শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীকে ফোন কল দিয়ে ‘আর ফিরবেন না’ জানিয়ে শিশুকন্যাকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন গৃহবধূ। এতে ঘটনাস্থলেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এক বছর বয়সী শিশুকন্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে সেও মারা যায়।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর রেলস্টেশনের অদূরে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক কলহের কথা স্বীকার করেছেন নিহতের স্বামী।
গৃহবধূ নাসরিন আক্তার ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার টাঙ্গাব গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার স্ত্রী। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার এনামুল হক বিশ্বাসের কন্যা। স্বামীর সঙ্গে শ্রীপুরে থাকতেন নাসরিন আক্তার। ১১ মাস বয়সী শিশুকন্যা রওজাতুল জান্নান রাফসা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।
প্রত্যক্ষদর্শী পারভীন আক্তার বলেন, ‘ওই নারী সকাল থেকে সাতখামাইর রেলস্টেশনের কাছে একটি আমগাছের নিচে বসেছিলেন। ওই নারী মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কথাবার্তা বলে কান্নাকাটি করেন। এর কিছুক্ষণ পর ময়মনসিংহগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন এলে ওই নারী তাঁর শিশুকন্যাকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এতে শিশুটি ট্রেনের ধাক্কায় দূরে ছিটকে পড়ে। নারীর মাথা থেঁতলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে, ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত শিশুকে আমি উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। ততক্ষণে শিশুর বাবা রাসেল ও চাচা সাগর হাসপাতালে আসেন। শিশুকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে যান তাঁরা।
নিহতের স্বামী মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ভাড়া থাকি। স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করি। তিন দিন ধরে আমি কর্মস্থলে যাচ্ছি না। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। সামান্য ঝগড়াঝাঁটি হয়। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে এ রকম সমস্যা তো হয়েই থাকে। আজ তাকে মারধর করিনি। আজ সকালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। মোবাইল ফোনের আওয়াজে ঘুম ভাঙতেই ফোন রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে স্ত্রী জানায়, সে মেয়েকে নিয়ে বাসা থেকে চলে গেছে, আর ফিরবে না।’
রাসেল মিয়া আরও বলেন, ‘আমি বিছানা থেকে তড়িঘড়ি করে উঠে স্ত্রীর ফোনে আবারও কল দিয়ে তার অবস্থান জানার চেষ্টা করি। কিন্তু সে কিছুই জানায়নি। আমি অনেক চেষ্টা করেও তার লোকেশন পায়নি। এর কিছুক্ষণ পর ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। হাসপাতালে এসে শিশুকন্যাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাই। শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার দিকে রওনা হই। পথেই মারা যায় আমার বাচ্চাটা! স্ত্রীর মরদেহ কোথায় আছে বলতে পারব না।’
নিহতের দেবর সাগর মিয়া বলেন, ‘মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনাস্থলে ভাবির মরদেহ পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশুকন্যাকে নিয়ে ঢাকায় রওনা করি। কীভাবে কী হয়েছে কিছুই বলতে পারব না!’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাই-ভাবির কলহের বিষয়ে কিছুই জানি না। পারিবারিক কলহের বিষয়টি কোনো দিন আমাকে জানায়নি।’
সাতখামাইর বাজারে ওষুধ ব্যবসায়ী মারুফ প্রধান বলেন, ‘দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখি, গুরুতর আহত শিশু রেললাইনের একটু দূরে পড়ে আছে। পাশের মায়ের রক্তাক্ত মরদেহ। এরপর আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। নারীটি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে মারা যায়।’
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুস্মিতা সাহা বলেন, ‘গুরুতর আহত শিশুটিকে এক নারীসহ কয়েকজন মিলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর মৃত্যুর বিষয়টি জেনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীকে ফোন কল দিয়ে ‘আর ফিরবেন না’ জানিয়ে শিশুকন্যাকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন গৃহবধূ। এতে ঘটনাস্থলেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এক বছর বয়সী শিশুকন্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে সেও মারা যায়।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর রেলস্টেশনের অদূরে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক কলহের কথা স্বীকার করেছেন নিহতের স্বামী।
গৃহবধূ নাসরিন আক্তার ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার টাঙ্গাব গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার স্ত্রী। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার এনামুল হক বিশ্বাসের কন্যা। স্বামীর সঙ্গে শ্রীপুরে থাকতেন নাসরিন আক্তার। ১১ মাস বয়সী শিশুকন্যা রওজাতুল জান্নান রাফসা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।
প্রত্যক্ষদর্শী পারভীন আক্তার বলেন, ‘ওই নারী সকাল থেকে সাতখামাইর রেলস্টেশনের কাছে একটি আমগাছের নিচে বসেছিলেন। ওই নারী মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কথাবার্তা বলে কান্নাকাটি করেন। এর কিছুক্ষণ পর ময়মনসিংহগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন এলে ওই নারী তাঁর শিশুকন্যাকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এতে শিশুটি ট্রেনের ধাক্কায় দূরে ছিটকে পড়ে। নারীর মাথা থেঁতলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে, ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত শিশুকে আমি উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। ততক্ষণে শিশুর বাবা রাসেল ও চাচা সাগর হাসপাতালে আসেন। শিশুকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে যান তাঁরা।
নিহতের স্বামী মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ভাড়া থাকি। স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করি। তিন দিন ধরে আমি কর্মস্থলে যাচ্ছি না। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। সামান্য ঝগড়াঝাঁটি হয়। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে এ রকম সমস্যা তো হয়েই থাকে। আজ তাকে মারধর করিনি। আজ সকালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। মোবাইল ফোনের আওয়াজে ঘুম ভাঙতেই ফোন রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে স্ত্রী জানায়, সে মেয়েকে নিয়ে বাসা থেকে চলে গেছে, আর ফিরবে না।’
রাসেল মিয়া আরও বলেন, ‘আমি বিছানা থেকে তড়িঘড়ি করে উঠে স্ত্রীর ফোনে আবারও কল দিয়ে তার অবস্থান জানার চেষ্টা করি। কিন্তু সে কিছুই জানায়নি। আমি অনেক চেষ্টা করেও তার লোকেশন পায়নি। এর কিছুক্ষণ পর ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। হাসপাতালে এসে শিশুকন্যাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাই। শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার দিকে রওনা হই। পথেই মারা যায় আমার বাচ্চাটা! স্ত্রীর মরদেহ কোথায় আছে বলতে পারব না।’
নিহতের দেবর সাগর মিয়া বলেন, ‘মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনাস্থলে ভাবির মরদেহ পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশুকন্যাকে নিয়ে ঢাকায় রওনা করি। কীভাবে কী হয়েছে কিছুই বলতে পারব না!’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাই-ভাবির কলহের বিষয়ে কিছুই জানি না। পারিবারিক কলহের বিষয়টি কোনো দিন আমাকে জানায়নি।’
সাতখামাইর বাজারে ওষুধ ব্যবসায়ী মারুফ প্রধান বলেন, ‘দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখি, গুরুতর আহত শিশু রেললাইনের একটু দূরে পড়ে আছে। পাশের মায়ের রক্তাক্ত মরদেহ। এরপর আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। নারীটি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে মারা যায়।’
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুস্মিতা সাহা বলেন, ‘গুরুতর আহত শিশুটিকে এক নারীসহ কয়েকজন মিলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর মৃত্যুর বিষয়টি জেনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা নাছির উদ্দিন চৌধুরীর দ্বিতীয় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ভাই বিএনপি নেতা মাসুক চৌধুরী ও মিলন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরের বাসায় নাছির চৌধুরীর সামনেই এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেশেরপুরের শ্রীবরদীতে মো. আব্দুল মুন্নাফ নামে এক ছাত্রদল নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগদান করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পৌরসভার বাহার বাজারে এক সাধারণ সভার মাধ্যমে তিনি জামায়াতে যোগদান করেন। ওই সভায় তিনি জনসম্মুখে সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে জামায়াতে ইসলামীর শেরপুর জেলা আমিরের কাছে জমা
১২ মিনিট আগেভোলায় ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ ও গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপনের দাবিতে ইন্ট্রাকোর গ্যাস বহনকারী একটি গাড়ি আটকে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ইন্ট্রাকো গ্রুপের এলপিজি গ্যাসভর্তি একটি কাভার্ড ভ্যান ঢাকা যাওয়ার পথে রাত ১১টার দিকে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনা
৩৬ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ, অপারেশন ডেভিল হান্ট, ফিলিস্তিন ইস্যু, ফ্যাসিবাদ ও প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। প্রথম শিফটের একাধিক প্রশ্নে ভুল ও সঠিক উত্তর নেই এমন প্রশ্নও করা হয়েছে।
৪১ মিনিট আগে