহীদ পরিবারের মাঝে একটি করে ছাগল উপহার দেওয়া হয়। শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব উপহার তুলে দেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা।
৩৪ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি সুপার শপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আজ শুক্রবার উপজেলার মেইন রোডের আলীম সুপার মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেইসরাত খাতুন বলেন, আশুলিয়া থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ট্রাকে উঠেছেন রংপুরের তারাগঞ্জের উদ্দেশে। কিন্তু সেখান থেকে সেতু পূর্ব গোলচত্বরে আসতে তাঁদের সময় লেগেছে প্রায় ১৫ ঘণ্টার মতো। তীব্র গরমে শিশুদের নিয়ে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়ছেন। এমন ভয়াবহ যানজটে কোনোবার তাঁরা পড়েননি।
১ ঘণ্টা আগে