Ajker Patrika

লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে মারা যান দুরন্ত বিপ্লব, কাটেনি পরিবারের সন্দেহ

আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, ১০: ০৬
লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে মারা যান দুরন্ত বিপ্লব, কাটেনি পরিবারের সন্দেহ

মর্নিং সান-৫ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লব (৫১) নিহত হয়েছেন। লঞ্চটির তিনজন কর্মচারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে। তবে পরিবারের সন্দেহ, খুন হয়েছেন দুরন্ত।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, নৌপুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাফিন মাহমুদও জানিয়েছেন, দুরন্ত বিপ্লব নৌকাডুবিতে নিহত হয়েছেন।

যদিও দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়েছে বলে এর আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ। গত রোববার তিনি দুরন্ত বিপ্লবের ময়নাতদন্ত শেষে বলেন, ‘বিপ্লবকে মাথায় ও বুকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর মাথার পেছনে প্লেইন কোন সারফেস দিয়ে আঘাত করার আলামত পেয়েছি আমরা।’

গোয়েন্দা সূত্রটি জানায়, দুরন্ত বিপ্লব গত ৭ নভেম্বর বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে কেরানীগঞ্জের বড় বাকতার নিজের খামার থেকে বের হয়ে কদমতলীর সড়কে ওঠেন। নূর ফিলিং স্টেশনের সামনে দিয়ে তিনি সাদা পাঞ্জাবি পরা অবস্থায় পায়ে হেঁটে কোনাখোলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডে যান। নূর ফিলিং স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এ দৃশ্য ধরা পড়েছে। এরপর তিনি ৪টা ৫৫ মিনিটে কোনাখোলা থেকে বিলাল নামে এক চালকের অটোরিকশায় উঠে বসেন। বিলাল তাঁর পূর্বপরিচিত। অটোরিকশাটি নিয়ে তিনি ৫টা ১৭ মিনিটে জিঞ্জিরা ফেরিঘাটে যান। ফেরিঘাটে নেমে তিনি হেঁটে বটতলা ঘাটের দিকে আসেন। বটতলা ঘাট থেকে তিনি শামসু মাঝি (৬৫) নামে একজনের নৌকায় ওঠেন।

নৌকাটিতে আরও চারজন যাত্রী ছিলেন। নৌকাটি বটতলা ঘাট থেকে সোয়ারীঘাট সোজা বুড়িগঙ্গা নদীর দুই-তৃতীয়াংশ আসার পর ঠিক মাগরিবের আজানের আগে ৫টা ২৯ মিনিটে মর্নিং সান-৫ নামের লঞ্চটি নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। নৌকাটি তখন উল্টে যায়। পরে নজরুল, বিলাল ও আলেক নামে কয়েকজন মাঝি মিলে উদ্ধারকাজ চালান। তাঁরা চারজন যাত্রী ও শামসু মাঝিকে নদী থেকে তুলতে সক্ষম হন। তবে আরেকজন যাত্রীকে তাঁরা খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

এ ঘটনার পর শামসু মাঝি ভয়ে নৌকা রেখে তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরে পালিয়ে যান। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে ফরিদপুর থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তিনি নৌকাডুবির কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।

গোয়েন্দা সূত্রটি জানায়, দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহ উদ্ধারের সময় খালি পা ছিল। শামসু মাঝিকে ঢাকায় নিয়ে আসার পর তাঁর নৌকা থেকে দুরন্তর জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। জুতাটি দুরন্ত বিপ্লবের ছোট বোন শনাক্তও করেছেন।

নৌকাডুবির পর উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া নজরুল মাঝি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭ নভেম্বর ঠিক মাগরিবের আগে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। মর্নিং সান-৫ লঞ্চ শামসুর নৌকাকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়। পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। চারজনকে ওঠানো হয়েছিল। বাকি একজন উঠতে পারেনি শুনছি। তবে তিনি কে, তা আমরা চিনি না। পরে পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। আমি যা দেখেছি তা-ই বলছি।’

গোয়েন্দারা একটি লঞ্চের পেছনে থাকা সিসি ক্যামেরা এবং এক যাত্রীর মোবাইল ফোনে ধারণ করা ফুটেজ উদ্ধার করেছে। মর্নিং সান-৫ লঞ্চটি ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচল করে।

এদিকে নৌকাডুবির ঘটনায় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে তা বিশ্বাস করতে চান না দুরন্তের ছোট বোন শাশ্বতী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌকাডুবির স্পট যেখানে বলা হচ্ছে, সেখানে আমার ভাইয়ের যাওয়ার কথা না।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, এ বিষেয় ডিবি কাজ করছে। শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।

দুরন্ত বিপ্লব ১৯৯৪ সালে জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি কেরানীগঞ্জে বন্ধুর জমিতে শেয়ারে কৃষি খামার গড়ে তুলেছিলেন। তিনি পুকুরে মাছ চাষ করতেন, পাশাপাশি বিদেশি ঘাসের চাষ করতেন। দুই বছর ধরে তিনি এই খামারের সঙ্গে যুক্ত।

দুরন্ত বিপ্লবের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। সেই সংসারে তার এক মেয়ে রয়েছে। দুরন্তের দ্বিতীয় স্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা, তিনি থাকেন রাজধানীর ইস্কাটনে। তাঁর সঙ্গে দুরন্তের সম্পর্কের দূরত্ব রয়েছে। তাঁরা আলাদা থাকেন। দুরুন্ত কেরানীগঞ্জের খোলামোড়ায় একটি ছয়তলা ভবনের পঞ্চম তলায় ভাড়া থাকতেন। তাঁর মা ও ছোট ভাই মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটিতে থাকেন।

দুরন্তের মা রোকেয়া আক্তারও সরকারি চাকরি করতেন। বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন। তাঁর বাবা মারা গেছেন অনেক বছর আগে। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। মা রোকেয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৮ নভেম্বর আমার কাছে আসার কথা ছিল দুরন্তের। কিন্তু সে এল লাশ হয়ে। এভাবে আমি আমার ছেলেকে চাইনি। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

 ৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে বের হন বিপ্লব। এরপর থেকেই তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল। ৯ নভেম্বর এ ঘটনায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বোন শাশ্বতী বিপ্লব। ১২ নভেম্বর বুড়িগঙ্গার পানগাঁও এলাকায় এক অজ্ঞাত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পরিবার গিয়ে তাঁর মরদেহ শনাক্ত করে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উখিয়ায় নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
মোহাম্মদ শাহীন সারোয়ার ফরহাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহাম্মদ শাহীন সারোয়ার ফরহাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়ায় রেজুখাল নদী থেকে মোহাম্মদ শাহীন সারোয়ার ফরহাদ (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া রেজুব্রিজসংলগ্ন এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফরহাদ সোনারপাড়া বাজার এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে। সে স্থানীয় সোনারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার বেলা ৩টার দিকে বাবা আব্দুল করিমের সঙ্গে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যায় ফরহাদ। হঠাৎ নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে নদীর স্রোতে ভেসে যায় সে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার চেষ্টা চালায়। পরে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালায়। আজ সকাল ১০টার দিকে রেজুব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ওসি জিয়াউল হক জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে ছিনতাইচেষ্টাকালে ৫ নারীকে পুলিশে দিল জনতা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে পাঁচজন নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। তাঁদের একজনের সঙ্গে একটি শিশুও রয়েছে। আজ রোববার ফরিদপুর-চরভদ্রাসন আঞ্চলিক সড়কের গাজীরটেক ইউনিয়নের শীলডাঙ্গি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, আটক নারীরা এলোমেলো তথ্য দিচ্ছেন। স্বামীর নামও বলছেন না, ঠিকানা বলছেন হবিগঞ্জে, কিন্তু ভাষাগত মিল নেই।

জানা যায়, একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চরভদ্রাসন থেকে রিশাত বেগ (৫৩) নামের এক নারী ফরিদপুর শহরে আসছিলেন। পথিমধ্যে মৌলভীরচর এলাকা থেকে ওই অটোরিকশায় আরও পাঁচজন নারী যাত্রী বেশে ওঠেন। কিছু দূর এগোতেই রিশাত বেগের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। এ সময় তাঁর শোরচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে পাঁচ নারীকে আটক করেন। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নারী রিশাদ বেগ বলেন, ‘আমি অটোরিকশার পেছনে বসা ছিলাম। তারা দুজন আমার দুপাশে বসে। প্রথমে আমার কানে টান দেয়, মনে করেছিলাম, এমনেই টান লেগেছে। আবার গলায় চেইনে টান লাগে। তখন আমি চিৎকার দিলে গাড়ি থেমে যায়, তখন মানুষ এসে ধরে ফেলে।’

এ বিষয়ে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় জনতা আটক করে আমাদের খবর দিলে পাঁচ নারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

‘তবে তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে এলোমেলো তথ্য দিচ্ছেন, স্বামীর নামও বলছেন না, ঠিকানা বলছেন হবিগঞ্জে, কিন্তু ভাষাগত মিল নেই। আমরা পরিচয় জানার চেষ্টা করছি এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে হ্যান্ডকাফসহ পালানো আসামিকে গ্রেপ্তার করল র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
গ্রেপ্তার আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম নগরে এক মাস আগে পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে যাওয়া আসামি মো. মাহবুব আলমকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোরে নগরের চান্দগাঁও থানার ফয়জুল্লা বলির বাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭-এর একটি টিম। র‍্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার মাহবুব নগরের ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলি এলাকার জাফর সওদাগর বাড়ির মো. ফজল করিমের ছেলে।

র‍্যাব কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে আসামি মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন থানায় নাশকতা এবং মাদকের ছয়টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। গ্রেপ্তারের পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁকে ডবলমুরিং থানা-পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে নগরের পাঠানটুলি গায়েবি মসজিদের সামনে থেকে মাহাবুবকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠানো হয়। একপর্যায়ে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি শুরু হয়। এ সুযোগে মাহবুব ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোবাইলে কথা বলার সময় ট্রেনের ধাক্কা, যুবকের মৃত্যু

নরসিংদী প্রতিনিধি
পলাশে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু। ছবি: আজকের পত্রিকা
পলাশে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর পলাশে ট্রেনের ধাক্কায় সৈকত চন্দ্র দে (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘোড়াশাল ফ্লাগ স্টেশনের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সৈকত চন্দ্র দে ঘোড়াশাল পাইকসা গ্রামের উত্তম কুমার দের ছেলে। তিনি প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে চাকরি করতেন।

ঘোড়াশাল ফ্লাগ স্টেশনের বুকিং কর্মকর্তা ও পুলিশ জানায়, ওই যুবক রেললাইনের ওপর দিয়ে ফোনে কথা বলে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রেললাইন থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. ইউসূফ মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের পর লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত