Ajker Patrika

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন: আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা            
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে সনদ দেওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামানের পানি ছোড়ে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে সনদ দেওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামানের পানি ছোড়ে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে সনদ প্রদানের দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামানের পানি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পুলিশ বারবার সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও আন্দোলনকারীরা তা না মেনে স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে, বেলা ১১টা ২৩ মিনিটের দিকে পুলিশ জলকামানের পানি ছোড়ে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও রেকর্ড ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থীর কোনো ভাইভা না নিয়েই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থাৎ মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জ থেকে আন্দোলনে অংশ নিতে আসা রাজিবুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ভাইভা নেওয়া হয়নি। তাহলে কীভাবে ফলাফল দিল? এত সংখ্যক প্রার্থী কীভাবে ফেল করল? এর পেছনে এনটিআরসির কারসাজি আছে, আমরা এটা মানি না।’

আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানের পানি ছোড়ে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এর আগে গত ১৫ জুন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছিলেন এসব ভুক্তভোগী প্রার্থী। তাঁদের প্রধান দাবি—ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ প্রদান করতে হবে।

এদিকে, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তিনজন প্রতিনিধির সঙ্গে পুলিশ আলোচনায় বসেছে বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আন্দোলনকারীরা হামিদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা সড়কের সামনে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছিলেন, ফলে আশপাশে তীব্র যানজট তৈরি হয়। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি যেন তারা সরে যায়। কিন্তু তারা কথা না শুনে অবস্থান চালিয়ে যেতে থাকে। বাধ্য হয়েই জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয় ’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত