Ajker Patrika

কাঠগড়ায় গলায় ব্লেড চালিয়ে আসামির আত্মহত্যার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গলায় ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বাদল হোসেন মুন্না নামের এক আসামি। কাঠগড়া থেকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আজ বুধবারের এই ঘটনা সম্পর্কে ট্রাইব্যুনালে আসামিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ কনস্টেবল সাইফুর রহমান বলেন, ‘মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর আসামিকে কাঠগড়া থেকে নামিয়ে হাজতখানায় নিতে যাই। আসামির নাম জিজ্ঞাসা করি। কিছু না বলে আসামি কাঠগড়ার এক পাশে সরে যান। কিছুক্ষণ পর তাঁকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখি। ধরতে গিয়ে দেখি, তাঁর গলা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। কাঠগড়ার মধ্যে একটি ব্লেড পড়ে থাকতে দেখি।’

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. সালাউদ্দিন বলেন, মুন্নার (২১) শ্বাসনালি কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, রাজধানীর কদমতলী থানায় করা একটি ধর্ষণ মামলার আসামি মুন্না। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন। বারবার জামিন আবেদন করার পরও তিনি জামিন পাননি। আজ ওই মামলার ভুক্তভোগী আদালতে সাক্ষ্য দেন। তিনি আদালতকে জানান, মুন্নার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক ছিল না। সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ার এক পাশে দাঁড়িয়ে ব্লেড দিয়ে গলায় পোচ দেন মুন্না।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ জানান, ২০২২ সালের জুনে কদমতলীতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে মুন্নার বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে মেয়েটির বাবা মামলা করেছিলেন।

এই মামলায় সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে জানিয়ে সাজ্জাদ হোসেন জানান, এর মধ্যে আসামিপক্ষ ভুক্তভোগীকে পুনরায় জেরার আবেদন করেন। আজ তাঁকে জেরা করা হয়। ভুক্তভোগী জেরায় বলেছেন, তাঁর সঙ্গে মুন্নার কোনো সম্পর্ক ছিল না।

আসামির বাবা আব্দুল আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমার ছেলে জেলে। আজ জামিন শুনানি ছিল। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় সে গলায় ব্লেডের পোচ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত