নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিজের বেতন-বোনাস বৃদ্ধির সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান হিসাব দেন, লাভের দিকে যাচ্ছে সংস্থাটি। গত বছরও তাঁরা ৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়ে ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন। কিন্তু পানির দাম বাড়ানোর সময় ভর্তুকির অজুহাতে বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে ভিক্ষা নিয়ে কোনো সংস্থা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না।’ অথচ সংস্থাটির অপ্রয়োজনীয় ব্যয় সংকোচন করেই ঘাটতির টাকা সমন্বয় করা সম্ভব। এর জন্য মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন হয় না।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক কি নোটে এই দাবি করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
ক্যাব সদস্য ও ভোক্তাকণ্ঠ সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নানের উপস্থাপন করা কি নোটে বলা হয়, করোনা মহামারির সময়েও ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের এপ্রিলে। এরপর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আরেক দফা বাড়ে দাম। এ ২ দফায় আবাসিকে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম বেড়েছিল ৩ টাকা ৬১ পয়সা (৩১ শতাংশ) এবং বাণিজ্যিকে বেড়েছিল ৪ টাকা ৯৬ পয়সা (১৩ শতাংশ)।
জনগণকে একটি অতিপ্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা আবারও ২০ শতাংশ পানির দাম বাড়াতে চায় ঘাটতির টাকা তুলতে ৷ অথচ সংস্থাটির অপ্রয়োজনীয় ব্যয় সংকোচন করেই ঘাটতির টাকা সমন্বয় করা সম্ভব। এর জন্য মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন হয় না।
কেন ঘাটতি
তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিকে কারণ দেখিয়ে ঢাকা ওয়াসা প্রতি হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ ২৫ টাকা দেখিয়ে বলেছে, তারা ১০ টাকা কমে ১৫ টাকায় বিক্রি করছে। সরকার এই টাকা ভর্তুকি দেয়, যা আর দিতে চায় না।
এ অবস্থায় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান সংস্থাটির অমিতব্যয়িতা, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি-অপচয়ের সব দায়ভার ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে ভর্তুকি কমানোর পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের কাছ থেকে ভিক্ষা নিয়ে কোনো সংস্থা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না।’
কিন্তু ঢাকা ওয়াসা হচ্ছে একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান, লাভ বা বাণিজ্য এর উদ্দেশ্য নয়। অথচ সেবার চেয়ে বাণিজ্যের দিকেই এর নজর এখন বেশি। দেশে বিভাগীয় শহরগুলোতে আরও ছয়টি ওয়াসা আছে। তাদের পানির দাম ঢাকা ওয়াসার চেয়ে প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। হাজার লিটারের ইউনিট-প্রতি খরচ এত বেশি না বলেই তারা পারছে।
অন্যদিকে সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোথাও পৌর কর্তৃপক্ষ, কোথাও পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং পানি সরবরাহ করে। সেগুলোর বেশির ভাগই প্রকল্প হিসেবে সরকারি টাকায় পরিচালিত হয়। সেগুলোতে যে বিপুল ভর্তুকি দেওয়া হয়, তাও কি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? যদি তা না হয়, তবে ঢাকায় ভর্তুকি বন্ধ করে সরকার কি এক দেশে পানি সরবরাহ বাবদ বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে?
বিষয়টি কি সত্যি এমন?
বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। ওয়াসার বোর্ড মিটিংয়ে প্রস্তাব ছিল আবাসিকে এই দর ২১ টাকা ২৫ পয়সা করা। আর বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম বর্তমানের ৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৮ দশমিক ৮ টাকা করা। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন দর কার্যকর করতে অনুমোদন চায় ওয়াসা। কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধির কথা প্রকাশিত হলে চারদিকের সমালোচনার মুখে এমডি ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠাবেন বলে জানান।
সামগ্রিক বিষয়টি খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, পানির দাম ২০ শতাংশ বাড়লে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যত বৃদ্ধি পাবে ৪৬ শতাংশ। প্রতিটি পানির বিলে সমপরিমাণ সুয়ারেজ বিল দিতে হয়। আর মোট বিলের ওপর ১৫ শতাংশ দিতে হয় ভ্যাট। ফলে ১০০ টাকার পানির বিলে বর্ধিত ২০ টাকা, সুয়ারেজ বিল বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ২৪০ টাকা। বর্ধিত ৪০ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাটে আরও ৬ টাকা মিলিয়ে মোট বিলে ২০ শতাংশের ভর দাঁড়াবে ৪৬ টাকা, যার অর্থ হচ্ছে পানির ১০০ টাকা বিলে ভোক্তাকে গুনতে হবে ২৪৬ টাকা।
এই বাড়তি খরচ কার বাবদে করতে হবে?
যে ওয়াসা নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে, যার পানি কিনে ফুটিয়ে পান করতে হয়। অন্যথায় যার পানি খেতে হলে কয়েক হাজার টাকা দিয়ে ফিল্টার কিনে রাখতে হয়। যে পানি পাশে রেখে ১৫ টাকা দিয়ে এক গ্লাস পানির সমান বোতলজাত পানি কিনে খেতে হয়, সেই ওয়াসায় এমডি হিসেবে ২০০৯ সালের অক্টোবরে তাকসিম এ খান নিয়োগ পেয়ে এ পর্যন্ত পানির দাম বাড়িয়েছেন ১৪ বার। আর নিজের বেতন-ভাতা বাড়িয়ে নিয়েছেন ৪২১ শতাংশ।
ভিক্ষা করে চলা এই সংস্থার প্রধান নির্বাহী এখন মাসিক বেতন নেন সোয়া ৬ লাখ টাকা। এমডি হিসেবে তিন বছরের জন্য চুক্তিতে তিনি যখন নিয়োগ পান, তখন তার সর্বমোট মাসিক বেতন ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
প্রতিবার পানির দাম বাড়ানোর সময় প্রচার করা হয় ভর্তুকির কথা। ভর্তুকির কারণ দেখানো হয় তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিকে। সঙ্গে থাকে পানির স্তর নেমে যাওয়া। তথা খরচ বৃদ্ধিটা মূলত গভীর নলকূপের খরচ। ঢাকা ওয়াসা ভূগর্ভস্থ পানি সরবরাহ করে ৬৫ শতাংশ, যার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিকে অজুহাত হিসেবে সামনে আনা হয়। বাকি ৩৫ শতাংশ নদীর পানি পরিশোধন ও সরবরাহ ব্যয় প্রসঙ্গ ঊহ্য রাখা হয়। ননরেভিনিউ ওয়াটার বা সিস্টেম লস হিসেবে দেখানো চুরি বন্ধের কোনো উদ্যোগ সম্পর্কে থাকে না কোনো তথ্য।
অন্যদিকে বেতন-বোনাস বাড়ানোর সময় এমডি হিসাব দেন, ঢাকা ওয়াসা লাভের দিকে যাচ্ছে। মাত্র এক বছর আগে তিনি বলেছিলেন, একসময় যেখানে ৭০০ কোটি টাকা রেভিনিউ পাওয়া যেত, এখন সেখানে ৭ হাজার কোটি টাকা আসছে। গত বছরও তাঁরা ৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়ে ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে সংস্থা ভিক্ষা করে চলে, সেই সংস্থার প্রধান নির্বাহীর বেতন কি সোয়া ছয় লাখ হওয়া উচিত? কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই ঈদে দুই বোনাস ছাড়াও চারটি ইনসেনটিভ বোনাস দেওয়া কি যুক্তিযুক্ত?
রয়েছে অদৃশ্য আয়ের হরেক খাত
দেখা গেছে, পানির দাম বাড়ানোর মাধ্যমে অনেক বড় অদৃশ্য আয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রাপ্ত এলাকার ৭০ শতাংশ এলাকাই সুয়ারেজ সেবাবহির্ভূত। অথচ তাদের কাছ থেকেও অন্যায়ভাবে পানির বিলের সঙ্গে জুলুম করে সুয়ারেজ বিল আদায় করা হয়।
প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি এবং তার মূল্য শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদেরই বহন করতে হয়। ঢাকা ওয়াসার ১১টি দুদক চিহ্নিত দুর্নীতি এবং সরকারি অর্থের অপচয় নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো মাথাব্যথা দেখায়নি ওয়াসা।
নতুন আরেক খাত বের করা হচ্ছে, বিত্তবান আর সাধারণ মানুষের বসতি এলাকার শ্রেণিভেদ করে পানির দাম নির্ধারণের মাধ্যমে। যেন উচ্চবিত্তের পশ এলাকায় সাধারণের এবং সাধারণের আবাসিক এলাকায় বিত্তশালীদের থাকতে নেই। নাকি নতুন লেনদেনে ভোক্তার শ্ৰেণিভেদ পরিবর্তনের করে বিলে হেরফের করার ক্ষমতা অর্জন করাই এর লক্ষ্য—এখনো বোঝার সময় হয়নি।
এক কথায় ওয়াসার অমিতব্যয়িতা, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি-অপচয়ের দায়ভার ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা থেকেই ওয়াসায় চলে এই মূল্যবৃদ্ধির খেলা। অথচ ভোক্তাদের তা বাধ্য হয়েই সহ্য করতে হয়। একটা পক্ষ হওয়া সত্ত্বেও একতরফা চাপিয়ে দেওয়ার সময় ভোক্তাদের এ নিয়ে কথা বলার কোনো জায়গা নেই ৷
এখন কেন?
গত ১০ বছরে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েছে তিন গুণ। এর মধ্যেই বিদ্যুতের দাম ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর গ্যাসের অভাবে জ্বালানি তেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। জ্বালানির সংকটে এলএনজি এনে তার দাম সমন্বয় করায় বিদ্যুতে খরচ আরও বাড়বে, যা বিবেচনায় রেখে ৬৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আবার দেশীয় কোম্পানির গ্যাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড ও সিলেট গ্যাস ফিল্ড এ সময় ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এদের প্রত্যেকেই লাভজনক প্রতিষ্ঠান, তার পরও তারা দাম বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। সামগ্রিকভাবে গ্যাস খাতে ভর্তুকি অনেক কমে যাওয়ায় পেট্রোবাংলা এখন অনেক লাভজনক অবস্থায় আছে। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করে সিএনজির সঙ্গে সমন্বয় করে তারা লাভবান হয়েও ১১৭ শতাংশ মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এদিকে সঞ্চালন-বিতরণ কোম্পানিগুলোর সবাই লাভে থাকার পরও মূল্য বাড়াচ্ছে।
একদিকে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের সব ক্ষেত্রেই দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে। তার ওপরে আবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের সব দ্রব্যমূল্যে আরও এক দফা উল্লম্ফন ঘটতে শুরু করেছে। অনিয়ন্ত্রিত মূল্য বৃদ্ধিতে নির্দিষ্ট আয় দিয়ে সংসার চালানো যখন অসম্ভব, তখন পরিবারপ্রধানেরা পরিবার পরিচালনার জন্য, অধিক আয়ের জন্য দিশেহারা হয়ে উঠেছেন। করোনার প্রত্যক্ষ প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বেসরকারি খাতের বিরাট এক অংশ।
সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ের চাকরিজীবীরা পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। মহাবিপদে আজ দেশের সাধারণ জনগণ! ঢাকা ওয়াসা বোধ করি ভেবেছে, এই তো সময়।

নিজের বেতন-বোনাস বৃদ্ধির সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান হিসাব দেন, লাভের দিকে যাচ্ছে সংস্থাটি। গত বছরও তাঁরা ৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়ে ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন। কিন্তু পানির দাম বাড়ানোর সময় ভর্তুকির অজুহাতে বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে ভিক্ষা নিয়ে কোনো সংস্থা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না।’ অথচ সংস্থাটির অপ্রয়োজনীয় ব্যয় সংকোচন করেই ঘাটতির টাকা সমন্বয় করা সম্ভব। এর জন্য মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন হয় না।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক কি নোটে এই দাবি করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
ক্যাব সদস্য ও ভোক্তাকণ্ঠ সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নানের উপস্থাপন করা কি নোটে বলা হয়, করোনা মহামারির সময়েও ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের এপ্রিলে। এরপর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আরেক দফা বাড়ে দাম। এ ২ দফায় আবাসিকে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম বেড়েছিল ৩ টাকা ৬১ পয়সা (৩১ শতাংশ) এবং বাণিজ্যিকে বেড়েছিল ৪ টাকা ৯৬ পয়সা (১৩ শতাংশ)।
জনগণকে একটি অতিপ্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা আবারও ২০ শতাংশ পানির দাম বাড়াতে চায় ঘাটতির টাকা তুলতে ৷ অথচ সংস্থাটির অপ্রয়োজনীয় ব্যয় সংকোচন করেই ঘাটতির টাকা সমন্বয় করা সম্ভব। এর জন্য মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন হয় না।
কেন ঘাটতি
তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিকে কারণ দেখিয়ে ঢাকা ওয়াসা প্রতি হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ ২৫ টাকা দেখিয়ে বলেছে, তারা ১০ টাকা কমে ১৫ টাকায় বিক্রি করছে। সরকার এই টাকা ভর্তুকি দেয়, যা আর দিতে চায় না।
এ অবস্থায় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান সংস্থাটির অমিতব্যয়িতা, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি-অপচয়ের সব দায়ভার ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে ভর্তুকি কমানোর পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের কাছ থেকে ভিক্ষা নিয়ে কোনো সংস্থা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না।’
কিন্তু ঢাকা ওয়াসা হচ্ছে একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান, লাভ বা বাণিজ্য এর উদ্দেশ্য নয়। অথচ সেবার চেয়ে বাণিজ্যের দিকেই এর নজর এখন বেশি। দেশে বিভাগীয় শহরগুলোতে আরও ছয়টি ওয়াসা আছে। তাদের পানির দাম ঢাকা ওয়াসার চেয়ে প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। হাজার লিটারের ইউনিট-প্রতি খরচ এত বেশি না বলেই তারা পারছে।
অন্যদিকে সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোথাও পৌর কর্তৃপক্ষ, কোথাও পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং পানি সরবরাহ করে। সেগুলোর বেশির ভাগই প্রকল্প হিসেবে সরকারি টাকায় পরিচালিত হয়। সেগুলোতে যে বিপুল ভর্তুকি দেওয়া হয়, তাও কি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? যদি তা না হয়, তবে ঢাকায় ভর্তুকি বন্ধ করে সরকার কি এক দেশে পানি সরবরাহ বাবদ বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে?
বিষয়টি কি সত্যি এমন?
বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। ওয়াসার বোর্ড মিটিংয়ে প্রস্তাব ছিল আবাসিকে এই দর ২১ টাকা ২৫ পয়সা করা। আর বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম বর্তমানের ৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৮ দশমিক ৮ টাকা করা। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন দর কার্যকর করতে অনুমোদন চায় ওয়াসা। কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধির কথা প্রকাশিত হলে চারদিকের সমালোচনার মুখে এমডি ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠাবেন বলে জানান।
সামগ্রিক বিষয়টি খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, পানির দাম ২০ শতাংশ বাড়লে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যত বৃদ্ধি পাবে ৪৬ শতাংশ। প্রতিটি পানির বিলে সমপরিমাণ সুয়ারেজ বিল দিতে হয়। আর মোট বিলের ওপর ১৫ শতাংশ দিতে হয় ভ্যাট। ফলে ১০০ টাকার পানির বিলে বর্ধিত ২০ টাকা, সুয়ারেজ বিল বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ২৪০ টাকা। বর্ধিত ৪০ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাটে আরও ৬ টাকা মিলিয়ে মোট বিলে ২০ শতাংশের ভর দাঁড়াবে ৪৬ টাকা, যার অর্থ হচ্ছে পানির ১০০ টাকা বিলে ভোক্তাকে গুনতে হবে ২৪৬ টাকা।
এই বাড়তি খরচ কার বাবদে করতে হবে?
যে ওয়াসা নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে, যার পানি কিনে ফুটিয়ে পান করতে হয়। অন্যথায় যার পানি খেতে হলে কয়েক হাজার টাকা দিয়ে ফিল্টার কিনে রাখতে হয়। যে পানি পাশে রেখে ১৫ টাকা দিয়ে এক গ্লাস পানির সমান বোতলজাত পানি কিনে খেতে হয়, সেই ওয়াসায় এমডি হিসেবে ২০০৯ সালের অক্টোবরে তাকসিম এ খান নিয়োগ পেয়ে এ পর্যন্ত পানির দাম বাড়িয়েছেন ১৪ বার। আর নিজের বেতন-ভাতা বাড়িয়ে নিয়েছেন ৪২১ শতাংশ।
ভিক্ষা করে চলা এই সংস্থার প্রধান নির্বাহী এখন মাসিক বেতন নেন সোয়া ৬ লাখ টাকা। এমডি হিসেবে তিন বছরের জন্য চুক্তিতে তিনি যখন নিয়োগ পান, তখন তার সর্বমোট মাসিক বেতন ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
প্রতিবার পানির দাম বাড়ানোর সময় প্রচার করা হয় ভর্তুকির কথা। ভর্তুকির কারণ দেখানো হয় তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিকে। সঙ্গে থাকে পানির স্তর নেমে যাওয়া। তথা খরচ বৃদ্ধিটা মূলত গভীর নলকূপের খরচ। ঢাকা ওয়াসা ভূগর্ভস্থ পানি সরবরাহ করে ৬৫ শতাংশ, যার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিকে অজুহাত হিসেবে সামনে আনা হয়। বাকি ৩৫ শতাংশ নদীর পানি পরিশোধন ও সরবরাহ ব্যয় প্রসঙ্গ ঊহ্য রাখা হয়। ননরেভিনিউ ওয়াটার বা সিস্টেম লস হিসেবে দেখানো চুরি বন্ধের কোনো উদ্যোগ সম্পর্কে থাকে না কোনো তথ্য।
অন্যদিকে বেতন-বোনাস বাড়ানোর সময় এমডি হিসাব দেন, ঢাকা ওয়াসা লাভের দিকে যাচ্ছে। মাত্র এক বছর আগে তিনি বলেছিলেন, একসময় যেখানে ৭০০ কোটি টাকা রেভিনিউ পাওয়া যেত, এখন সেখানে ৭ হাজার কোটি টাকা আসছে। গত বছরও তাঁরা ৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়ে ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে সংস্থা ভিক্ষা করে চলে, সেই সংস্থার প্রধান নির্বাহীর বেতন কি সোয়া ছয় লাখ হওয়া উচিত? কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই ঈদে দুই বোনাস ছাড়াও চারটি ইনসেনটিভ বোনাস দেওয়া কি যুক্তিযুক্ত?
রয়েছে অদৃশ্য আয়ের হরেক খাত
দেখা গেছে, পানির দাম বাড়ানোর মাধ্যমে অনেক বড় অদৃশ্য আয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রাপ্ত এলাকার ৭০ শতাংশ এলাকাই সুয়ারেজ সেবাবহির্ভূত। অথচ তাদের কাছ থেকেও অন্যায়ভাবে পানির বিলের সঙ্গে জুলুম করে সুয়ারেজ বিল আদায় করা হয়।
প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি এবং তার মূল্য শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদেরই বহন করতে হয়। ঢাকা ওয়াসার ১১টি দুদক চিহ্নিত দুর্নীতি এবং সরকারি অর্থের অপচয় নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো মাথাব্যথা দেখায়নি ওয়াসা।
নতুন আরেক খাত বের করা হচ্ছে, বিত্তবান আর সাধারণ মানুষের বসতি এলাকার শ্রেণিভেদ করে পানির দাম নির্ধারণের মাধ্যমে। যেন উচ্চবিত্তের পশ এলাকায় সাধারণের এবং সাধারণের আবাসিক এলাকায় বিত্তশালীদের থাকতে নেই। নাকি নতুন লেনদেনে ভোক্তার শ্ৰেণিভেদ পরিবর্তনের করে বিলে হেরফের করার ক্ষমতা অর্জন করাই এর লক্ষ্য—এখনো বোঝার সময় হয়নি।
এক কথায় ওয়াসার অমিতব্যয়িতা, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি-অপচয়ের দায়ভার ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা থেকেই ওয়াসায় চলে এই মূল্যবৃদ্ধির খেলা। অথচ ভোক্তাদের তা বাধ্য হয়েই সহ্য করতে হয়। একটা পক্ষ হওয়া সত্ত্বেও একতরফা চাপিয়ে দেওয়ার সময় ভোক্তাদের এ নিয়ে কথা বলার কোনো জায়গা নেই ৷
এখন কেন?
গত ১০ বছরে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েছে তিন গুণ। এর মধ্যেই বিদ্যুতের দাম ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর গ্যাসের অভাবে জ্বালানি তেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। জ্বালানির সংকটে এলএনজি এনে তার দাম সমন্বয় করায় বিদ্যুতে খরচ আরও বাড়বে, যা বিবেচনায় রেখে ৬৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আবার দেশীয় কোম্পানির গ্যাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড ও সিলেট গ্যাস ফিল্ড এ সময় ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এদের প্রত্যেকেই লাভজনক প্রতিষ্ঠান, তার পরও তারা দাম বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। সামগ্রিকভাবে গ্যাস খাতে ভর্তুকি অনেক কমে যাওয়ায় পেট্রোবাংলা এখন অনেক লাভজনক অবস্থায় আছে। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করে সিএনজির সঙ্গে সমন্বয় করে তারা লাভবান হয়েও ১১৭ শতাংশ মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এদিকে সঞ্চালন-বিতরণ কোম্পানিগুলোর সবাই লাভে থাকার পরও মূল্য বাড়াচ্ছে।
একদিকে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের সব ক্ষেত্রেই দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে। তার ওপরে আবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের সব দ্রব্যমূল্যে আরও এক দফা উল্লম্ফন ঘটতে শুরু করেছে। অনিয়ন্ত্রিত মূল্য বৃদ্ধিতে নির্দিষ্ট আয় দিয়ে সংসার চালানো যখন অসম্ভব, তখন পরিবারপ্রধানেরা পরিবার পরিচালনার জন্য, অধিক আয়ের জন্য দিশেহারা হয়ে উঠেছেন। করোনার প্রত্যক্ষ প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বেসরকারি খাতের বিরাট এক অংশ।
সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ের চাকরিজীবীরা পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। মহাবিপদে আজ দেশের সাধারণ জনগণ! ঢাকা ওয়াসা বোধ করি ভেবেছে, এই তো সময়।

জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত চারজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দিপপাইত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাশেদ (৩০), চান মিয়া (৬২) ও আরিফা খাতুন (২৮)।
৩ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটি ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫৯ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন।
১৭ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথ দেড় ঘণ্টার জন্য অবরোধ করা হয়। অবরোধ চলাকালীন নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে আন্দোলনকারীদের একাংশ পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এতে ট্রেনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
২২ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মিরাজ মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত চারজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দিপপাইত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাশেদ (৩০), চান মিয়া (৬২) ও আরিফা খাতুন (২৮)। তাঁদের মধ্যে রাশেদ ঘটনাস্থলে এবং অপর দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি কাভার্ড ভ্যান বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদ নামের একজন নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ছয়জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁদের মধ্য থেকে আরও দুজন মারা যান। অপর চারজনের চিকিৎসাসেবা চলছে।
নাজমুস সাকিব আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানটি নিয়ে চালক পালিয়েছেন। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে নারায়ণপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত চারজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দিপপাইত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাশেদ (৩০), চান মিয়া (৬২) ও আরিফা খাতুন (২৮)। তাঁদের মধ্যে রাশেদ ঘটনাস্থলে এবং অপর দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি কাভার্ড ভ্যান বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদ নামের একজন নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ছয়জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁদের মধ্য থেকে আরও দুজন মারা যান। অপর চারজনের চিকিৎসাসেবা চলছে।
নাজমুস সাকিব আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানটি নিয়ে চালক পালিয়েছেন। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে নারায়ণপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজের বেতন বোনাস বৃদ্ধির সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান হিসাব দেন, লাভের দিকে যাচ্ছে সংস্থাটি। গত বছরও তারা ৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়ে ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন। কিন্তু পানির দাম বাড়ানোর সময় ভর্তুকির অজুহাতে বলেন...
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটি ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫৯ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন।
১৭ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথ দেড় ঘণ্টার জন্য অবরোধ করা হয়। অবরোধ চলাকালীন নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে আন্দোলনকারীদের একাংশ পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এতে ট্রেনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
২২ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মিরাজ মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটি ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫৯ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির পদত্যাগী সভাপতি মো. আল আমিন সরদার।
গত শুক্রবার ৭৯ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) গোপালগঞ্জ জেলার নবঘোষিত কমিটি গঠনের পর থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি আল আমিন সরদার ও সাংগঠনিক কে এম নাজমুল ইসলামসহ ৫৯ জন সদস্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
পদত্যাগকারী নেতাদের অভিযোগ, নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় দলের মূলনীতি, যোগ্যতা ও মাঠপর্যায়ের ত্যাগ-তিতিক্ষা কোনোভাবে বিবেচনা করা হয়নি। অনেক পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীকে বঞ্চিত করে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও পক্ষপাতের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা গণঅধিকার পরিষদের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী।
এ বিষয়ে সদ্য পদত্যাগকারী সভাপতি মো. আল আমিন সরদার বলেন, ‘নতুন কমিটিতে সাবেক যুবলীগ ও এনসিপি নেতাদের পদ দেওয়া হয়েছে। অথচ নিবেদিত নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এতে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে আমিসহ ৫৯ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি।’

গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটি ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫৯ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির পদত্যাগী সভাপতি মো. আল আমিন সরদার।
গত শুক্রবার ৭৯ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) গোপালগঞ্জ জেলার নবঘোষিত কমিটি গঠনের পর থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি আল আমিন সরদার ও সাংগঠনিক কে এম নাজমুল ইসলামসহ ৫৯ জন সদস্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
পদত্যাগকারী নেতাদের অভিযোগ, নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় দলের মূলনীতি, যোগ্যতা ও মাঠপর্যায়ের ত্যাগ-তিতিক্ষা কোনোভাবে বিবেচনা করা হয়নি। অনেক পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীকে বঞ্চিত করে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও পক্ষপাতের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা গণঅধিকার পরিষদের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী।
এ বিষয়ে সদ্য পদত্যাগকারী সভাপতি মো. আল আমিন সরদার বলেন, ‘নতুন কমিটিতে সাবেক যুবলীগ ও এনসিপি নেতাদের পদ দেওয়া হয়েছে। অথচ নিবেদিত নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এতে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে আমিসহ ৫৯ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি।’

নিজের বেতন বোনাস বৃদ্ধির সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান হিসাব দেন, লাভের দিকে যাচ্ছে সংস্থাটি। গত বছরও তারা ৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়ে ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন। কিন্তু পানির দাম বাড়ানোর সময় ভর্তুকির অজুহাতে বলেন...
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত চারজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দিপপাইত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাশেদ (৩০), চান মিয়া (৬২) ও আরিফা খাতুন (২৮)।
৩ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথ দেড় ঘণ্টার জন্য অবরোধ করা হয়। অবরোধ চলাকালীন নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে আন্দোলনকারীদের একাংশ পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এতে ট্রেনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
২২ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মিরাজ মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথ দেড় ঘণ্টার জন্য অবরোধ করা হয়। অবরোধ চলাকালীন নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে আন্দোলনকারীদের একাংশ পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এতে ট্রেনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় রেলস্টেশনে জড়ো হয়ে ছাত্র-জনতা রেলপথ অবরোধ শুরু করে। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে এসে আটকা পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে সূত্র জানায়, আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললেও বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আন্দোলনকারীদের একাংশ হঠাৎ উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে বৃষ্টির মতো পাথর ছুড়তে শুরু করে। এ সময় ট্রেনের হেডলাইট ও কিছু গ্লাস ভাঙচুর করা হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
১১টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে স্টেশন ত্যাগ করে। এই অবরোধের ফলে বিদেশগামী যাত্রীসহ শত শত সাধারণ ট্রেনযাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অবরোধের আতঙ্কে কালনি এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেসসহ বেশ কিছু ট্রেন সময়মতো স্টেশনে পৌঁছাতে না পেরে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে অপেক্ষায় ছিল।
ভৈরব ছাত্র ও যুবসমাজের আহ্বায়ক সাইফুর রহমান শাহরিয়ার, ছাত্রদল নেতা জাহিদুল হক হৃদয়, ছাত্রনেতা শেখ মহিউদ্দিন চিশতি পরাগ ও হান্নান হিমুর নেতৃত্বে রেলপথ অবরোধ করা হয়। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি মো. শাহিন, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, জামায়াতে ইসলামী ভৈরব উপজেলা শাখার নায়েবে আমির অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ মোছা এবং পৌর শাখার সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান মিঠু প্রমুখ।
অবরোধ চলাকালে ভৈরব সার্কেলের এএসপি নয়ন আহমেদ ও ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুহাদ রুহানী, স্টেশনমাস্টার মো. ইউসুফ, রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘রেলপথ অবরোধের কারণে ১০টা ২৫ মিনিটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে আটকা পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টার মতো ট্রেনটি আটকা ছিল। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
ভৈরব রেলস্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে ট্রেনটি স্টেশনে আটকা পড়ে। আমরা এবং পুলিশ ট্রেনের ওপর ও লাইন থেকে আন্দোলনকারীদের সরাতে চাইলে আন্দোলনকারীদের একটা অংশ ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে। ১১টা ৪২ মিনিটে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়। অবরোধের কারণে কয়েকটি ট্রেন পার্শ্ববর্তী স্টেশনে অবস্থান নেয়। এতে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হয়।’
এদিকে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনার পর ভৈরব ছাত্র ও যুবসমাজের আহ্বায়ক সাইফুর রহমান শাহরিয়ার তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে রেলস্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ ও রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, রেলস্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে কর্মকর্তারাই পাথর নিক্ষেপের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলন বানচাল করতে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। এ ঘটনার দায় আমাদের না।’

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথ দেড় ঘণ্টার জন্য অবরোধ করা হয়। অবরোধ চলাকালীন নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে আন্দোলনকারীদের একাংশ পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এতে ট্রেনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় রেলস্টেশনে জড়ো হয়ে ছাত্র-জনতা রেলপথ অবরোধ শুরু করে। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে এসে আটকা পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে সূত্র জানায়, আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললেও বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আন্দোলনকারীদের একাংশ হঠাৎ উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে বৃষ্টির মতো পাথর ছুড়তে শুরু করে। এ সময় ট্রেনের হেডলাইট ও কিছু গ্লাস ভাঙচুর করা হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
১১টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে স্টেশন ত্যাগ করে। এই অবরোধের ফলে বিদেশগামী যাত্রীসহ শত শত সাধারণ ট্রেনযাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অবরোধের আতঙ্কে কালনি এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেসসহ বেশ কিছু ট্রেন সময়মতো স্টেশনে পৌঁছাতে না পেরে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে অপেক্ষায় ছিল।
ভৈরব ছাত্র ও যুবসমাজের আহ্বায়ক সাইফুর রহমান শাহরিয়ার, ছাত্রদল নেতা জাহিদুল হক হৃদয়, ছাত্রনেতা শেখ মহিউদ্দিন চিশতি পরাগ ও হান্নান হিমুর নেতৃত্বে রেলপথ অবরোধ করা হয়। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি মো. শাহিন, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, জামায়াতে ইসলামী ভৈরব উপজেলা শাখার নায়েবে আমির অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ মোছা এবং পৌর শাখার সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান মিঠু প্রমুখ।
অবরোধ চলাকালে ভৈরব সার্কেলের এএসপি নয়ন আহমেদ ও ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুহাদ রুহানী, স্টেশনমাস্টার মো. ইউসুফ, রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘রেলপথ অবরোধের কারণে ১০টা ২৫ মিনিটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে আটকা পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টার মতো ট্রেনটি আটকা ছিল। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
ভৈরব রেলস্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে ট্রেনটি স্টেশনে আটকা পড়ে। আমরা এবং পুলিশ ট্রেনের ওপর ও লাইন থেকে আন্দোলনকারীদের সরাতে চাইলে আন্দোলনকারীদের একটা অংশ ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে। ১১টা ৪২ মিনিটে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়। অবরোধের কারণে কয়েকটি ট্রেন পার্শ্ববর্তী স্টেশনে অবস্থান নেয়। এতে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হয়।’
এদিকে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনার পর ভৈরব ছাত্র ও যুবসমাজের আহ্বায়ক সাইফুর রহমান শাহরিয়ার তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে রেলস্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ ও রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, রেলস্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে কর্মকর্তারাই পাথর নিক্ষেপের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলন বানচাল করতে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। এ ঘটনার দায় আমাদের না।’

নিজের বেতন বোনাস বৃদ্ধির সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান হিসাব দেন, লাভের দিকে যাচ্ছে সংস্থাটি। গত বছরও তারা ৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়ে ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন। কিন্তু পানির দাম বাড়ানোর সময় ভর্তুকির অজুহাতে বলেন...
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত চারজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দিপপাইত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাশেদ (৩০), চান মিয়া (৬২) ও আরিফা খাতুন (২৮)।
৩ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটি ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫৯ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন।
১৭ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মিরাজ মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মিরাজ মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরাজ মিয়া বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে। তিনি বেসিক ব্যাংক নরসিংদী শাখায় চাকরি করতেন।
গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই রোমান মোল্লা বলেন, আজ ভোরে গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা দেন মিরাজ। গোপালগঞ্জের ডুমদিয়া নামক স্থানে তিনি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলটি সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মিরাজ মিয়া নিহত হন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পরিবারের পক্ষে পুলিশের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়।

গোপালগঞ্জে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মিরাজ মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরাজ মিয়া বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে। তিনি বেসিক ব্যাংক নরসিংদী শাখায় চাকরি করতেন।
গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই রোমান মোল্লা বলেন, আজ ভোরে গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা দেন মিরাজ। গোপালগঞ্জের ডুমদিয়া নামক স্থানে তিনি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলটি সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মিরাজ মিয়া নিহত হন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পরিবারের পক্ষে পুলিশের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়।

নিজের বেতন বোনাস বৃদ্ধির সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান হিসাব দেন, লাভের দিকে যাচ্ছে সংস্থাটি। গত বছরও তারা ৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়ে ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন। কিন্তু পানির দাম বাড়ানোর সময় ভর্তুকির অজুহাতে বলেন...
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত চারজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দিপপাইত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাশেদ (৩০), চান মিয়া (৬২) ও আরিফা খাতুন (২৮)।
৩ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটি ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫৯ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন।
১৭ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথ দেড় ঘণ্টার জন্য অবরোধ করা হয়। অবরোধ চলাকালীন নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে আন্দোলনকারীদের একাংশ পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এতে ট্রেনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
২২ মিনিট আগে