নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সারা দেশে ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এবং রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজি বাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ।
বুধবার (২৩ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাঁরা এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। গত ২০ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভায় সারা দেশে ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদে তাঁদের এই বিক্ষোভ সমাবেশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক, গণবিরোধী উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে উপস্থিত বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের লাখো গরিব মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন এই ব্যাটারি রিকশা। লাখ লাখ চালক চড়া সুদে ঋণ বা সম্পত্তি বিক্রি-বন্ধক রেখে ব্যাটারি রিকশা কিনেছে। এই রিকশা দিয়ে লাখো পরিবারের পেট চলছে। এই অবস্থায় ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত চরম অমানবিক।
করোনা মহামারিতে দেশের পঞ্চাশ ভাগের ওপরের মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, ৫০ লাখ চালক রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন চালিয়ে পরিবারের পেট চালাচ্ছে। এগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত মনে তাঁদের পরিবারের পেটে লাথি মারা। সরকার যদি তাঁদের নতুন কর্মসংস্থান করে দিতে না পারে তবে এগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।
গরিবের রুটি রুজির ওপর হাত আসলে আমরা কাউকে ছাড় দিবো না বলে মন্তব্য করে কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই দেশ স্বাধীন করেছে শ্রমিক ও কৃষক। কিন্তু তারাই আজ কথিত বড়লোকদের পায়ের নিচে পিষ্ট হচ্ছে। এই সরকার বড়লোকদের সরকার। চালের দাম বাড়ে, খাবারের দাম বাড়ে তার বিরুদ্ধে কোন আইন করতে পারেন না। কিন্তু গরিবের অন্ন কেড়ে নিচ্ছেন। অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে বড়লোকদের রাস্তায় চলা অচল করে দেওয়া হবে।
পঞ্চাশ লাখ চালকের জীবন জীবিকা রক্ষায় সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো-
১. সারা দেশে ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান চলাচল বন্ধের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অযৌক্তিক, গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা। ৫০ লাখ মানুষের আত্মকর্মসংস্থান ও আড়াই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা করা।
২. নকশা আধুনিকায়ন ও নীতিমালা প্রণয়ন করে কাঠামোগত পরিবর্তন করে ব্যাটারিচালিত/বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান করা। প্রকৌশলী, পরিবহন বিশেষজ্ঞ, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় অভিজ্ঞ মেকানিকদের নিয়োগ করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের যথোপযুক্ত নকশা এবং নিরাপদ ব্রেক পদ্ধতি নিশ্চিত করা।
৩. বিকল্প ব্যবস্থা বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ছাড়া রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা বা যানবাহন ও ইজিবাইক উচ্ছেদ ও হয়রানি বন্ধ করা।
৪. প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রিকশা, ইজিবাইকসহ স্বল্প গতির এবং লোকাল যানবাহনের জন্য পৃথক লেন, সার্ভিস রোড নির্মাণ করা। পুলিশি হয়রানি, নির্যাতন ও সর্বত্র চাঁদাবাজি বন্ধ করা।
ঢাকা: সারা দেশে ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এবং রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজি বাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ।
বুধবার (২৩ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাঁরা এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। গত ২০ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভায় সারা দেশে ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদে তাঁদের এই বিক্ষোভ সমাবেশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক, গণবিরোধী উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে উপস্থিত বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের লাখো গরিব মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন এই ব্যাটারি রিকশা। লাখ লাখ চালক চড়া সুদে ঋণ বা সম্পত্তি বিক্রি-বন্ধক রেখে ব্যাটারি রিকশা কিনেছে। এই রিকশা দিয়ে লাখো পরিবারের পেট চলছে। এই অবস্থায় ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত চরম অমানবিক।
করোনা মহামারিতে দেশের পঞ্চাশ ভাগের ওপরের মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, ৫০ লাখ চালক রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন চালিয়ে পরিবারের পেট চালাচ্ছে। এগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত মনে তাঁদের পরিবারের পেটে লাথি মারা। সরকার যদি তাঁদের নতুন কর্মসংস্থান করে দিতে না পারে তবে এগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।
গরিবের রুটি রুজির ওপর হাত আসলে আমরা কাউকে ছাড় দিবো না বলে মন্তব্য করে কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই দেশ স্বাধীন করেছে শ্রমিক ও কৃষক। কিন্তু তারাই আজ কথিত বড়লোকদের পায়ের নিচে পিষ্ট হচ্ছে। এই সরকার বড়লোকদের সরকার। চালের দাম বাড়ে, খাবারের দাম বাড়ে তার বিরুদ্ধে কোন আইন করতে পারেন না। কিন্তু গরিবের অন্ন কেড়ে নিচ্ছেন। অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে বড়লোকদের রাস্তায় চলা অচল করে দেওয়া হবে।
পঞ্চাশ লাখ চালকের জীবন জীবিকা রক্ষায় সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো-
১. সারা দেশে ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান চলাচল বন্ধের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অযৌক্তিক, গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা। ৫০ লাখ মানুষের আত্মকর্মসংস্থান ও আড়াই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা করা।
২. নকশা আধুনিকায়ন ও নীতিমালা প্রণয়ন করে কাঠামোগত পরিবর্তন করে ব্যাটারিচালিত/বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান করা। প্রকৌশলী, পরিবহন বিশেষজ্ঞ, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় অভিজ্ঞ মেকানিকদের নিয়োগ করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের যথোপযুক্ত নকশা এবং নিরাপদ ব্রেক পদ্ধতি নিশ্চিত করা।
৩. বিকল্প ব্যবস্থা বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ছাড়া রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা বা যানবাহন ও ইজিবাইক উচ্ছেদ ও হয়রানি বন্ধ করা।
৪. প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রিকশা, ইজিবাইকসহ স্বল্প গতির এবং লোকাল যানবাহনের জন্য পৃথক লেন, সার্ভিস রোড নির্মাণ করা। পুলিশি হয়রানি, নির্যাতন ও সর্বত্র চাঁদাবাজি বন্ধ করা।
যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘সোজা কথা, যারে ভালো লাগবে, তারে কোপামু। যারে যেখানে ভালো লাগবে, তারে সেখানে কোপামু।’ ওই যুবকের পরিচয় জানা গেছে। তাঁর নাম মিরাজ। তিনি ধামুরা ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
১৮ মিনিট আগেইসলামী ব্যাংকের খুলনার ফুলতলা শাখার স্টোর রুমে গ্রাহকের চোখ ও মুখ বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো ও প্লায়ার্স দিয়ে নখ তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জেল্লাল হোসেন।
৩৭ মিনিট আগেসার বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহীর কাঁকনহাটের কৃষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার বিসিআইসির ডিলার সরকার নির্ধারিত দামে তাঁদের কাছে সার বিক্রি করেন না। বেশি টাকা দিলে সার দেন, তা না হলে ফিরিয়ে দেন। তিনি অন্য উপজেলায় বেশি দামে সার বেচে দেন।
৪১ মিনিট আগেশারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের প্রতিকার ও নিজের সুরক্ষা চেয়ে মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা করা সেই তরুণীর সঙ্গে তাঁর অভিভাবকদের আপস হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে এ কথা জানান তরুণী মেহরীন আহমেদ। এ সময় তাঁর মা-বাবাও উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে