Ajker Patrika

স্ত্রীর ওষুধ আনতে বের হয়ে নিখোঁজ, পরদিন ভুট্টাখেতে মরদেহ

প্রতিনিধি (ঢাকা) ধামরাই
স্ত্রীর ওষুধ আনতে বের হয়ে নিখোঁজ, পরদিন ভুট্টাখেতে মরদেহ

ঢাকার ধামরাইয়ে নিখোঁজের একদিন পর ভুট্টাখেত থেকে মো. মনির হোসেন (৫৫) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার সোমবাগ ইউনিয়নের চরডাউটিয়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

মনির হোসেন গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে স্ত্রীর ওষুধ কেনার জন্য কালামপুর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

নিহত মনির হোসেন উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের আটিমাইঠান গ্রামের মৃত হাজি ইসরাফিলের ছেলে। তবে তিনি সোমভাগ ইউনিয়নের চরডাউটিয়া গ্রামের শ্বশুর ফজলুল হকের বাড়িতে থেকে কালামপুর বিসিক শিল্পনগরীর ভ্যালেন্টেড কারখানায় চাকরি করতেন।

নিহতের পরিবার বলছে, মনির হোসেন তার স্ত্রীর জন্য ওষুধ আনার কথা বলে গতকাল রোববার বিকেলে বাড়ি থেকে কালামপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। কিন্তু সেই রাতে আর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন নি। আজ সোমবার আত্মীয়–স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে না পেলে দুপুরের দিকে তাঁর ছেলে রেজোয়ান ধামরাই থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করেন। 

পরে বিকেলের দিকে ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের চরডাউটিয়া এলাকার একটি ভুট্টা খেতের পাশ দিয়ে এক কৃষক জমির আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখেন ভুট্টা খেতের ভেতরে মনির হোসেনের মরদেহ পড়ে আছে। পরে ওই কৃষক চিৎকার করে এলাকার লোকজনকে জানায় এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়। 

এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ভুট্টা খেত থেকে মনির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

উল্লেখ্য রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত এ ঘটনায় ধামরাই থানায় কোনো মামলা করেননি নিহতের স্বজনেরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত