নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: করোনার সংক্রমণ না কমায় আগামী ১৬ মে পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে সরকার। এই সময় দূরপল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ থাকবে। তবে জেলার ভেতর চলবে গণপরিবহন। ঢাকা ছাড়তে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ঈদে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাওয়া যাবে। তবে বাড়বে ভোগান্তি, গুণতে হবে বাড়তি টাকা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক সভায় আগামী ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন বা মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। লকডাউনের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ মে) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলবে। এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় যেতে পারবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই চলবে, কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ রেখে ঈদে মানুষের ঘরে ফেরার একটা সুযোগ রাখা হয়েছে। যাদের একান্ত প্রয়োজন তারা চাইলে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে পারবে।
‘তবে কেউ যাতে কর্মস্থল না ছাড়ে সেজন্য আমরা নিরুৎসাহিত করছি। ঢাকায় বিআরটিএ’র ১১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ড জোরদার করা হবে।’
গতবছর রোজার ঈদের আগে এক জেলা থেকে আরেক জেলা এবং এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে ঈদের কয়েক দিন আগে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
এবার ঈদের আগে ঢাকা ছাড়ায় বিধিনিষেধ না রাখায় ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে মনে করছেন ঈদে ঘরমুখী মানুষেরা।
ঈদ করতে রাজবাড়ী যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ফকিরেরপুলের একটি ছাপাখানার কর্মী সেলিম হোসেনের। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, বাড়ি যেতে বাধা না দিলে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাওয়া যাবে। তবে সময় অনেক বেশি লাগবে, কষ্ট হবে, টাকাও যাবে বেশি।
লঞ্চে নিয়মিত পটুয়াখালী যান ব্যাংক কর্মকর্তা মাসুদ রানা। ঈদের আগে লঞ্চ বন্ধ থাকার খবর শুনে তিনি বলেন, এবার বাড়ি যেতে অনেক কষ্ট হবে। কারণ লঞ্চে করে ঝামেলা ছাড়াই যাওয়া যায়।
জেলার ভেতর গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক।
আজকের পত্রিকাকে শামসুল হক বলেন, সার্বিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে জেলার ভেতর গণপরিবহন চালানোর সরকারের কৌশলগত ভালো সিদ্ধান্ত। তবে জেলার পয়েন্টগুলোতে প্রথম থেকেই আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।
তবে এক জেলার গাড়ি যাতে অন্য জেলায় না ঢুকতে পারে তা কতটুকু তদারকি করা যাবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিআরটিএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ঢোকার অনেকগুলো পথ থাকে। সীমিত জনবল নিয়ে সব পথে নজরদারি করা সম্ভব না। বিভিন্ন পয়েন্টে ঠিকমত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা গেলে নজরদারি করা যাবে।
ঈদে শিল্প কারখানার শ্রমিকরা যাতে বাড়ি ফিরতে ভীড় না করেন সেজন্য এসব প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি তিন দিনের বেশি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। জেলার ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানোর বিষয়ে পরিবহনগুলোর মালিকরা কথা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটরা দেশের সবগুলো শপিংমলে তদারকি করবে। কোনো শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ঢাকা: করোনার সংক্রমণ না কমায় আগামী ১৬ মে পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে সরকার। এই সময় দূরপল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ থাকবে। তবে জেলার ভেতর চলবে গণপরিবহন। ঢাকা ছাড়তে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ঈদে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাওয়া যাবে। তবে বাড়বে ভোগান্তি, গুণতে হবে বাড়তি টাকা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক সভায় আগামী ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন বা মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। লকডাউনের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ মে) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলবে। এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় যেতে পারবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই চলবে, কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ রেখে ঈদে মানুষের ঘরে ফেরার একটা সুযোগ রাখা হয়েছে। যাদের একান্ত প্রয়োজন তারা চাইলে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে পারবে।
‘তবে কেউ যাতে কর্মস্থল না ছাড়ে সেজন্য আমরা নিরুৎসাহিত করছি। ঢাকায় বিআরটিএ’র ১১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ড জোরদার করা হবে।’
গতবছর রোজার ঈদের আগে এক জেলা থেকে আরেক জেলা এবং এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে ঈদের কয়েক দিন আগে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
এবার ঈদের আগে ঢাকা ছাড়ায় বিধিনিষেধ না রাখায় ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে মনে করছেন ঈদে ঘরমুখী মানুষেরা।
ঈদ করতে রাজবাড়ী যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ফকিরেরপুলের একটি ছাপাখানার কর্মী সেলিম হোসেনের। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, বাড়ি যেতে বাধা না দিলে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাওয়া যাবে। তবে সময় অনেক বেশি লাগবে, কষ্ট হবে, টাকাও যাবে বেশি।
লঞ্চে নিয়মিত পটুয়াখালী যান ব্যাংক কর্মকর্তা মাসুদ রানা। ঈদের আগে লঞ্চ বন্ধ থাকার খবর শুনে তিনি বলেন, এবার বাড়ি যেতে অনেক কষ্ট হবে। কারণ লঞ্চে করে ঝামেলা ছাড়াই যাওয়া যায়।
জেলার ভেতর গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক।
আজকের পত্রিকাকে শামসুল হক বলেন, সার্বিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে জেলার ভেতর গণপরিবহন চালানোর সরকারের কৌশলগত ভালো সিদ্ধান্ত। তবে জেলার পয়েন্টগুলোতে প্রথম থেকেই আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।
তবে এক জেলার গাড়ি যাতে অন্য জেলায় না ঢুকতে পারে তা কতটুকু তদারকি করা যাবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিআরটিএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ঢোকার অনেকগুলো পথ থাকে। সীমিত জনবল নিয়ে সব পথে নজরদারি করা সম্ভব না। বিভিন্ন পয়েন্টে ঠিকমত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা গেলে নজরদারি করা যাবে।
ঈদে শিল্প কারখানার শ্রমিকরা যাতে বাড়ি ফিরতে ভীড় না করেন সেজন্য এসব প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি তিন দিনের বেশি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। জেলার ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানোর বিষয়ে পরিবহনগুলোর মালিকরা কথা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটরা দেশের সবগুলো শপিংমলে তদারকি করবে। কোনো শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
গাজীপুরের টঙ্গীতে সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় জমি বেচাকেনায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ ছাড়া সপ্তাহে মাত্র দুই দিন অফিস চলায় প্রয়োজনীয় তথ্যসেবাও মিলছে না।
২ ঘণ্টা আগে‘স্বপ্ন দেখি বই পড়ি’ স্লোগান সামনে রেখে রাজধানীর হাজারীবাগ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। এটি নারীদের জন্য বিশেষভাবে আয়োজিত একটি উদ্যোগ। এই আয়োজনে বক্তারা বই পড়ে কেবল জ্ঞান অর্জনের পরিবর্তে অনুধাবনচর্চার ওপর জোর দেন।
৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে সরকারি সফরে এসে ‘অসুস্থ হয়ে পড়ায়’ সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার পরপরই তাকে নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
৫ ঘণ্টা আগেরবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) আগামী একনেক সভায় অনুমোদনের দাবিতে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে