Ajker Patrika

জাল সনদে বিসিএস ক্যাডার, দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪, ২১: ৪৮
জাল সনদে বিসিএস ক্যাডার, দুদকের মামলা

জাল সনদ দেখিয়ে বিসিএস ক্যাডার, পিএইচডি ডিগ্রির জাল সনদ ও অভিজ্ঞতার সনদ দেখিয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) থেকে নিয়োগ পেয়েছিলেন এস এম আলমগীর কবীর। বর্তমানে তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক। সনদ ও অভিজ্ঞতা জালিয়াতির অভিযোগে এস এম আলমগীর কবীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ সহকারী পরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, আলমগীর কবীর শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে নিয়োগ পেতে অবৈধ পন্থা, জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আলমগীর কবীর ২০০৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ পান। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওই পদের জন্য চারটি শর্ত ছিল। 

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শর্ত অনুযায়ী আলমগীর কবীরের আবেদনের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কামডেন ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সংযুক্ত করেন, কিন্তু ওই নামের কোনো রেজিস্টার্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ায় পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে শর্ত অনুযায়ী ওই পদে চাকরির আবেদনের জন্য ন্যূনতম ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার মধ্যে শিক্ষক আলমগীরের দুই বছর তিন মাস ১১ দিনের ঘাটতি ছিল। 

ওই শিক্ষক চাকরির আবেদনে ডক্টরেট ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, আসামি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদ থেকে প্রেষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং তৎপরবর্তীতে তৃতীয় সচিব হিসেবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্মকালীন সরকারি কর্মচারী হয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। 

তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে অবৈধ পন্থায় জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় অভিযোগের তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত