Ajker Patrika

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টি কারাগারে, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ১৯: ১৬
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টি কারাগারে, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য হলেন এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান। 

দুপুরের দিকে চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের কারাগারে রাখার আবেদন জানান। একই সঙ্গে চারজনকে জেলগেটে টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত সাত কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

এর আগে এই চারজনের পক্ষে হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করা হলেও আজ সোমবার আর জামিন আবেদন করা হয়নি। গত রোববার আগাম জামিনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে তাঁদের গ্রেপ্তার করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করতে শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দেন। 

নর্থ সাউথের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৫ মে মামলা করে দুদক। চার সদস্য ছাড়াও মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালীকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন। 

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ / ১০৯ / ৪২০ / ১৬১ / ১৬৫ক ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত