Ajker Patrika

লায়লাকে ধর্ষণের মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২: ২০
Thumbnail image
লায়লা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন। ছবি: সংগৃহীত

লায়লার করা ধর্ষণের মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি প্রিন্স মামুন একজন টিকটকার। বিভিন্ন ফেসবুক আইডিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি টিকটকার হিসেবে পরিচিতি পান। অপর দিকে বাদিনীও ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। তাঁর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না থাকায় ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। পরে তাঁদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের ভিত্তিতেই পরিচয় হয়। একপর্যায়ে বাদীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন। তার পর থেকে ২০২২ সালের প্রথম দিকে একত্রে চলাফেরা, পরবর্তী সময় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক গাঢ় করতে উভয়ে একত্রে বাদীর বাসায় থাকা শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হয় এবং বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন।

তাঁরা নেপালে একত্রে ভ্রমণ করেন। সেখানেও তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। তাঁদের সম্পর্ক ঘনীভূত হওয়ায় মামুন তাঁর আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে বাদীর ঠিকানা ব্যবহার করেন। তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই ফ্ল্যাটে একত্রে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন এবং একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। তদন্তে আসামি মামুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

এর আগে, গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন বাদী। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ১১ জুন তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে শুনানি শেষে আদালতের জামিন ও রিমান্ড উভয় নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গত ১ জুলাই তিনি জামিনে কারামুক্ত হন। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে বাদীর তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাঁকে বিয়ে করবেন —এমন প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে মামুন তাঁকে জানান, তাঁর ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাঁকে বিয়ে করবে বলে জানান, তাই বাদী তাঁকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন।

২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে বাদীর বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওই দিন থেকে মামুন তাঁর সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। মামুন তাঁর বাসায় থাকাকালে তাঁর মা-বাবা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে তাঁকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত