Ajker Patrika

সালথায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ০০
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়টি বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাটসহ দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।

দুই পক্ষের সংঘর্ষের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকেরা রয়েছেন। খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ওই এলাকার পরিবেশ বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ ছাড়া দুপরের কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদের সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের বিরোধ চলছে। দুজনেই বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন। এর মধ্যে সাহিদুজ্জামান আগে অবিভক্ত নগরকান্দা (সালথা ও নগরকান্দা) উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

বিভিন্ন সময়ে হামিদ ও সাহিদের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। বয়সের ভারে সংঘর্ষ ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে একপর্যায়ে পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন বলে দাবি হামিদের লোকজনের।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল বিকেলে পেঁয়াজের খেত দেখতে বাড়িতে আসেন হামিদ। খবর পেয়ে সাহিদের সমর্থকেরা হামিদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ওপর হামলা করেন। হামলার বিষয়টি জানাজানি হলে এর প্রতিবাদ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বরের সমর্থকেরা। পরে গ্রামের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে পাঁচ-ছয়টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে হামিদ চেয়ারম্যানসহ উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সাহিদুজ্জামান সাহিদ নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচয় না দিয়ে বিএনপিপন্থী হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন আর দলপাল্লা করি না। প্রথমে হামিদের লোকজন মাঠের ভেতর আসাদ নামের এক কৃষককে মারধর করেন। এরপরেই যুবদল নেতা খোকন নামের এক আমেরিকপ্রবাসীর সমর্থকেরা প্রতিবাদ করেন। শুনেছি, পরে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।’

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বর বলেন, ‘বৃদ্ধ হামিদ চেয়ারম্যানকে সাহিদের লোকজন মারধর করেন। এরপর আমার সমর্থকেরাসহ গ্রামবাসী প্রতিবাদ করেন। সংঘর্ষের সময় আমি এলাকায় ছিলাম না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত