টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আকাশী গ্রাম থেকে মর্জিনা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোররাতে জেলার ঘাটাইল পৌরশহরের পশ্চিম পাড়া এলাকায় প্রেমিকের ভাড়াবাসায় এই ঘটনা ঘটে।
মর্জিনা বেগম মধুপুর উপজেলার আকাশী গ্রামের সেন্টু মিয়ার স্ত্রী। দেড় যুগ আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন মধুপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, অনেক দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলায় মধুপুর পৌরশহরের কাজী পাড়ায় ভাড়াটে বাসায় থাকতেন মর্জিনা। কয়েক মাস আগে কাজীপাড়া মহল্লার নাঈম হোসেন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মর্জিনার সম্পর্ক হয়। তিন সপ্তাহ আগে নাঈম ঘাটাইল পৌরশহরের পশ্চিমপাড়ায় ভাড়াবাসায় মর্জিনাকে নিয়ে তোলেন। এরপর থেকে পরিবার ও স্বামী সেন্টু মিয়ার সঙ্গে মর্জিনার কোনো যোগাযোগ ছিল না। তবে স্বামীর সঙ্গে মর্জিনার ছাড়াছাড়ি হয়নি বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে একটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক মর্জিনার বাবা মজিবর রহমানকে মোবাইল ফোনে জানান, ঘাটাইল পৌরশহরের পশ্চিম পাড়ায় একটি ভাড়াবাসায় মর্জিনা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাঁর অবস্থা গুরুতর। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার। ভোররাতে মজিবর রহমান ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক মোবাইল ফোনে আবারও জানান মর্জিনা হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁর লাশ মধুপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
আজ সকালে মর্জিনার লাশ সেন্টু মিয়ার বাড়ি আকাশী গ্রামে নিয়ে আসেন ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় মধুপুর থানা-পুলিশ আজ বিকেলে মর্জিনার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে মর্জিনার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে জানায় পুলিশ।
ঘাটাইল পৌরশহরের পশ্চিমপাড়া গ্রামের সুজন মিয়া জানান, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে ভাড়াবাসায় নাঈমের চিৎকার শুনে তিনিসহ পড়শিরা সেখানে হাজির হন। গিয়ে দেখেন মর্জিনার গায়ে আগুন জ্বলছে। কেরোসিনের উৎকট গন্ধ বেরোচ্ছে। পাশেই বিমর্ষ হয়ে বসেছিলেন নাঈম। মর্জিনাকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে নাঈম ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গা ঢাকা দেন।
ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মো. শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘গভীর রাতে মর্জিনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাঁর শরীর মারাত্মকভাবে পুড়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
ঘাটাইল থানা-পুলিশ আজ রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যায় বলে জানান টাঙ্গাইলের গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুনাদির ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে রহস্য জানা যাবে।’
মধুপুর থানার এসআই ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘নাঈম ঘাটাইল পৌরশহরের পশ্চিমপাড়া এলাকায় ভাড়াবাসায় মর্জিনাকে নিয়ে থাকতেন। মর্জিনার বাবা মজিবর রহমানের ফোন পেয়ে আকাশী গ্রাম থেকে দগ্ধ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। নিহতের শরীরের বেশি অংশই ছিল দগদগে পোড়া। এটি হত্যা না আত্মহত্যা বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।’
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আকাশী গ্রাম থেকে মর্জিনা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোররাতে জেলার ঘাটাইল পৌরশহরের পশ্চিম পাড়া এলাকায় প্রেমিকের ভাড়াবাসায় এই ঘটনা ঘটে।
মর্জিনা বেগম মধুপুর উপজেলার আকাশী গ্রামের সেন্টু মিয়ার স্ত্রী। দেড় যুগ আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন মধুপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, অনেক দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলায় মধুপুর পৌরশহরের কাজী পাড়ায় ভাড়াটে বাসায় থাকতেন মর্জিনা। কয়েক মাস আগে কাজীপাড়া মহল্লার নাঈম হোসেন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মর্জিনার সম্পর্ক হয়। তিন সপ্তাহ আগে নাঈম ঘাটাইল পৌরশহরের পশ্চিমপাড়ায় ভাড়াবাসায় মর্জিনাকে নিয়ে তোলেন। এরপর থেকে পরিবার ও স্বামী সেন্টু মিয়ার সঙ্গে মর্জিনার কোনো যোগাযোগ ছিল না। তবে স্বামীর সঙ্গে মর্জিনার ছাড়াছাড়ি হয়নি বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে একটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক মর্জিনার বাবা মজিবর রহমানকে মোবাইল ফোনে জানান, ঘাটাইল পৌরশহরের পশ্চিম পাড়ায় একটি ভাড়াবাসায় মর্জিনা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাঁর অবস্থা গুরুতর। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার। ভোররাতে মজিবর রহমান ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক মোবাইল ফোনে আবারও জানান মর্জিনা হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁর লাশ মধুপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
আজ সকালে মর্জিনার লাশ সেন্টু মিয়ার বাড়ি আকাশী গ্রামে নিয়ে আসেন ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় মধুপুর থানা-পুলিশ আজ বিকেলে মর্জিনার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে মর্জিনার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে জানায় পুলিশ।
ঘাটাইল পৌরশহরের পশ্চিমপাড়া গ্রামের সুজন মিয়া জানান, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে ভাড়াবাসায় নাঈমের চিৎকার শুনে তিনিসহ পড়শিরা সেখানে হাজির হন। গিয়ে দেখেন মর্জিনার গায়ে আগুন জ্বলছে। কেরোসিনের উৎকট গন্ধ বেরোচ্ছে। পাশেই বিমর্ষ হয়ে বসেছিলেন নাঈম। মর্জিনাকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে নাঈম ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গা ঢাকা দেন।
ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মো. শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘গভীর রাতে মর্জিনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাঁর শরীর মারাত্মকভাবে পুড়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
ঘাটাইল থানা-পুলিশ আজ রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যায় বলে জানান টাঙ্গাইলের গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুনাদির ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে রহস্য জানা যাবে।’
মধুপুর থানার এসআই ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘নাঈম ঘাটাইল পৌরশহরের পশ্চিমপাড়া এলাকায় ভাড়াবাসায় মর্জিনাকে নিয়ে থাকতেন। মর্জিনার বাবা মজিবর রহমানের ফোন পেয়ে আকাশী গ্রাম থেকে দগ্ধ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। নিহতের শরীরের বেশি অংশই ছিল দগদগে পোড়া। এটি হত্যা না আত্মহত্যা বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।’
রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের শৌচাগারে এক কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। মাসুদ রানা (৩৪) নামের ওই কনস্টেবল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে। আজ রোববার সকালে ব্যারাকের শৌচাগারে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মাসুদ রানা রাজশাহীর বাগমারা থানার যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত
২৩ মিনিট আগেরাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে মোহাম্মদ মুঈদ (৩২) ও স্ত্রী আইরিন আক্তার রত্না (৩৫) নামে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে ওয়ারী থানার ওয়ার স্ট্রিটের জমজম টাওয়ারের পাঁচতলার একটি বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
২৪ মিনিট আগেগত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আহত করা, ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও প্রতিটি বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে শিক্ষকেরা পাঠদানে ফিরবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩৮ মিনিট আগেঘটনাটি ঘটেছে নগরের বোয়ালিয়া থানা থেকে মাত্র প্রায় ৪০০ মিটার দূরে। মোটরসাইকেলে আসা দুই ছিনতাইকারী রিকশা থামিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই ছিনতাই করে।
১ ঘণ্টা আগে