Ajker Patrika

ঢামেক হাসপাতাল: পুরোনো বার্ন ইউনিটে হবে প্রিজন অ্যানেক্স

  • কারাবন্দী রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার ব্যবস্থা
  • কম জনবলে নিরাপত্তা বজায় রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে
আয়নাল হোসেন, ঢাকা 
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭: ৩৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরোনো বার্ন ইউনিট ভবনে আলাদাভাবে কারাবন্দী রোগীদের জন্য চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করছে সরকার। কারাগারে আটক হাজতি ও কয়েদিদের চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে ভবনটির ছাদে ‘প্রিজন অ্যানেক্স’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অসুস্থ বন্দীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় বার্ন ইউনিটের পঞ্চম তলার ছাদে প্রিজন অ্যানেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও কারা-অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শককে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নকশা চূড়ান্ত করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর ও স্থাপত্য অধিদপ্তরকে বলা হয়।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় তলা পর্যন্ত ছয়টি কক্ষে প্রিজন অ্যানেক্স রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বন্দীদের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করতে পারলে তা সহায়ক হবে। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ভবনে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। সেখানে অনেক বন্দীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। এতে বন্দী রোগীদের শয্যার সংকটও কেটে যাবে। এক স্থানে রেখে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।

আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারাগারে আটকদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ সব হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মতামত তুলে ধরে বলেন, ভবনটির যথেষ্ট ধারণক্ষমতা রয়েছে। বর্ধিত অংশ তৈরি করলে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি প্রিজন অ্যানেক্স তৈরিতে বিশেষ নকশার জন্য স্থাপত্য অধিদপ্তরকে যুক্ত করার পরামর্শ দেন।

বৈঠকের সভাপতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সভায় বলেন, একজন বন্দী অসুস্থ হলে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় কারা হাসপাতালে। তবে জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যাধি যেমন ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিডনি রোগ বা হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রয়োজন। তিনি বলেন, কারা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকেরা প্রয়োজনে প্রিজন অ্যানেক্সে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের এআইজি (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, একজন বন্দী রোগীকে ভর্তির পর দুজন কারারক্ষী দায়িত্ব পালন করেন। একজন ইনচার্জ থাকেন। এ ছাড়া পুলিশও মোতায়েন দরকার হয়। সব বন্দীকে একটি স্থানে চিকিৎসা দেওয়া গেলে কম লোকবলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে বন্দীর পলায়ন এবং অনৈতিক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যাবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, প্রিজন অ্যানেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপ্রাপ্ত বন্দীদের যথাযথ চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা নির্ধারিত রয়েছে। সেটি বাস্তবায়নের জন্য এটি করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা, চূড়ান্ত দলিলে যা যা আছে

খালেদা জিয়ার হাতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তুলে দিল ঐকমত্য কমিশন

তিন হলে ভোট গণনা শেষ, কেন্দ্রের ফল ১৪ ঘণ্টা পর

বিয়েবাড়িতে ডাকাতি: দায়িত্বে অবহেলায় ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত