নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৭২ শতাংশ শিল্পকারখানার অবস্থান আবাসিক এলাকায়। এ ছাড়া দেশের শিল্পকারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে শ্রেণিভেদে সার্বিকভাবে সর্বনিম্ন ৩৬ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার টিআইবি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। গবেষণায় ৩৩৫টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করে সংস্থাটি। এ সময় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি জানায়, শতকরা ৫১ ভাগ শিল্পকারখানায় পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জরিপের আওতাভুক্ত শতকরা ৫৭ ভাগ শিল্পকারখানা বা প্রকল্প কোনো প্রকার পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ছাড়াই পরিবেশগত ছাড়পত্র পেয়েছে। শিল্পকারখানার শতকরা ৬৬ ভাগ পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগসাজশের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেন করে থাকে। আবার শতকরা ১৭ ভাগ শিল্পকারখানা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র না পাওয়া সত্ত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা স্থাপন না করার আইনি বিধান থাকলেও জরিপের আওতাভুক্ত ৭২ শতাংশ শিল্পকারখানা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ক্ষেত্রবিশেষে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে এটি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে পরিবেশ দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে প্রভাবশালী আমলা এবং ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের একাংশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক থাকায় প্রভাব এবং যোগসাজশের মাধ্যমে ত্রুটিপূর্ণ ইআইএ সম্পাদন করেও ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে অধিদপ্তরের নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে অযৌক্তিকভাবে একই কর্মকর্তার ১০ বারসহ ১০ বছরে মোট ২৯৩ জন কর্মকর্তার বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে ভ্রমণ বাবদ অর্থ অপচয় করা হয়েছে।
গবেষণার সার্বিক পর্যবেক্ষণে টিআইবি বলছে, বিদ্যমান পরিবেশ আইন, বিধিমালাসহ সম্পূরক আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কর্মীদের একাংশের অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বড় অঙ্কের নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেন ও তা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ঘাটতির ফলে পরিবেশ অধিদপ্তরে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অধিদপ্তরের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা, জনসম্পৃক্ত এবং কার্যকর সমন্বয়ে ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিবেদনে বিদ্যমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আইনের যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে ভয়, চাপ ও আর্থিক প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী বড় উন্নয়ন প্রকল্প এবং শিল্পকারখানাগুলোকে জবাবদিহির মধ্যে আনা এবং প্রেষণে পদায়ন না করে অধিদপ্তরের নেতৃত্বে বিশেষায়িত জ্ঞানসম্পন্ন ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়াসহ ১০টি সুপারিশ করে টিআইবি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৭২ শতাংশ শিল্পকারখানার অবস্থান আবাসিক এলাকায়। এ ছাড়া দেশের শিল্পকারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে শ্রেণিভেদে সার্বিকভাবে সর্বনিম্ন ৩৬ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার টিআইবি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। গবেষণায় ৩৩৫টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করে সংস্থাটি। এ সময় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি জানায়, শতকরা ৫১ ভাগ শিল্পকারখানায় পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জরিপের আওতাভুক্ত শতকরা ৫৭ ভাগ শিল্পকারখানা বা প্রকল্প কোনো প্রকার পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ছাড়াই পরিবেশগত ছাড়পত্র পেয়েছে। শিল্পকারখানার শতকরা ৬৬ ভাগ পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগসাজশের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেন করে থাকে। আবার শতকরা ১৭ ভাগ শিল্পকারখানা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র না পাওয়া সত্ত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা স্থাপন না করার আইনি বিধান থাকলেও জরিপের আওতাভুক্ত ৭২ শতাংশ শিল্পকারখানা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ক্ষেত্রবিশেষে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে এটি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে পরিবেশ দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে প্রভাবশালী আমলা এবং ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের একাংশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক থাকায় প্রভাব এবং যোগসাজশের মাধ্যমে ত্রুটিপূর্ণ ইআইএ সম্পাদন করেও ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে অধিদপ্তরের নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে অযৌক্তিকভাবে একই কর্মকর্তার ১০ বারসহ ১০ বছরে মোট ২৯৩ জন কর্মকর্তার বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে ভ্রমণ বাবদ অর্থ অপচয় করা হয়েছে।
গবেষণার সার্বিক পর্যবেক্ষণে টিআইবি বলছে, বিদ্যমান পরিবেশ আইন, বিধিমালাসহ সম্পূরক আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কর্মীদের একাংশের অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বড় অঙ্কের নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেন ও তা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ঘাটতির ফলে পরিবেশ অধিদপ্তরে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অধিদপ্তরের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা, জনসম্পৃক্ত এবং কার্যকর সমন্বয়ে ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিবেদনে বিদ্যমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আইনের যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে ভয়, চাপ ও আর্থিক প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী বড় উন্নয়ন প্রকল্প এবং শিল্পকারখানাগুলোকে জবাবদিহির মধ্যে আনা এবং প্রেষণে পদায়ন না করে অধিদপ্তরের নেতৃত্বে বিশেষায়িত জ্ঞানসম্পন্ন ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়াসহ ১০টি সুপারিশ করে টিআইবি।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কামারখোলা ফ্লাইওভারসংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে এক মধ্যবয়সী অজ্ঞাত পুরুষের খুলিবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস মরদেহটি উদ্ধার করে।
৬ মিনিট আগেআজ সোমবার পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠেছে খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটনকেন্দ্র আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র ও তেরাংতৈকালাই (রিসাং) ঝরনা এলাকা। খাগড়াছড়ি, পর্যটক, তেরাংতৈকালাই, ঝরনা
২৩ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ সাতজন আহত হয়েছেন। রোববার (৮ জুন) বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শিদলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি (৪৫) নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের হলহলিয়া রেল ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনে কাটা পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তবে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে