Ajker Patrika

কিশোর মোতালেব হত্যা: ৭ দিনের রিমান্ডে শাজাহান খান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ৩০
Thumbnail image

রাজধানীর জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোরকে হত্যা মামলায় সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। 

আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা কিশোর মোতালেব হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই মোহাম্মদ খোকন মিয়া। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহফুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

এর আগে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং শাহজাহান খানসহ ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। 

শাজাহান খান মাদারীপুর-২ আসন থেকে টানা অষ্টমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি তিনি। ১৯৮৬ সালে প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন শাজাহান খান। একই আসন থেকে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আদালতে শাজাহান খান অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিলেন। তাঁকে মাথায় হেলমেট, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটসহ আদালতে হাজির করা হয়। শাজাহান খানের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি তাঁর সমর্থকদের হাত নেড়ে আশ্বস্ত করেন। 

আদালতে শুনানির সময় শাজাহান খানের পক্ষে আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথসহ আরও অনেকেই জামিন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। 

শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, মানবিক দৃষ্টিতে শাজাহান খানের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন চাচ্ছি। তিনি ৮ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা চিৎকার করে বলেন, অনির্বাচিত সরকার। কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা চলে। 

এরপর শাজাহান খানের আইনজীবী বলেন, তাঁর হার্টের ৫টা ব্লক ধরা পড়েছে। ৯০ শতাংশ ব্লক রয়েছে। হার্টে রিং পড়ানো হয়েছে। এরপর আবারও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা চিৎকার শুরু করলে আদালত শাজাহান খানকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত