টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় ভেঙেছে সংসার। হয়েছেন বাড়িছাড়া। তারপর টানা ১৫ বছর। সেই যক্ষের ধন আগলে রেখে জীবনযুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন দেখা সেই নারী এবার হয়েছেন জয়িতা। রোকেয়া দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে দেওয়া হয়েছে ক্রেস্ট ও সনদপত্র। সংগ্রামী ওই নারীর নাম মোছা. শরীফা বেগম।
শরীফা বেগমের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের জটাবাড়ী গ্রামে। ২০০৪ সালে পারিবারিকভাবেই ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী এলাকার শামছুল হকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। শ্রমজীবী শামছুল হক আর শরীফা মিলে সাজিয়ে তোলেন সংসার। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর তাঁদের মা–বাবা হওয়ার অপার্থিব আনন্দ স্পর্শ করে। হঠাৎই এই আনন্দ বিষাদে পরিণত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। সন্তান প্রসবের পর সেই শঙ্কাই বাস্তবেও রূপ নেয়। শরীফা বেগম কন্যাসন্তান প্রসব করার পর আর কোনো দিন মেয়ে বা মেয়ের মাকে দেখতে আসেননি শামছুল হক।
জয়িতা শরীফা বলেন, ‘আমার স্বামী শামছুল হক ছেলের বাবা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই স্বপ্নপূরণের ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তার হাতে; এটাও তিনি মানতে নারাজ। তিনি আমাকেই এর জন্য দায়ী করতে থাকেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি এমনকি শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। দিন দিন তাঁর অত্যাচার বাড়তে থাকলে আমি বাবার বাড়ি চলে আসি। বাবার বাড়ি রওনা হওয়ার সময় সাফ জানিয়ে দেন, মেয়ে হলে তাঁর বাড়িতে আর ভাত জুটবে না।’
শরীফা বেগম আরও বলেন, ‘অল্প কদিন যেতেই আমার কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান। মেয়ে হওয়ার খবর পাওয়ার পর আর কোনো দিন আমাকে বা আমার মেয়েকে দেখতে আসেননি তিনি। শুধু তা–ই নয়, বাড়ি–জমি সব বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন শামছুল হক ও শামছুল হকের মা লাল বানু। সেই থেকেই চলছে জীবনযুদ্ধ।’
এই নারী বলেন, ‘বাবার অভাবের সংসারে বোঝা কমানোর জন্য দুধের সন্তানকে মায়ের কাছে রেখে মাছ বিক্রির ব্যবসা শুরু করি। মধুপুর থেকে লবণাক্ত কাটা ইলিশ কিনে এনে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করি। আবার পরের জমিতে কাজ করি। ধান কাটি, রোপা লাগাই, আনারসবাগানে কাজ করি। এভাবেই চলছে সংসার।’
শরীফা বেগম বলেন, ‘টানা ১৫ বছর ধরে হাড়ভাঙা খাটুনির ফলে এখন শরীর অচল হয়ে আসছে। কিন্তু জীবন সংসারের সুখের বদলে অন্ধকার ঘিরে ধরছে। মেয়ে এখন দশম শ্রেণিতে পড়ে। তার লেখাপড়ার খরচ, বিয়ে দেওয়ার ভাবনা রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। এমন সময় সরকারিভাবে আমাকে জয়িতা পুরস্কার দিল। ক্রেস্ট দিল, সার্টিফিকেট দিল। এতে আমি খুশি হয়েছি। আরও খুশি হতাম আমার জীবনের নিশ্চয়তা পেলে। আমার অর্থসংকট দূর করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে।’
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা সুমি বলেন, ‘আমরা গ্রামপর্যায়ে ঘুরে শরীফার জীবনের দুর্বিষহ কাহিনি শুনে তাঁকে প্রেরণা দেওয়ার জন্য জয়িতা নির্বাচন করে সম্মানিত করেছি। শরীফার জীবনের ভয়াবহ সংকটের মাঝেও মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টাকে উৎসাহিত করার জন্যই এই উদ্যোগ।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁকে সম্মানিত করা হয়েছে, তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকলে জয়িতার স্বপ্নপূরণ আরও সহজতর হতো।
কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় ভেঙেছে সংসার। হয়েছেন বাড়িছাড়া। তারপর টানা ১৫ বছর। সেই যক্ষের ধন আগলে রেখে জীবনযুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন দেখা সেই নারী এবার হয়েছেন জয়িতা। রোকেয়া দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে দেওয়া হয়েছে ক্রেস্ট ও সনদপত্র। সংগ্রামী ওই নারীর নাম মোছা. শরীফা বেগম।
শরীফা বেগমের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের জটাবাড়ী গ্রামে। ২০০৪ সালে পারিবারিকভাবেই ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী এলাকার শামছুল হকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। শ্রমজীবী শামছুল হক আর শরীফা মিলে সাজিয়ে তোলেন সংসার। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর তাঁদের মা–বাবা হওয়ার অপার্থিব আনন্দ স্পর্শ করে। হঠাৎই এই আনন্দ বিষাদে পরিণত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। সন্তান প্রসবের পর সেই শঙ্কাই বাস্তবেও রূপ নেয়। শরীফা বেগম কন্যাসন্তান প্রসব করার পর আর কোনো দিন মেয়ে বা মেয়ের মাকে দেখতে আসেননি শামছুল হক।
জয়িতা শরীফা বলেন, ‘আমার স্বামী শামছুল হক ছেলের বাবা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই স্বপ্নপূরণের ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তার হাতে; এটাও তিনি মানতে নারাজ। তিনি আমাকেই এর জন্য দায়ী করতে থাকেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি এমনকি শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। দিন দিন তাঁর অত্যাচার বাড়তে থাকলে আমি বাবার বাড়ি চলে আসি। বাবার বাড়ি রওনা হওয়ার সময় সাফ জানিয়ে দেন, মেয়ে হলে তাঁর বাড়িতে আর ভাত জুটবে না।’
শরীফা বেগম আরও বলেন, ‘অল্প কদিন যেতেই আমার কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান। মেয়ে হওয়ার খবর পাওয়ার পর আর কোনো দিন আমাকে বা আমার মেয়েকে দেখতে আসেননি তিনি। শুধু তা–ই নয়, বাড়ি–জমি সব বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন শামছুল হক ও শামছুল হকের মা লাল বানু। সেই থেকেই চলছে জীবনযুদ্ধ।’
এই নারী বলেন, ‘বাবার অভাবের সংসারে বোঝা কমানোর জন্য দুধের সন্তানকে মায়ের কাছে রেখে মাছ বিক্রির ব্যবসা শুরু করি। মধুপুর থেকে লবণাক্ত কাটা ইলিশ কিনে এনে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করি। আবার পরের জমিতে কাজ করি। ধান কাটি, রোপা লাগাই, আনারসবাগানে কাজ করি। এভাবেই চলছে সংসার।’
শরীফা বেগম বলেন, ‘টানা ১৫ বছর ধরে হাড়ভাঙা খাটুনির ফলে এখন শরীর অচল হয়ে আসছে। কিন্তু জীবন সংসারের সুখের বদলে অন্ধকার ঘিরে ধরছে। মেয়ে এখন দশম শ্রেণিতে পড়ে। তার লেখাপড়ার খরচ, বিয়ে দেওয়ার ভাবনা রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। এমন সময় সরকারিভাবে আমাকে জয়িতা পুরস্কার দিল। ক্রেস্ট দিল, সার্টিফিকেট দিল। এতে আমি খুশি হয়েছি। আরও খুশি হতাম আমার জীবনের নিশ্চয়তা পেলে। আমার অর্থসংকট দূর করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে।’
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা সুমি বলেন, ‘আমরা গ্রামপর্যায়ে ঘুরে শরীফার জীবনের দুর্বিষহ কাহিনি শুনে তাঁকে প্রেরণা দেওয়ার জন্য জয়িতা নির্বাচন করে সম্মানিত করেছি। শরীফার জীবনের ভয়াবহ সংকটের মাঝেও মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টাকে উৎসাহিত করার জন্যই এই উদ্যোগ।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁকে সম্মানিত করা হয়েছে, তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকলে জয়িতার স্বপ্নপূরণ আরও সহজতর হতো।
রাজশাহীতে ধানের জমিতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন মো. মেহেদী (২৪) এবং তাঁর মা পারভিন বেগম (৪০)। রাজশাহীর পবা উপজেলার আলিমগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। আজ শনিবার ভোরে পবার কয়রা গ্রামের এক বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫-এর
৬ মিনিট আগেপঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং আওতাধীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের সাধারণ প্রশাসনের ১১টি ক্যাটাগরিতে মোট ৪৬টি শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে আয়োজিত এ পরীক্ষায় প্রায় পাঁচ হাজার চাকরিপ্রত্যাশী
৯ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ছেলের লাঠির আঘাতে মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ছেলে ইউনুস মণ্ডলকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের মশাজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম ফুলমালা (৬০)। তিনি মশাজান গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী। পুলিশ ও পারিবারিক
২১ মিনিট আগেশাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলেও সব আয়োজন বর্জন করে মানববন্ধনে দাঁড়ান তারা।
২৬ মিনিট আগে